দল পাননি আশরাফুল
মোহাম্মদ আশরাফুল। হার্ডহিটার ব্যাটসমান। এক সময় বাংলাদেশের জয়ে জ্বলে উঠতো তার ব্যাট। টেস্ট স্টাাটাস প্রাপ্তির শুরুর দিকে বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেটে মাঝে মাঝে যে জয় পেতো তা আসতো আশরাফুলের ব্যাট ছুঁয়েই। ২০০৫ সালে কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো ম্যাচে তার সেঞ্চুরি, পরের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নটিংহ্যামে ৫২ বলে ৯৪ রান, যদিও ম্যাচটা বাংলাদেশ হেরেছিল, ২০০৭ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ে ৮৩ বলে ৯৭ রানের ইনিংস এখনো জীবন্ত হয়ে আছে। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় আশরাফুল নেই আগের অবস্থানে। তাইতো এবারের বিপিএলে ছয় ফ্রাঞ্চাইজির কোনো দলই তাকে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি।
দেশি ক্রিকেটারদের কোটায় এক একটি ফ্রাঞ্চাইজি ১০ জন থেকে ১৪ জন ক্রিকেটার নেয়ার সুযোগ ছিল। ড্রাফটে মোট খেলোয়াড় সংখ্যা ছিল ২০৩ জন। আশরাফুল ছিলেন ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে। পারিশ্রমিক ছিল ১৮ লাখ টাকা। আশরাফুলের মতোই দল পাননি জাতীয় দলের আরেক সাবেক ক্রিকেটার ও আরেকজনের বিবাহিত বউকে বিয়ে করে বিতর্কিত হওয়া নাসির হোসেন।
জাতীয় দলের হয়ে নিউজিল্যান্ড সফরে থাকা পেসার আবু জায়েদ রাহীর প্রতিও আগ্রহ দেখায়নি কোনো দল। তবে তার থেকেও বিষ্ময় ছিল লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের দল না পাওয়া। সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিনি সব ম্যাচ খেলেছিলেন। উইকেট পেয়েছিলেন দুইটি। বাংলাদেশের লেগ স্পিনারদের মাঝে তাকেই সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনাময়ী হিসেবে মনে করা হয়।
দল না পাওয়ার তালিকায় আছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমও। পাকিস্তানের বিপক্ষে হঠাৎ করেই টি-টোয়েন্টি সিরিজে অভিষেক হয়েছিল টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ওপেনার সাইফ হাসানকে। দুই ম্যাচে খেলে তিনি নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। সংগত কারণেই ফ্রাঞ্চাইজিরা তাকে বিবেচনা করতে পারেননি।
এমপি