ধোনিকে প্রথমবার দেখে যা মনে হয়েছিল স্ত্রী সাক্ষীর
ভারতের ক্রিকেটে অন্যতম সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তার অধিনায়কত্বে ২০০৭ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টি শিরোপা, ২০১১ সালে একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে ভারত। তবে নিজের ব্যক্তিগত জীবন গোপনে রাখতে পছন্দ করেন ধোনি। ফলে তাঁর জীবনের খবর জানতে স্ত্রী সাক্ষী ধোনির সোশ্যাল সাইটের উপর ভরসা করতে হয়।
সাক্ষীর সঙ্গে কী ভাবে ধোনির আলাপ হয়েছিল তা ‘এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ সিনেমার মাধ্যমে দেখেছিল ভক্তরা। তবে ধোনির সঙ্গে সাক্ষীর প্রথম সাক্ষাতের ঘটনা কেউ জানেন না। এবার সেটা ফাঁস করে দিলেন স্ত্রী সাক্ষী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সিনেমায় অনেক কিছুই দেখানো হয়। দর্শককে টানার জন্য সামান্য সৃষ্টিশীলতা প্রয়োগের অধিকার সমস্ত পরিচালককেই দেওয়া হয়। প্রথম বার আমাদের দুজনের পরিচিত এক বন্ধুর মাধ্যমে ওর সঙ্গে আলাপ হয়। সে দিনই হোটেলে আমার ইন্টার্নশিপের শেষ দিন ছিল। ওকে দেখে সাধারণ কোনও মানুষের মতোই মনে হয়েছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘সেই সময় অতটাও ক্রিকেট খেলা দেখতাম না। তবে শচীন টেন্ডুলোর, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলীদের চিনতাম। তবে এটা শুনেছিলাম যে দলে একজন ‘পাহাড়ি ছেলে’ রয়েছে। তার নাকি লম্বা চুল রয়েছে এবং বিশাল চেহারা। দেখা করতে যাওয়ার আগে মা বলেছিল, ধোনিই নাকি সেই ছেলেটা। কিন্তু ওর সঙ্গে দেখা করার পর মাকে এসে বলেছিলাম, ওর মোটেই লম্বা চুল নেই। বরং বেশ ছোট চুলই রয়েছে।’
২০১০ সালে সাক্ষীকে বিয়ে করেন ধোনি। ২০১৫ সালে ধোনি দম্পতির ঘরে আসে নতুন অতিথি। তাঁদের একমাত্র কন্যা সন্তানের নাম জিভা। ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ধোনি। এখন শুধুমাত্র ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ(আইপিএল) খেলেন তিনি।
এসআইএইচ/