অবশেষে জয় পেল মিনিস্টার ঢাকা
প্রথম ম্যাচের রান খরা থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি বিপিএলের চলতি আসর। প্রথম দুই দিন একই চিত্র ছিল। একদিন বিরতির পর সোমবার আবার মাঠে গড়িয়েছে বিপিএল। কিন্তু সেই একই দৃশ্য। এমনকি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা ক্রিস গেইল খেলেও রান খরা ঘুচাতে পারেনি। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে গেইলের ফরচুন বরিশাল ২০ ওভার খেলে ৮ উইকেটে মাত্র ১২৯ রান করে। প্রথম দুই দিনের প্রথম দুই ম্যাচের তুলনায় একটু বেশি। প্রথম দিন রান উঠেছিল ১২৫। দ্বিতীয় দিন ৯৬। সাকিবের দলেল ১২৯ রান তাড়া করতে নেমে মিনিষ্টার গ্রুপ ঢাকা নাগাল পেয়ে যায় ১৭.৩ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩০ রান করে। চলতি আসরে ঢাকার এটি ছিল প্রথম জয়। প্রথম দুই ম্যাচে তারা হেরেছিল বরিশাল ও চট্টগ্রামের কাছে।
টস জিতে ব্যাট করার সিন্ধান্ত নিয়েছিলেন ফরচুন বরিশালের দলপতি সাকিব আল হাসান। সেরা একাদশে চারটি পরিবর্তনও এনেছিলেন। যেখানে গেইলের সঙ্গে খেলতে নামেন করোনা টেস্ট নেগেটিভ হওয়া নুরুল হাসান সোহান। সুযোগ পান তাইজুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম। বাদ পড়েন ইরফান শুক্কুর, নাঈম হাসান, জ্যাক লিনটট ও সালমান হোসেন। সেরা একাদশে ব্যাপক পরিবর্তন আনার পরও রান খরা দূর করা সম্ভব হয়নি। দলের চারজন মাত্র ব্যাটসম্যান দুই অংকের রান করেন। যেখানে সর্বোচ্চ রান ছিল গেইলের ৩৬। পাঁচে নেমে ১৫ ৩০ বলে ২ ছখ্কা আর ৩ চারে তিনি এই রান করেন। এর মাঝে মাহমুদউল্লাহর এক ওভারেই তিনি নেন ১৭ রান। তাকে আউট করেন ইসুুর উদানা। ক্যাচ ধরেন মাহমুদউল্লাহ। ডুয়াইন ব্রাভো ২৯ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ১টি ছক্কা ও ৩টি চার। তিনে নামা সাকিব ১ ছক্কা ও ২ চারে ২৩ রান করেন। ১৫ রান করেন ওপেনার সৈকত আলী। ঢাকার হয়ে আন্দ্রে রাসেল ২৭ ও ইসুরু উদানা ২৯ রানে নেন ২টি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নেন রুবেল হোসেন, শুভাগত হোম হাসান মুরাদ ও মাহমুদউল্লাহ।
ঢাকার একাদশে ছিল একটি পরিবর্তন। এবাদতের পরিবর্তে হাসান মুরাদ। মাশরাফির খেলার কথা থাকলেও শেষ মুহুর্তে তাকে নিয়ে ঝুঁকি নেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। ছোট টার্গেটের পেছনে ছুটে মিনিষ্টার ঢাকা ভয়াবহ ব্যাাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। আগের দুই ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবালসহ মাত্র ১০ রানে হারায় ৪ উইকেট। তামিম ইকবাল ০, মোহাম্মদ শাহজাদ ৫, মোহাম্মদ নাঈম ৪ ও জহুরুল ইসলাম ০ রানে আউট হন। শরিফুল প্রথম দুই ওভারে তুলে নেন ২ উইকেট। অপর দুইটি ছিল আলজারাই জোসেফের। তিনি তার প্রথম ওভারেই নেন উইকেট দুইটি। শুরুর এই মহা বিপর্যয় কাটিয়ে উঠার দায়িত্ব নেন দলপতি মাহমুদউল্লাহ ও শুভাগত হোম। দুই জনে মিলে বিপর্যয় রোধের পাশাপাশি রানের দিকেও নজর রাখেন। মাহমুদউল্লাহ সংযমি হলেও শুভাগত চিলেন কিছুটা আক্রমণাত্বক। জুটিতে ৬৯ রান আসে ১০. ২ওভরে। শুভাগত হোম আক্রমণাত্বক ধারা বজায় রাখতে গিয়ে বিগ শট খেলে আউট হন ব্রাভোর বলে তাইজুল ইসলামের হ হাতে ধার পড়ে। তিনি ২৫ বলে করেন ২৯ রান। এরপর মাহমুদউল্লাহ আন্দ্রে রাসেরকে নিয়ে জয়ের কাছাকাছি পৌছে যান। আন্দ্রে রাসেল ছিলেন খুব বেশি ্আক্রমণাত্বক। জুটিতে ৫০ রান আসে মাত্র ৪.১ ওভারে। মাহমুদউল্লাহ ৪৭ বলে ১ ছক্কা ও ৩ চারে ৪৭ রান করে আউট হন সাকিবের বলে ব্রাভোর হাতে ধরা পড়ে। তখন ঢাকার জয় নাগালের কাচে। রাসেল উদানাকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন। তার ১৫ বলের ইনিংসে ছিল ২ ছক্কা ও ৩ চারে অপরাজিত ৩১ রান। ২টি করে উইকেট নেন শফিকুল ও জোসেফ। ম্যাচ সেরা হন আন্দ্রে রাসেল।
এমপি/কেএফ/