সিডনি টেস্টে শ্বাসরুদ্ধকর ড্র ইংল্যান্ডের
চলমান অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ সিডনি টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে জিততে দিল না ইংল্যান্ড। শ্বাসরুদ্ধকর ড্র বানিয়ে স্বাগতিকদের ছাড়ল সফরকারিরা।
সিডনি টেস্টে ৬ উইকেটে ২৬৫ রানে দ্বিতীয় ইনিংস অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা করলে ইংল্যান্ডের টার্গেট দাঁড়ায় ৩৮৮। সেই টার্গেট তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে চতুর্থ দিন শেষ করে ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার। তবে পঞ্চম দিনে ওপেনার হাসিব হামিদ ব্যর্থতার পরিচয় দিলে জুটি ভাঙে। তবে জ্যাক ক্রাউলি ৭৭ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। কারণ জ্যাককে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ, যার ফলে ৯৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ইংলিশরা।
তবে এমন বিপর্যয় থেকে দলকে বাঁচান অধিনায়ক জো রুট এবং অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ১৫২ বলে ৬০ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামালান তারা। তবে তাদের জুটি এক পর্যায়ে ভাঙেন লিয়ন। ৮৫ বলে ২৪ রান করা রুটকে ক্যাচ আউটের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে পাঠান। এরপর বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি ১২৩ বলে অর্ধশতক পূরণ করা বেন স্টোকসও। বোল্যান্ডের শিকার হন তিনি। ফলে আউট হওয়ার আগে করেন। ফলে ১৯৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসলে ম্যাচ ড্রয়ের চেষ্টায় নামে সফরকারিরা।
তখন অবিশ্বাস্য ব্যাটিং স্কিল দেখায় লো-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। জস বাটলারকে নিয়ে ৬১ বল কাটিয়ে দেন জনি বেয়ারস্টো। তবে ৮৫তম ওভার জোড়া আঘাত হানে অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ফলে আবারও অস্ট্রেলিয়ার জয়ের সম্ভাবনা জেগে উঠে। কিন্তু তখনও ম্যাচ বাঁচানোর আশা ছাড়েনি জ্যাক লিচ ও স্টুয়ার্ট ব্রড।
অষ্টম উইকেটে ৫২ বল খেলে আবারও লড়াই জমিয়ে তোলেন লোয়ার অর্ডার এ দুই ব্যাটার। দিনের দুই ওভার বাকি থাকতে লিচকে (৩৪ বলে ২৬) আউট করলে তীরে এসে নৌকা ডুবার শঙ্কা জেগেছিল। তবে শঙ্কাকে বাস্তবে রুপ নিতে দেননি ব্রড আর জেমস অ্যান্ডারসন। তারা ঠান্ডা মাথায় বল পার করে দেন গুরুত্বপূর্ণ ১২টি বল। ব্রড ৮ রানে ও অ্যান্ডারসন শূন্য রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে ৮ উইকেটে ৪১৬ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। তবে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকদের দলীয় স্কোর ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা টপকাতে না পারলে ১২২ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করলেও ১০০ রান পেরুনোর আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এমন বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তোলেন উসমান খাজা ও ক্যামেরুন গ্রিন। তাদের বিদায়ের পর দেরি করেননি অজি অধিনায়ক। ৬ উইকেটে ২৬৫ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা।
এসআইএইচ