চট্টগ্রামের রান তাণ্ডবে খুলনার হার
প্রথম বলেই ওয়াইডসহ ৫ রান। পরের বলে ছক্কা। তার মানে ১ বলে ১১। প্রথম ওভারে ২৩। দ্বিতীয় ওভারে ৯, তৃতীয় ওভারে ১৬। ৩ ওভারে ১ উইকেটে ৪৮! হোক টি-টোয়েন্টি, বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে তা যেন এক কথায় অবিশ্বাস্য।
এমন অবিশ্বাস্য কাণ্ড করে দেখিয়েছেন চট্টগ্রাম চ্যালেন্জার্সের ব্যাটসম্যানরা। মার-কাটারি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দর্শকরা এমন ব্যাটিংই প্রত্যাশা করে থাকেন। এর মাঝে তারা খুঁজে নেন জয়-পরাজয়ের স্বাদ। চট্টগ্রামের ৭ উইকেটে এবারের আসরের সর্বোচ্চ ১৯০ রানের জবাব দিতে পারেনি মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্স। ৯ উইকেটে ১৬৫ রান করে হার মেনেছে ২৫ রানে। ৩ ম্যাচে চট্টগ্রামের এটি ছিল দ্বিতীয় জয় আর ২ ম্যাচে খুলনার প্রথম হার।
চট্টগ্রামের গোটা ইনিংস জুড়ে চার-ছক্কার ঝনঝনানি। ৮ ছক্কার সঙ্গে ১৪টি চার। ২০ ওভার শেষে দলের রান ১৯০। যে কেউ মনে করবেন একটি বড় ইনিংসতো থাকবেই। সেঞ্চুরি না থাকলেও, হাফ সেঞ্চুরি একাধিক, না হলে অন্তত একটি হাফ সেঞ্চুরি। অবিশ্বাস্য! এখানে নেই একটিও পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস। সর্বোচ্চ রান ২০ বলে ১ ছক্কা আর ৪ চারে বেনি হাওয়েলের ৩৪। এরপর সাব্বিরের ৩২, মেহেদী হাসানের ৩০। যে কেনার লুইস আর জ্যাক উইলস তান্ডব শুরু করেছিলেন তাদের রান আরো কম। লুইস ১৪ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ২৫ ও উইল ৭ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে ১৭ রান। এ ছাড়া শেষের দিকে নাঈম ইসলাম ৫ বলে ২ ছক্কায় করেন ১৫ রান।২টি উইকেট নেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। একটি করে উইকেট নেন ফরহাদ রেজা ও নাবিন-উল-হক। ৩ জন হন রানআউট।
মোট ১৯০ রান অতিক্রম করে জয় পাওয়া কঠিনই! তবে খুলনা টাইগার্স হওয়াতে অনেকেই আশাবাদী ছিলেন। কারণ প্রথম ম্যাচে তারা মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার করা ১৮৩ রানও অতিক্রম করেছিল। কিন্তু এই ম্যাচে আর পেরে উঠেনি। বড় কোনো জুটি গড়ে উঠেনি। ব্যাক্তিগত কোনো বড় ইনিংস কেউ খেলতে পারেননি। খুলনা শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়ে এনেছে।
আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক আন্দ্রে ফ্লেচার (১৬) রনি তালুকদার (৭) থিসারা পেরেরা (০) এই ম্যাচে ঝড় তুলতে পারেননি। মুশফিকুর রহিম (১১) আবারও ব্যার্থ হন।মেহেদী হাসানের ৩০, সিকান্দার রাজার ১২ বলে ২২ কিংবা ইয়াসীর আলীর ২৬ বলে ৩ ছক্কা ২ চারে ৪০ রান শুধুই হারের ব্যবধান কমিয়ে আনতে সহায়তা করেছে। রেজাউর রহমান রাজা ২০ রানে, শরিফুল ইসলাম ২৯ রানে ও মেহেদী হাসান মিরাজ ৪২ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
এমপি/এমএমএ/