জয় আগামী দিনের উজ্জ্বল নক্ষত্র

অভিষেকে আলো ছড়াতে না পারলেও নিউ জিল্যান্ড সফরে নিজের দ্বিতীয় টেস্টেই জাত চিনিয়েছিলেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। খেলেছিলেন ৭৮ রানের ইনিংস। এই ইনিংস খেলতে গিয়ে ২২৮ বলের ব্যবহারে নিজেকে একজন জাত টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। প্রশংসিত হয়েছিল তার এই ইনিংস। কিন্তু ফিল্ডিং করতে গিয়ে তিনি ইনজুরিতে পড়লে দ্বিতীয় ইনিংসে আর ব্যাট করতে নামতে পারেননি।
এমনকি ছিটকে গিয়েছিলেন সিরিজ থেকেও। সেই মাহমুদুল হাসান জয় আবার ফিরেছেন বিপিএল দিয়ে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ তিনি খেলতে নেমেছিলেন। ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে এসে খেলেন ৪৮ রানের ইনিংস। বল খেলেছিলেন ৩৫টি। ৬ চারের সঙ্গে ছিল একটি ছক্কাও। তার এই রানই ছিল ইনিংসের এমন কি গোটা ম্যাচেরও সর্বোচ্চ।
অথচ এই ম্যাচে খেলেছিলেন ডু প্লেসি, গেইলের মতো ব্যাটসম্যানরা।জয় ইনিংসের সূচনা করাতে ওপেনিং থেকে তিনে নেমে আসেন ডু প্লেসি। তার এমন ইনিংস খুব কাছ থেকে দেখেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক কোচ স্টিভ রোডস। যিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের পরামর্শকও হয়ে কাজ করছেন।
জয়কে আগামী দিনের বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে দেখছেন বলে জানান রোডস। তিনি বলেন, ‘বিপিএলে জয় তার প্রথম খেলেছে। প্রথম ম্যাচেই সে খুবই ভালো খেলেছে। খুবই ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করেছে। দেখে-শুনে খেলে। ঘাবড়ে যায় না। আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে মাত্র পথ চলা শুরু করেছে। বিপিএলেও তার পথ চলা শুরু হলো। আশা করি সে আগামীতে বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে উঠবে।’
জয়কে নিয়ে রোডসের প্রশংসার কারণ কিন্তু তার ৩৫ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। তিনি আউট হওয়ার আগে একে একে দলের তিন সেরা ব্যাটসম্যাস আউট হয়েছেন। ডেলপোর্ট ১৯, ডু প্লেসি ৬, ও দলপতি ইমরুল কায়েস ১৫ রানে।
সবাই মারমুখী ব্যাটিং করেছেন। তখন জয়ও ছিলেন আক্রণাত্বক। মারমুখি ব্যাটিং করেছেন। ডেলপোর্ট আউট হওয়ার সময় তার স্ট্রাইক রেট ছিল ২০০। রান ছিল ৭ বলে ১৪। এই ১৪ রানই ছিল নাঈমের এক ওভারে ২ চার আর ১ ছয়ে। দলের রান তখন ৩৩। ডু প্লেসি আউট্ হন দলীয় ৪৭ রানে। ব্যক্তিগত রান ছিল ৬। তখন জয়ের রান ছিল ১১ বলে ২১।
ইমরুল কায়েস আউট হওয়ার সময় জয়ের রান ছিল ১৭ বলে ২৭ রান। এ সময় জয় নিজেকে গুটিয়ে নেন। পরে আউট হওয়ার আগে বাউন্ডারি মেরেছিলেন আর মাত্র ২টি। এ সময় তিনি ১৮ বলে যোগ করেন ২১ রান। এ নিয়ে স্টিভ রোডস বলেন, ‘বড় শট না খেলেও জয় রানের গতি বাড়াতে পারে।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ে সে ভুমিকা রেখেছে নিউ জিল্যান্ডের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ মোকাবেলা করে। এই ম্যাচে তার ব্যাটিং সবাইকে অবাক করেছে। নতুনরা আসবে। ভালো করবে। জয় যেন সে কাজটিই করেছে এই ম্যাচে।’
এমপি/এমএমএ/
