ফেডারেশন কাপে আবারও চ্যাম্পিয়ন আবাহনী
ফেডারেশন কাপে তিন বছর পর আবারও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী। রহমতগঞ্জকে হতাশায় ডুবিয়ে ২-১ গোলে জয় পায় আবাহনী। এটা আবাহনীর দ্বিতীয় শিরোপা। এর আগে তারা স্বাধীনতা কাপেরও শিরোপা জিতেছিল। অপরদিকে রহমতগঞ্জ ২০১৯ সালে প্রথমবার ফাইনালে উঠে ব্যর্থ হওয়ার পর এবার দ্বিতীয় দফায়ও ব্যর্থ হলো।
ফাইনাল ও আসরের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন আবাহনীর কলিনদ্রেস। ৪ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন আবাহনীর ডোর্লিংটন ও রহমতগঞ্জের ফিলিপ আজাহ। ফেয়ার প্লে ট্রফি জিতেছে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জামেল হক এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তাফা কামাল স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধের খেলায় প্রথম সুযোগ তৈরি করে রহমতগঞ্জই। কিন্তু প্রাপ্ত সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে পারেননি সানডে চিজোবা ও ফিলিপ আজাহ। ১২ ও ১৪তম মিনিটে তিনি পরপর দুইটি সুযোগ নষ্ট করেন। প্রথমে তিনি আশরাফুল ইসলামের কাছ থেকে বল পেয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন। অবস্থা সামাল দিতে গোল পোষ্ট ছেড়ে বের হয়ে আসেন গোলরক্ষক শহীদুল ইসলাম সোহেল। কিন্তু তাড়াহুড়া করতে গিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেন সানডে। নাইজেরিয়ান সানডের শট পোষ্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। এবার সেই সানডে চিজোবা ডিফেন্সের দিকে বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। আবাহনী অফসাইডে ফাঁদ পেতে ছিল। ফিলিপ আজাহ সেই ফাঁদ ভেঙ্গে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন। তার পেছনে তখন আবাহনীর তিন খেলোয়াড়। এদিকে আবারও অবস্থার সামাল দিতে পোষ্ট ছেড়ে বের হয়ে আসেন সোহেল। আটকে দেন ফিলিপট আজাহর শট।
আবাহনী প্রথম সুযোগ তৈরি হয় ২৮ মিনিটে। টুটুল হোসেন বাদশার ক্রস থেকে জুয়েলের মাথা ছুয়ে যাওয়া বল ধরে ফেলেন নাবিব নেওয়াজ। অনেকটা ফাঁকা পোষ্টে বল পেয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন জুয়েল। ৪৫তম মিনিটে সানডে চিজোবা আরেকটি ভালো সুযোগ নষ্ট করে পুরান ঢাকার ক্লাবটির সমর্থকদের হতাশায় ডুবান। দুই ডিফেন্ডারকে পিছনে ফেলে বক্সের সামনে থেকে তার নেওয়া তীব্র শট পোস্টের সামান্য উপর দিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধের খেলা যখন গোলশুন্য অবস্থায় শেষ হতে চলেছে। ঠিক তখনই ব্যাবধান তৈরি করে দেন কলিনদ্রেস। রাকিবের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি বেক্সর বাইরে থেকে বাম পায়ের শটে গোল করেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতেই রহমতগঞ্জকে চেপে ধরে আবাহনী। ৪৮ ও ৫০তম মিনিটে কলিনদ্রেসের দুইটি চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ৬৪তম মিনিটে সফল হয় রাকিবের মাধ্যমে। নুরুল নাহিন ফয়সালের চমৎকার ক্রস থেকে গোলরক্ষক রাকিবুল হাসান তুষার ফিষ্ট করলেও তা চলে যায় সামনে দাঁড়ানো রাকিবের কাছে। দেখেশুনে ঠান্ডা মাথায় বাঁ পায়ের শটে জালে বল ঠেলে দিলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।
৬৯তম মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করে রহমতগঞ্জ। বাপ্পির কাছ থেকে বল পেয়ে রক্ষণভাগের দুজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষক শহীদুল ইসলাম সোহেলকে পরাস্ত করে ডান প্রান্ত থেকে ডান পায়ের প্লেসিং শটে নিশানা খোঁজে নেন ফিলিপ আজাহ। এরপরে আর কোনো গোল না হলেও ২-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
এমপি/এসআইএইচ