আর্ন্তজাতিক ম্যাচে থাকায় টেস্ট দলে নাঈম: মুমিনুল
সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকা ব্যক্তি খড়কুটে ধরেও বেঁচে থাকতে চায়। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অবস্থা হয়েছে অনেকটা সেরকম। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ব্যর্থতার রেশ এখনও চলছে। সেটি রঙিন পোশাক থেকে সংক্রমিত হয়ে সাদা পোশাকে এসেও ভর করেছে। বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের কাছে চট্টগ্রাম টেস্টে হার মেনেছে ৮ উইকেটে।
নিজেদের ফিরে পেতে মরিয়া বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট ঢাকা টেস্টের জন্য ২০ সদস্যের দল ঘোষণা করে। সঙ্গে রেখে দেওয়া হয় চট্টগ্রাম টেস্টের সবাইকে। এ্ই ২০ জনের মাঝে একজন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তাকে দলে নেওয়া নিয়ে উঠেছে যত প্রশ্ন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতার মাঝেও সান্ত্বনার প্রলেপ ছিলেন এই নাঈম শেখ। তিনি সব কটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। তারপরও দুইটি ফিফটি হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু লঙ্গার ভার্সন ম্যাচে তার সাফল্য নেই বললেই চলে। প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ৬টি। তারচেয়ে বড় কথা সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিলেন ২০২০ সালে। উভয় ইনিংসে কোনো রান না করেই আউট হয়েছিলেন। অথচ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার চেয়ে অনেক ভালো পারফর্ম করা ব্যাটসম্যান রয়ে গেছেন দলের বাইরে। তারপরও সেখানে প্রথমবারের মতো নাঈম কেন? এ নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। নির্বাচকরাও সঠিক জবাব দিতে পারেননি।
আজ সংবাদ সম্মেলনেও দলপতি মুমিনুল হকের দিকে ছুটে গিয়েছিল একই প্রশ্ন। ৩২টি টি-টোয়েন্টি ও ২টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলা নাঈম শেখকে নিয়ে মুমিনুলের জবাবও ছিল অনেকটা গতানুগতিক। তার রঙিন পোশাকে আর্ন্তজাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাকে বিবেচনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে দলে ব্যাকআপ ওপেনার নেই। আমরা এমন একজন ওপেনার চেয়েছি যে আন্তর্জাাতিক ক্রিকেটের মধ্যে আছে। শক্ত প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তো হুট করে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে কোনো খেলোয়াড় আনতে পারবেন না। সামনে নিউজিল্যান্ড সফর। দলে এমন খেলোয়াড় যুক্ত করা উচিৎ যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার মধ্যে আছে।’
সাধারণত জাতীয় দলে একজন ক্রিকেটারকে বিবেচনা করা হয়ে থাকে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করার পর। এখানে নাঈমকে দলে নিয়ে সে বিষয়টি মোটেই বিবেচনা করা হয়নি। এ প্রসঙ্গে মুমিনুল বলেন, ‘অবশ্যই লাল বলের পারফরম্যান্স ভূমিকা রাখে। কিন্তু যখন ব্যাকআপ ওপেনার নেই, তখন যে খেলার মধ্যে আছে তাকেই অনুশীলন করিয়ে আমরা খেলাতে পারি। খেলার মধ্যে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।’
মোহাম্মদ নাঈম শেখের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ম্যাচ না খেলা প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিয়ে মুমিনুল বলেন, ‘এই সময়টায় টি-টোয়েন্টি বেশি ছিল। আমরা (শুধু টেস্টে স্পেশালিস্ট) তো করোনার কারণে এক-দেড় বছর খেলতে পারিনি।’
এমপি/এএন