অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে কাল ভারত যাচ্ছে বাংলাদেশ
ফিফা উইন্ডো থাকলে দেশের হয়ে খেলার জন্য ক্লাবগুলো খেলোয়াড় ছাড়তে বাধ্য থাকে। এর বাইরে জাতীয় দল কিংবা বয়স ভিত্তিক দলের জন্য ক্লাবগুলো খেলোয়াড় ছাড়তে বাধ্য নয়। তবে তারা ইচ্ছে করলে ছাড়তে পারে। ভারতের উড়িষ্যার ভুবেনেশ্বরে শুরু হতে যাওয়া সাফ অনূর্ধ্ব-২০ আসরের জন্য ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের একাধিক ক্লাব তাদের খেলোয়াড় ছাড়েনি। যেখানে নাম আছে চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করা বসুন্ধরা কিংসের। আছে মোহামেডান ও শেখ রাসেলে ক্রীড়া চক্রও।
একাধিক ক্লাব তাদের নিজ নিজ খেলোয়াড় না ছাড়লেও নাম বেশি উঠে এসেছে বসুন্ধরা কিংস খেলোয়াড় না ছাড়াতে। একে তো বসুন্ধরা কিংসের শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে। তাদের খেলা বাকি আছে আরও দুটি। দুটি ম্যাচই নিয়ম রক্ষার। তাদের ক্লাবের দুজন খেলোয়াড় সুযোগ পেয়েছিলেন। তাদের একজন হলেন ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাত। শেষ ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে তিনি দু'বার হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন ৩৫ মিনিটে। এ কারণে তিনি বসুন্ধরার হয়ে পরের ম্যাচও খেলতে পারবেন না। তারপরও তাকে বসুন্ধরা কিংস ছাড়েনি। অপরজন হলেন রিমন। বিষয়টিকে অবশ্য স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছে বাফুফে।
সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘এ বিষয় নিয়ে আমরা বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা জানিয়েছে, ইয়াসিন ও রিমনকে ছাড়বে না। প্রিমিয়ার লিগে তাদের আরও দুটি ম্যাচ রয়েছে। ২০১৭ সালে ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ফাইনালে উঠেছিল। ক্লাব না ছাড়াতে তাদের এক ফুটবলার ফাইনাল খেলতে পারেনি।’ এই দলের কোচের দায়িত্ব আছেন বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল থমাস স্মলি। তিনি বলেন, ‘ফিফা উইন্ডো না থাকলে ক্লাবগুলো খেলোয়াড় ছাড়তে বাধ্য থাকে না। এটি বিশ্বের সব জায়গাতেই হয়ে থাকে। এটাই স্বাভাবিক।’
মোহামেডান ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র খেলোয়াড় না ছাড়ার কারণ পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থার উন্নতির বিষয় আছে। দুই দলেরই দুটি করে খেলা বাকি আছে। ২০ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডান আছে পঞ্চম স্থানে। শেখ রাসেল ২২ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে। দুই দলেরই পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থানকে আরও উপরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই তারা তাদের খেলোয়াড়দেরকে ছাড়েনি।
এই আসর আগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৯ হিসেবে। এবার হচ্ছে অনূর্ধ্ব-২০ হিসেবে। বাংলাদেশ দল আগামীকাল শুক্রবার ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বে। পাঁচ দলের আসর শুরু হবে ২৫ জুলাই। আসরের অপর দলগুলো হলো- মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও স্বাগতিক ভারত। একদিন পর পর খেলা। ২৫, ২৭, ২৯, ৩১ জুলাই এবং ২ আগষ্ট প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ। বাংলাদেশ প্রথম দিন খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ২৭ জুলাই দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত। মালদ্বীপের বিপক্ষে ২৯ জুলাই খেলবে তৃতীয় ম্যাচ। ২ আগস্ট শেষ প্রতিপক্ষ নেপাল। লিগ পর্বের শীর্ষে থাকা দুই দল খেলবে ফাইনাল ৫ আগস্ট।
উল্লেখ্য, গত আসরে ভারত ফাইনালে বাংলাদেশকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল।
এমপি/এসজি/