জয় দিয়ে শুরু সাকিবের বরিশালের
৪ উইকেটের সহজ জয় দিয়ে বিপিএলের এবারের আসর শুরু করল সাকিবের ফরচুন বরিশাল। তারা হারিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে। মোট ২০ ওভার খেলে ৮ উইকেটে মাত্র ১২৫ রান করে চট্টগ্রাম। ১৮.৪ ওভারে সেই রান অতিক্রম করে ৬ উইকেট তাদেরকে হারিয়ে ফরচুন বরিশাল। কিন্তু ম্যাচ সেরা হয়েছেন চট্টগ্রামের দলপতি মেহেদেী হাসান মিরাজ। তিনি বরিশালের আউট হওয়া ৬ উইকেটের চারটিই তুলে নেন। এই ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের এবারের আসর।
এদিকে দুই দলের স্কোর আর ওভারের ব্যবহার দেখে সহজেই অনুমান করা যায় মিরপুরের পিচ। তার চিরাচরিত্র প্রথা থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই চার-ছক্কার ফুলঝরি। কিন্তু দলীয় সংগ্রহ যদি ওভার প্রতি ছয়ের সামান্য উপরে থাকে সেখানে কী আর চার-ছক্কার ঝনাঝানি আশা করা যায়। পিচ সেই মন্থর। এ রকম মন্থর পিচে লো-স্কোরিংই প্রত্যাশিত। তারপরও দুই দলের দেশি-বিদেশি ব্যাটসম্যানরা চেষ্টা করেছেন চার-ছক্কা হাকাতে। সেখানে সংখ্যার হিসেবে মন্দ হয়নি চার কিংবা ছক্কা। চট্টগ্রাম ইনিংসে ছক্কা ছিল ছয়টি। যার তিনটিই আবার হাঁকিয়েছিলেন বিদেশি ক্রিকেটার রিক্রট বেনি হাওয়েল। একটি করে ছক্কা এসেছে কেনার লুইস, উইল জ্যাকস ও নাঈম ইসলামের ব্যাট থেকে। সেখানে বিজয়ী দলের ইনিংসে ছক্কা ছিল চারটি। সৈকত আলী দুইটি এবং ইরফান শুক্কুর ও জিয়াউর রহমান একটি করে। বাউন্ডারি ছিল দুই দল মিলে ১৫টি। চট্টগ্রামের আটটি, বরিশালের সাতটি। দর্শকবিহীন ম্যাচে টিভি সেটের সামনে বসে যারা খেলে দেখেছেন তাদের কাছে এগুলোই ছিল বিনোদন!
এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম শুরুতেই বিপদে পড়ে। এই বিপদ পরে আর তারা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। একদিকে উইকেটের পতন হয়েছে, অন্যদিকে রান সংগ্রহের গতি মন্থর থেকে মন্থর হয়েছে। আটে নেমে বেনি হাওয়েল ২০ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৪১ রান না করলে চট্টগ্রামের সংগ্রহ একশও অতিক্রম করতো কিনা সন্দেহ ছিল? দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল ওপেনার উইল জ্যাকসের। এ ছাড়া নাঈম ইসলাম ১৫ ও শামীম হাসান ১৪ রান করেন। বরিশালের হয়ে আলজারি জোসেফ ৩২ রানে নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট নেন নাঈম হাসান। একটি করে উইকেট ছিল সাকিব, লিনটন ও ডুয়াইন ব্রাভোর।
ছোট টার্গেট হলেও মন্থর পিচের কারণে বরিশালও ছিল সাবধানী। তারপরও শুরুতেই তারা উইকেট হারায় ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হয়ে গেলে। তাকে শিকার করেন মেহেদী হাসান মরিাজ। এই ধাক্কা যাতে করে ধনিভূত না হয়, সেজন্য ওপেনার সৈকত, সাকিব, তৌহিদ হৃদয়, ব্রাভো বলের দিকে খেয়াল রেখে রান সংগ্রহ করে যেতে থাকেন। সৈকত ৩৫ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৯ রান করে মেহেদী মিরাজের চতুর্থ শিকার হন। মিরাজ এর আগে–পরে আউট করেন সাকিব ( ১৬ বলে ১৩ রান), ইরফান শুক্কুরকে ( ১৩ বলে ১৬)। মিরাজের উইকেট পাওয়ার মিছিলে যোগ হন মুকিদুল ইসলাম তৌহিদ হৃদয় ( ১৭ বলে ১৬ রান)। শামীম হাসান কোনো রান না করেই রান আউট হওয়ার পর ডুয়াইন ব্রাভো ও জিয়াউর রহমান মিলে জয়ের কাজ সেরে নেন। ব্রাভো ১০ বলে ১২ ও জিয়াউর ১২ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। মিরাজ ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের সেরা বোলিং করেন।
এমপি/এসআইএইচ