বাফুফেতে নতুন কোচ বরণ
নতুন কোচ আসবেন। তাই বাফুফে ভবনে সাজ সাজ রব। বাফুফে ভবনে এটি চিরায়িত পুরাতন দৃশ্য। কিন্তু যেভাবে বরণ করে নেওয়া হয়, সেভাবে বিদায় হয় না। এমনটা না হওয়ার কারণে প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির বিস্তর ফারাক। সর্বশেষ বিদায়ী কোচ জেমি ডে’র আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রেও তার ব্যতীক্রম হয়নি। তার জায়গায় নতুন করে এলেন স্প্যানিশ হ্যাভিয়ার কাবরেরা। মাঝে একটি করে আসরে দায়িত্ব পালন করেছেন আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের দুই কোচ ম্যারিও ল্যামোস এবং অস্কার ব্রুজন। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) একইভাবে বরণ করে নেওয়া হয় হ্যাভিয়ার কাবরেরাকে। বিদায়টা কিভাবে হবে তা অবশ্য এখনই বলা যাচ্ছে না।
আজ নতুন কোচ বাফুফে ভবনে আসার পর বাফুফের সভাপতি ও অন্য কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। নতুন কোচের সঙ্গে চুক্তি স্বল্প মেয়াদী। এক বছরের জন্য। তার মানে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই এক বছরে তিনি কতোটুকু উপরে নিয়ে যেতে পারবেন তলানির দিকে যেতে থাকা দেশের ফুটবলকে। কোচের উত্তর, ‘শূন্য থেকে শুরু করতে চাই আমি। পরিশ্রম করে সাফল্যকে ছুঁতে চাই।’ ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নতিও দেখতে চান তিনি।
যতোই ইউরোপ কিংবা ইংল্যান্ড অথবা অন্য দেশ থেকে কোচ নিয়ে আসা হোক না কেন, তাদের জাতীয় দলে কোচিং করানোর পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকেই না। বাংলাদেশ দলকে দিয়ে তারা অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করেন। এই কোচেরও নেই তেমন কোনো অভিজ্ঞতা। সংবাদ সম্মেলনে ছুটে গিয়েছিল এ রকম প্রশ্ন। জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক আমি এবারই প্রথম কোনো জাতীয় দলকে কোচিং করাবো। তবে আমার কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা আছে। এই উপমহাদেশেও আমি আগে কাজ করেছি। ভারতের একটি ক্লাবের দায়িত্বে ছিলাম।’
নতুন কোচের অ্যাসাইন্টমেন্ট শুরু হতে পারত চলতি মাসেই ইন্দোনেশিয়া সফর দিয়ে। যেখানে বাংলদেশ দল দুইটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলার কথা আছে। কিন্তু দলের অধিকাংশ ফুটবলারের করোনার টিকার দুই ডোজ না থাকাতে সফর বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল বাফুফে। যে কারণে এখন তার অ্যাসাইন্টমেন্ট শুরু হবে মার্চে ফিফা উইন্ডোতে ম্যাচ দিয়ে। যদিও তা এখনো চুড়ান্ত হয়নি। তবে তার বড় অ্যাসাইন্টমেন্ট হবে জুনে এশিয়া কাপ বাছাই। চার দলের বাছাই পর্বে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হলেও বাংলাদেশ আবার এশিয়া কাপ খেলতে পারবে। সম্ভব হবে কী ১৯৮০ সালের পর আবার এশিয় কাপ খেলা। হ্যাবিয়ার কাবরেরা এখনই এসব নিয়ে ভাবছেন না। তিনি আগে খেলোয়াড়দের দেখতে চান। জাতীয় দলের খেলা দেখতে চান। তারপর বলবেন। তিনি বলেন, ‘ আমি স্টেপ বাই স্টেপ এগুতে চাই। দেখতে চাই খেলোয়াড়দের। তারপর মার্চে ফিফা উইন্ডো আছে। এরপর আমি এশিয়া কাপ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করব। তবে এশিয় কাপে আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গি থাকবে পজেটিভ।’
ইতিমধ্যে তিনি ঢাকায় আসার পর বাংলাদেশ দল ও ফেডারেশন কাপের ভিডিও দেখে কিছুটা ধারণা পেয়েছেন। তিনি চান বাংলাদেশকে একটি লড়াকু দল হিসেবে গড়ে তুলতে। যে দল যেকোনো দলের বিপক্ষে লড়াই করার মতো শক্তি থাকবে।
এমপি/এসআইএইচ