আলোর পথে বিসিবির আঞ্চলিক অ্যাসোসিয়েশন
বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটার উঠে আসে ভারত থেকে। কারণ তারা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের উপর নির্ভরশীল নয়। তাদের আঞ্চলিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন খুবই শক্তিশালী। ক্রিকেটের ভীত মজবুত করার আসল খুটিই হলো এই আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা। কিন্তু ২০০০ সালে বাংলাদেশ আইসিসির পূর্ণ সদস্য হওয়ার পরও গঠন করতে পারেনি এই আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা। অবশেষে দীর্ঘ ২২ বছর পর মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিসিবির এজিএমে গঠনতন্ত্রে সংশোধনী এনে এই সংস্থা গঠনের অনুমোদন পেয়েছে।
এই একটি সংস্থা গঠনে ২২ বছর পার হয়েছে। এর মাঝে বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনই পার করেছেন এক দশক। তার এই সময়কালীন দুই দুইটি মেয়াদ আট বছর পার করেছে। কিন্তু তিনি তা করতে পারেননি। তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম এজিএমেই তা অনুমোদন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কন্সটিটিউশনাল অ্যামেন্ডমেন্টের (গঠনতন্ত্র সংশোধনী) মধ্যে একটা ছিল আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা। সেটা আজ হয়ে গেল। আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা করতে এখন আর বাধা রইল না।’
আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা তো অনুমোদন পেল। কিন্তু কিভাবে সেগুলো কাজ করবে। সেটার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘বড় বিভাগে ১৭ ও ছোট বিভাগে ১১ সদস্যের কমিটি হবে। এই কমিটিতে স্থানীয়রা যেমন থাকবেন, তেমনি বিসিবি থেকেও লোক দেওয়া হবে।’
দেশের আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা মানে এক একটি বিভাগ। বর্তমানে দেশে বিভাগ আছে আটটি। কিন্তু বিসিবির হিসেবে আছে সাতটি। ময়মনসিংহকে হিসাবে ধরা হয়নি। এটি ঢাকা বিভাগের অধীনে থাকবে বলে জানান বিসিবি সভাপতি।
আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা তো অনুমোদন পেল। কিন্তু কাজ শুরু করবে কখন বা আলোর মুখ দেখবে কখন। সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন ছুটে গিয়েছিল বিসিবি সভাপতির দিকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাকে বললে আমি বলব এক মাসের মধ্যে কাজ শুরু করবে। কিন্তু বাস্তব সত্য হলো এখানে কিছু কার্যক্রম আছে। আজ এজিএমে এটি অনুমোদন পেয়েছে। কিন্তু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিসিবিকে। আমরা পরবর্তী বোর্ড সভায় বসে সব ঠিক করে নেব।’
এমপি/এসজি/