২০২২ আইপিএলে দেখা যাবে না সাকিব-মুস্তাফিজকে
আইপিএলের আগামী মৌসুমে দেখা যাবে না বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানকে। নিলামের আগেই প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকায় নেই তাদের নাম। নিলামে অন্য কোনো ফ্রাঞ্চাইজি যদি তাদের দলে না নেয় , তবে এই দুই ক্রিকেটারকে আগামী আইপিএলে দেখা যাবে না। এখন পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি ২০২২ আইপিএল এর তারিখ।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ক্রিকেটারদের তালিকা জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। সেই অনুযায়ী গতকাল রাতেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের(বিসিসিআই) কাছে ক্রিকেটারদের তালিকা জমা দেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
তালিকানুযায়ী কলকাতা নাইট রাইডার্স পুরনো যেসব খেলোয়াড় ধরে রাখল সেখানে নেই সাকিবের নাম। যদিও গত আইপিএলে এই দলের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন তিনি। তবে পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। কেবল ৩৮ রান, ওভারপ্রতি আটের বেশি রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
এর আগে ২০১১ থেকে টানা ছয়টি আইপিএলে কলকাতার হয়ে খেলেছিলেন সাকিব। পরে তাকে ছেড়ে দেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
অপরদিকে রাজস্থান যাদেরকে ধরে রাখল তাদের মধ্যে নেই বাংলাদেশের কাটার মাস্টার নামে খ্যাত মুস্তাফিজুর রহমান। গত আইপিএলের নিলামে ১ কোটি রুপিতে তাকে নিয়েছিল দলটি।
রাজস্থানের হয়ে ১৪টি ম্যাচ খেলেন তিনি। পারফরম্যান্স খুব একটা খারাপ বলা যাবে না। কারণ সব ম্যাচ মিলিয়ে ১৪টি উইকেট নেন বাঁহাতি এই পেসার। তারপরও তাকে বাদ দিয়ে শেষ পর্যন্ত সাঞ্জু স্যামসন, জস বাটলার ও যাশাসবি জয়সওয়ালকে ধরে রাখল দলটি।
এর আগে আইপিএলের নবম আসর দিয়ে অভিষেক হয় মুস্তাফিজের। ১ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে সেবার তাকে দলে নিয়েছিল । প্রথম আসরেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সি গায়ে বাজিমাত করেন তিনি। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে দলটি শিরোপা জিতে। সেই আসরে ১৭ উইকেট নিয়ে ‘ইমার্জিং প্লেয়ার অব দা টুর্নামেন্ট’ স্বীকৃতি পান তিনি।
পরের দুই আসরে হায়দরাবাদের হয়ে খেলার সুযোগ হয়নি মুস্তাফিজের। উইকেটশূন্য থাকায় ২০১৮ আইপিএলে তাকে ছেড়ে দেয় দলটি। ২০১৮ আইপিএলে তাকে নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। দলটির হয়ে ৭ ম্যাচ খেলে নেন ৭ উইকেট।
এসআইএইচ