ঢাকা টেস্ট
দ্বিতীয় দিনের দৈর্ঘ্য ৬.২ ওভার
ক্রিকেটের আজন্ম শত্রু বৃষ্টি। তার সঙ্গে কখনো পেরে উঠেনি। ঢাকা টেস্টেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা মাত্র ৬.২ ওভার হতে পেরেছে। বেলা ৩টা ২ মিনিটে আম্পায়াররা দিনের খেলা শেষ করে দেন। তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হবে আধ ঘণ্টা আগে সকাল সাড়ে নয়টায়। পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১৮৮। বাবর আজম ৭১ ও আজহার আলী ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর কারণে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছিল। কয়েক দফা ব্যর্থ চেষ্টার পর আম্পায়াররা বেলা ১২ টা ৫০ মিনিটে খেলা শুরু করেছিলেন; কিন্তু তা ছিল ক্ষনিকের। মাত্র ৬.২ ওভার খেলা হওয়ার পর আবার শুরু হয় বৃষ্টি। এবার বৃষ্টির বেগ ছিল একটু বেশিই। যে কারণে দিনের খেলা শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই আম্পায়াররা ‘ইতি’ টেনে দেন। অথচ দিনের খেলা যাতে বেশি হতে পারে সে জন্য লাঞ্চ বিরতি আধ ঘণ্টা আগেই দেওয়া হয়েছিল; কিন্তু বৃষ্টির সাথে আর পেরে উঠ যায়নি।
আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করে দলপতি মুমিনুল পেসারদের দিয়েই আক্রমণ শুরু করান। কিন্তু দুই পেসার খালেদ ও এবাদত কোনো ফয়দাই নিতে পারেননি। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান স্বাচ্ছন্দ্যে রান সংগ্রহ করে যেতে থাকেন। বাবর আজম আগের দিন ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন। আজ সেখানে নাম লেখান আজহার আলীও। আগের দিন ১১২ বল খেলে ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। আজ ছিলেন বেশ আক্রমণাত্বক। খালেদের করা দিনের প্রথম বলই তিনি আলী সীমানা পার করান চার মেরে।
যে কয় ওভার খেলা হয়েছে, তাতে যে কয়টি বাউণ্ডারি হয়েছে, তার সব কটিই এসেছে আজহার আলীর ব্যাট থেকে। যে কারণে তিনি হাফ সেঞ্চুরির জন্য অবশিষ্ট ১৪ রান করতে বল খেলেন ১৪টি। দিনে রান যোগ হয়েছে ২৭। তাতে আজহার আলীর অবদান ছিল ১৫, বাবর আজমের ১২।
এমপি/এসএ/