শ্রীলঙ্কা ও এসিসি যেখানে চাইবে সেখানে এশিয়া কাপ
দেশের উত্তপ্ত রাজৈনিতক পরিস্থিতি ও ভেঙ্গে পড়া অর্থনৈতিক সংকটের মাঝেও লঙ্কানি ক্রিকেটে বোর্ড ক্রিকেট খেলা মাঠে রেখেছিল। বাংলাদেশ সফরে দল পাঠিয়েছে। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সফল সিরিজ আয়োজনে পর এখন চলছে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ।
এ সবের আলোকে তারা এশিয়া কাপ আয়োজনেরও আশা রেখেছিল। নিজেদের সেই ইচ্ছে তারা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকেও (এসিসি) জানিয়ে রেখেছিল। এসিসিও তাদের সেই আন্তরিকতাকে সম্মান জানিয়ে অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা আর পারেনি। হার মেনেছে দেশর রাজনৈতিক পরিস্থির কাছে। সরে দাঁড়িয়েছে এশিয়া কাপ আয়োজন থেকে।
এ রকম পরিস্থিতিতে একটি দেশকে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করা যায়। কিন্তু ছয় দলকে নিয়ে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব নয়। তাই তাদের এ রকম পিছুটান। তারা এই অনাগ্রহের কথা এসিসিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে। এখন এসিসি পরবর্তি পদক্ষেপ নেবে কোথায় আয়োজন করা যায়।
খেলার ফিক্সচার চূড়ান্ত না হলেও লঙ্কাতে আয়োজনের তারিখ ছিল ২৭ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টম্বর পর্যন্ত।এশিয়া কাপ আয়োজন থেকে সরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা নিজেদের ঘরোয়া লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগও (এলপিএল) স্থগিত করা হয়েছে।
লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড নিজেরা সরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি এসিসিকে জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত অথবা অন্য কোনো দেশেও আয়োজন করতে চায়। এশিয়া কাপ এবারের আসর টি-টোয়েন্টি। মূলত অক্টেবারে অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই এই আয়োজন। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই আয়োজন করতে হবে এসিসিকে। চাইলেই আর পেছানোর সময় নেই। তাই এসিসি দ্রুতই আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ভেন্যু ও সূচি চুড়ান্ত করে তা জানিয়ে দেবে।
অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে হওয়ার কথা রয়েছে। এসিসি আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এই টুর্নামেন্টের সূচি ও ভেন্যু জানাবে।
এদিকে শ্রীলঙ্কা সরে দাঁড়ানোর আগে ভারতীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছিল বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশেই আয়োজনের সম্ভাবনা বেশি। এদিকে শ্রীলঙ্কার প্রথম পছন্দ সংযুক্ত আরব আমিরাত। এখন তারা যদি আয়োজন না করে সে ক্ষেত্রে আসবে বাংলাদেশের নাম। কিন্তু এ ব্যাপারে বিসিবি একেবারেই নিরব। শ্রীলঙ্কা সরে দাঁড়ানোর আগে তারা যেমন কথা বলেছিল, সরে দাঁড়ানোর পরও প্রায় একই কথা বলা হচ্ছে।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘এখানে বিসিবির কোনো কিছু নেই। এই আসরের সম্পূর্ণ রাইটস শ্রীলঙ্কার। তা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, কিংবা আরব আমিরাত যেখানেই আয়োজন করা হোক তাদেরই রাইটস থাকবে। এখানে বাংলাদেশের আগ্রহ দেখানোর কিছু নেই। এসিসি ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড যেখানে চাইবে সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে।
এমপি/এমএমএ/