সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিপিএলে ঢাকা পর্বের খুঁটিনাটি

 

 

চার ম্যাচে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার পয়েন্ট ২। ফরচুন বরিশালেরও পয়েন্ট ২। তাদের ম্যাচ একটি কম। ৬ দলের বিপিএলে পয়েন্ট টেবিলে এ দুই  দলের অবস্থান তলানির দিকে। বরিশাল পাঁচে, ঢাকা ছয়ে। দল দুইটি সম্বন্ধে যাদের ন্যূনতম ধারণা আছে, পয়েন্ট টেবিল দেখে তাদের চোখ কপালে উঠার অবস্থা হবে।

অনেকেই  হয়তো বিশ্বাসই করতে চাইবেন না। আর করবেনই বা কী করে? যে দল দুইটি শিরোপার জোর দাবিদার, যে দলের একটি ঢাকাতে আছেন তামিম-মাহমুদউল্লাহ-তামিম-আন্দ্রে রাসেল-মোহাম্মদ শাহজাদ-রুবেল হোসেন-মোহাম্মদ নাঈমের মতো ক্রিকেটার  খেলে থাকেন, অপরদল বরিশালে আছেন সাকিব-গেইল-ব্রাভো-নাজমুল  শান্ত-তাইজুলর, তাদের অবস্থানতো পয়েন্ট টেবিলের উপরের দিকেই  হওয়ার কথা! কিন্তু বঙ্গবন্ধু বিপিএলে তা হতে দেননি অন্য দলগুলো।

ঢাকা পর্ব শেষে এ দলগুলো অবস্থানের নিচের দিকে থাকলেও সবার উপরে আছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। ২ ম্যাচে দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট তাদের। এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স আছে দ্বিতীয় স্থানে।  তিনে থাকা সিলেট সানারাইজার্সের অবস্থান দেখে আবার অনেকেই অবাক হবেন। কারণ এই দলটি এবারের আসরে সবচেয়ে দূর্বল। পয়েন্ট টেবিলে নিচের দিকে নয়, নিচেই থাকার কথা  তাদের। কিন্তু ২ ম্যাচে দুই পয়েন্ট নিয়ে তারা উঠে এসেছে তিনে। এ অবস্থান তৈরি করতে তারা নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হারিয়েছে মিনিষ্টার গ্রুপ ঢাকাকে। সিলেটের সমান ম্যাচ খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্স। আপাাতত এ অবস্থান নিয়ে দলগুলো এবার শুরু করবে চট্টগ্রাম পর্ব। এ পর্ব শুরু হবে ২৮ জানুয়ারি শুক্রবার।

চট্টগ্রামে বিপিএলের বসত হবে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দুই দিন খেলার পর একদিন বিরতি। এরপর আবার দুই দিন খেলা। তারপর বিপিএল আবার ফিরে আসবে ঢাকাতে। চট্টগ্রামে খেলা হবে মোট চার দিন। এ  চার দিনে  অনুষ্ঠিত হবে আটটি ম্যাচ। যেখানে স্বাগতিক হিসেবে চট্টগ্রামের খেলা আছে প্রতিদিনই। যেমনটি ছিল ঢাকায় মিনিস্টার গ্রুপ  ঢাকার। একইভাবে সিলেটে যে তিন দিন খেলা  হবে, সেখানেও স্বাগতিক হিসেবে সিলেটের খেলা রাখা হয়েছে প্রতিদিনই।

ঢাকা পর্বে দলগুলোর নাটকীয় উত্থান-পতনের মাঝে আরেকটি বিষয় ছিল চোখে পড়ার মতো। দিনের প্রথম ম্যাচে রান বেশি না হওয়া। যে চার দিন খেলা হয়েছে, সেখানে প্রথম ম্যাচে সর্বোচ্চ রান ছিল বরিশাল ফরচুনের ৮ উইকেটে ১২৯। সর্বনিম্ন রান ছিল সিলেট সানরাইজার্সের ৯৬। অপর দুইটি ম্যাচে রান ছিল ঢাকার ১০০ ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ৮ উইকেটে ১২৫।

ঢাকা পর্বে চার দিনে যে আটটি  ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে অলআউট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে চারবার। স্বাগতিক মিনিস্টার ঢাকা অলআউট হয়েছে দুইবার। একবার করে সিলেট সানরাইজার্স ও ফরচুন বরিশাল। মোট উইকেট পতন হয়েছে ১০৪টি। যেখানে মোট উইকেট ছিল ১৬০টি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দর্শকরা উইকেট পতনের চেয়ে চার-ছক্কার বাহারি মার দেখতেই বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু প্রতিবার বিপিএলে দৃশ্যটির উপস্থিতি কমই দেখা যায়। আট ম্যাচের ১৬০ উইকেটের মাঝে ১০৪টির পতনেই ধারণা করা যায় বোলারদের দাপট কতোটা বেশি ছিল। আট ম্যাচের ছয়টিতেই ম্যাচ সেরা পুরস্কার গিয়েছে বোলারদের ঝুলিতে। ছয়জনের মাঝে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের নাহিদুল ইসলামই হয়েছেন দুইবার। তবে এখানে তার ব্যাটিংয়ের কিঞ্চিৎ ভূমিকাও ছিল। বাকি চারজন হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, বেনি হাওয়েল, নাজমুল ইসলাম। ব্যাটসম্যান হয়েছেন দুইবার। তারা হলেন রনি তালুকদার ও মাহমুদউল্লাহ।

ম্যাচসেরা পুরস্কারে বোলারদের দাপটের কারণে বিষয়টি আরো বেশি করে দৃশ্যমান হয়ে উঠে যে ব্যাটসম্যানদের রাজত্ব কতোটা কম ছিল। প্রথম ম্যাচ তো রান খরা বিষয়টি সবারই জানা। দ্বিতীয় ম্যাচে রান উঠেছে ঠিকই। তবে তা প্রথম দিনেই। সে দিন ঢাকার করা ৬ উইকেটে ১৮৩ রান খুলনা অতিক্রম করে গিয়েছিল ১৯ ওভারেই। পরের তিন ম্যাচের দুইটিতে রান উঠলেও তাড়া করতে গিয়ে ভালোই হোচট খেয়েছে দলগুলো। যেমন দ্বিতীয় দিনের ম্যাচে চট্টগ্রাম ৮ উইকেটে ১৬১ রান করলেও রান তাড়া করতে গিয়ে ঢাকা ১৩১ রানে গুটিয়ে যায়। তৃতীয় দিন চট্টগ্রাম ৭ উইকেটে এবারের আসরের সর্বোচ্চ ১৯০ রান করার পর খুলনা টাইগার্স করতে পেরেছিল ৯ উইকেটে ১৬৫ রান। চতুর্থ দিন তো কুমিল্লার ৭ উইকেটে ১৫৮ রানের জবাব দিতে গিয়ে মাত্র ৯৫ রানে মুখ থুবড়ে পড়েছিল বরিশাল।

আসরে যখন বোলারদের রাজত্ব কায়েম হয়, তখন সেখানে কোনো সেঞ্চুরি  আশা করা যায় না। এমন কি আশে-পাশেও কেউ যেতে পারেননি। সর্বোচ্চ ইনিংস  খুলনা টাইগার্সের রনি তালুকদারের ৬১ রানের। হাফ সেঞ্চুরি হয়েছে তিনটি। বাকি দুইটি তামিম ইকবালের ৫২ ও ৫০। বোলিংয়ে ৪ উইকেট নেওয়ার ঘটনা আছে একাধিক। সেরা ১৬ রানে ৪টি চট্টগ্রামের মেহেদী হাসান মিরাজের। এরপর সিলেটের নাজমুল ইসলাম অপুর ১৮ রানে ৪টি। চট্টগ্রামের শরিফুলও ৪ উইকেট নিয়েছেন একটু বেশি ৩৪ রান দিয়ে। ৩টি করে উইকটে নেওয়ার ঘটনা আছে ৮টি।

এবারের বিপিএলে একটি বিষয় ছিল খুবই আশা জাগানিয়া। তা হলো দেশি ক্রিকেটারদের দাপট। ব্যাটিং যেমন সব কটি হাফ সেঞ্চুরি দেশি ব্যাটসম্যানদের, তেমনি বোলিংয়েও অনেকটা। ৪ উইকেট সবগুলো বেশি বোলারদের। ৩টি করে উইকেট নেওয়া বোলার আটজনের মাঝে মাত্র দুইজন বোলার বিদেশি। দুইজনেই বরিশালের জেসেফ ও ব্রাভো। বাকি ছয়জন হলেন- নাজমুল ইসলাস অপু, নাহিদুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন, কামরুল  ইসলাম রাব্বি। আবার ম্যাচ সেরা পুরস্কার শুধু একটি গিয়েছে বিদেশিদের হাতে। তিনি হলেন চট্টগ্রামের বেনি হাওয়েল। বল হাতে ৭ উইকেট নিয়ে সবার উপরে আছেন সিলেটের নাজমুল ইসলাম অপু।

৬টি করে উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে মেহেদী হাসান মিরাজ ও শরিফুল ইসলাম। এরপর ৫টি করে উইকেট আছে ৪ জনের। ব্যাটিংয়ে শতরানের উপরে আছে তিনজনের। যার দুইজনই আবার অবিশ্বাস্যভাবে আসরের তলানির দিকে থাকা ঢাকার। ৪ ম্যাচে ১২৪ রান করে সবার উপর আছেন দলপতি মাহমুদউল্লাহ। তামিম ইকবাল দুই হাফ সেঞ্চুরিতে ১০৫ রান করে আছেন তৃতীয় স্থানে। ৩ ম্যাচে ১১২ রানে করে দ্বিতীয় স্থানে চট্টগ্রামের বেনি হাওয়েল।

এবার দেখার পালা চট্টগ্রাম পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলে কী রকম পরিবর্তন আসে কিংবা দেশি ক্রিকেটারদের আধিপত্য বজায় থাকে কি না? 

এমপি/এসএন

Header Ad
Header Ad

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম কলেজ প্রাঙ্গণে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেরেবাংলা হলের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রদলের অন্তত চারজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রশিবির এ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন ওমর ফারুক সাগর, রেদোয়ান ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ কাইফ ও মোরশেদুল ইসলাম। তারা বর্তমানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ওমর ফারুক সাগর বলেন, “চট্টগ্রাম কলেজে আজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল। আমন্ত্রণ পেয়ে আমরা সেখানে যাই। কিন্তু শেরেবাংলা হলের সামনে পৌঁছানোর পর ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা আচমকা আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘ছাত্রদল নেতা ফারুক চট্টগ্রাম কলেজে থাকতে পারবে না।’ এরপর আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।”

তিনি আরও বলেন, "হামলাকারীরা শিবির নেতা শামীম আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন কর্মী নিয়ে হামলায় অংশ নেয়। তারা আমাদের মারধর করে এবং কলেজে ছাত্রদলের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করার হুমকি দেয়। বিষয়টি আমরা চকবাজার থানার ওসি ও বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছি। তারা যে নির্দেশনা দেবেন, আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি তানভীর হোসেন জুয়েল। তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তাই আমরা কোনো গ্যাদারিং করিনি এবং কলেজের বাইরে সংগঠনের কার্যক্রম চালাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা দেখেছি, ছাত্রদল বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে ফরম বিতরণ করছিল। তাদের কোনো কলেজ ড্রেস বা আইডি কার্ড ছিল না। তখন কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের বাধা দেয় এবং জানায় যে এখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তখনই উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কিন্তু এটি রাজনৈতিক হামলা নয়। যদি ছাত্রশিবির হামলা করত, তাহলে তাদের নাম ও পদ-পদবি প্রকাশ করা হোক।”

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, "ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমার কাছে বিচার দিয়েছে যে, তারা লিফলেট বিতরণ করার সময় কিছু ছেলে এসে তাদের টানাহেঁচড়া করেছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, আমি তাদের ডেকে জিজ্ঞাসা করেছি। তারা জানিয়েছে, বার্ষিক ক্রীড়ার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এসে জটলা করছিল এবং তারা বহিরাগত। এরপর আমি উভয়পক্ষকে কিছুক্ষণ কাউন্সেলিং করেছি।”

এই ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, যাতে পরবর্তী কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।

Header Ad
Header Ad

সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার

বিরাট কোহলি। ছবি: সংগৃহীত

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করে জয় পেয়েছে ভারত। বিরাট কোহলির দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ২৪২ রানের লক্ষ্য সহজেই পার করেছে রোহিত শর্মার দল।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। ভারতীয় বোলারদের দাপটে ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি বাবর আজমের দল। সৌদ শাকিলের ৬২, মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৪২ এবং খুশদিল শাহের ৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান ২৪১ রান সংগ্রহ করে। ভারতের পক্ষে কুলদীপ যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া ও মোহাম্মদ শামির বোলিং ছিল প্রশংসনীয়।

২৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল ভালো শুরু করেন। উদ্বোধনী জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৩১ রান যোগ করেন তারা। তবে পঞ্চম ওভারে শাহিন আফ্রিদির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরে যান রোহিত শর্মা। এরপর ক্রিজে আসেন বিরাট কোহলি এবং শুবমান গিলের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। ৫২ বলে ৪৬ রান করে গিল আউট হলে কোহলির সঙ্গী হন শ্রেয়াস আইয়ার।

কোহলি ও আইয়ারের ১১৪ রানের জুটি ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন আইয়ার। তবে ৫৬ রানে খুশদিল শাহের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান তিনি। অন্যদিকে কোহলি ছিলেন অবিচল। ৪২.৩ ওভারে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান। তিনি ১১১ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে পাকিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসে বাবর আজম ও ইমাম-উল-হক ধীরে শুরু করলেও বড় ইনিংস গড়তে পারেননি। বাবর ২৬ বলে ২৩ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। অন্যদিকে রান আউট হয়ে ২৬ বলে মাত্র ১০ রান করে ফেরেন ইমাম। এরপর রিজওয়ান ও শাকিল ১০৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে শক্ত অবস্থানে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হয়ে ৭৭ বলে ৪৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান।

রিজওয়ান ফিরে গেলে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে। ৬২ রান করে শাকিলও বিদায় নেন। এরপর শেষ দিকে খুশদিল শাহ ৩৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহ ২৪১ রানে নিয়ে যান। ভারতের বোলারদের মধ্যে কুলদীপ, শামি ও হার্দিক পান্ডিয়া গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন।

বিরাট কোহলির অসাধারণ ব্যাটিং ও দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল ভারত।

Header Ad
Header Ad

নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি এখনও পদত্যাগ করেননি। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, সন্ধ্যায় তার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, "আমি পদত্যাগ করিনি। যে খবর ছড়িয়েছে, সেটা গুজব।"

এর আগে, গত মঙ্গলবার নাহিদ ইসলাম জানিয়েছিলেন, উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ এবং নতুন রাজনৈতিক দলে যোগদানের বিষয়ে তিনি সপ্তাহের শেষ দিকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা
সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার
নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল
দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২