ক্রিকেট বিশ্ব দেখল উত্থান-পতন: গিবসন
উত্থানের পর পতন, মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের পর ক্রইাস্টচার্চ টেস্ট। এখনইতো বলা যাচ্ছে না বাংলাদেশের উত্থানের পর পতন হয়েছে? কারণ ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের মাত্র প্রথম দিন গিয়েছে। তবে প্রথম দিনই যে আলামত পাওয়া গেছে, তাতে করে এই টেস্টে বাংলাদেশের জন্য সুখকর কোনো কিছু অপেক্ষা করছে না। তবে এর মাঝে একটি বিষয় দেখা হয়ে গেছে ক্রিকেট বিশ্বের। আর তা হলো প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের বোলারদের আগুন ঝরানো বোলিংয়ের পর দ্বিতীয় টেস্টে নিরামিষ বোলিং। দলের বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের দৃষ্টিতে, ‘গত সপ্তাহে আমরা গোছানো বোলিংয়ের যে নজির দেখিয়েছিলাম, এবার তা পারিনি। ল্যাথাম খুব ভালো খেলেছে। সকালে আমাদের অনেক ভালো বল সে ছেড়েছে এবং আমাদেরকে বাধ্য করেছে তার শরীরে বল করতে। আর যেটা বললাম, গত সপ্তাহে যে চাপ সৃষ্টি করতে পেরেছিলাম, এবার তা করার মতো যথেষ্ট ভালো বল আমরা করতে পারিনি। আর কনওয়ে অবিশ্বাস্য ফর্মে আছে। সে গিয়ে সবকিছুই সহজ করে তুলেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজকে আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ওঠা-নামা দেখতে পেলাম। গত সপ্তাহে আমরা অবশ্যই উঁচুতে ছিলাম। তবে গত সপ্তাহের আবেগ ও শারীরিক সম্পৃক্ততার যে মাত্রা ছিল, সম্ভবত সেটির প্রভাব এখনও অনুভব করছি আমরা। নিউ জিল্যান্ড গত সপ্তাহে নিশ্চয়ই চোট পেয়েছে এবং এখানে ঘুরে দাঁড়িয়ে দেখিয়েছে, কেন তারা বিশ্বের সেরা দলগুলির একটি। কেন তারা টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।’
উইকেটে সুবজের আচ্ছাদন দেখে টস জিতে বোলিং নেবেন যে কোনো দলপতিই। মুমিনুলও ভুল করেননি। উইকেটের বৈরি আচরণ নিয় গিবসন বলেন, ‘আমার মনে হয় উইকেটের সবুজ দেখলে যেমনটি মনে হয়, বল ততটা করেনি আজকে। তবে এটিকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চাই না। যতটা ভালো বোলিং করা উচিত ছিল, ততোটা ভালোও আমরা করতে পারিনি।’
নিউ জিল্যান্ড প্রথম দিন ১ উইকেটে ৩৪৯ রান সংগ্রহ করলেও গিবসন মনে করেন এখনো ম্যাচে তার পেসাররা শতভাগ আছেন। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই শতভাগ আছে। বোলিং আক্রমণের যে অনভিজ্ঞতা, ১২ ম্যাচ খেলেই ইবাদত আমাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার। শরিফুল তার তৃতীয় বা চতুর্থ টেস্ট খেলছে, তাসকিন খেলেছে ৯টি। তাদের অনভিজ্ঞতা দেখলে এবং গত সপ্তাহে যারা যে জায়গায় পৌঁছেছে শেখার দিক থেকে আজকের দিনটিও তাদের জন্য শিক্ষার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কঠিন ব্যাপার। প্রতিটি পরিস্থিতির জন্য এখানে প্রস্তুত থাকতে হয়। দুভার্গ্যজনকভাবে গত সপ্তাহের শৃঙ্খলা আমরা আজকে দেখাতে পারিনি। মানসিকতা আজকে ভালো ছিল। স্রেফ যতটা গোছানো দরকার ছিল, ততোটা ছিলাম না আমরা।’
গিবসন মনে করেন, আজকের দিনটি শুধুই একটি দিন গেছে। প্রতিটি দিনই কারো ভালো যাবে না। তাই আগামীকাল নতুন করে প্রাণ সঞ্চার করে আগামীকাল ভালো করার চেষ্টা করা হবে।
তিনি বলেন, ‘এটা স্রেফ আরেকটা দিন। এটার নিশ্চয়তা নেই যে প্রতিটি দিনই কারো ভালো যাবে। আমাদের তাই তরতাজা হয়ে কালকে ভালো দিনের চেষ্টা করতে হবে।’
এমপি/এসআইএইচ