মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১৯ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ফিরে দেখা ২০২১

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে হতাশার নাম ক্রিকেট

স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ বিভিন্ন সেক্টরে অনেক উন্নতি করেছে। সেই উন্নতির তালিকায় আছে ক্রীড়াঙ্গনও। ক্রীড়াঙ্গনে সেটি আবর্তিত হয়েছে ক্রিকেট ঘিরে। একমাত্র ক্রিকেটই স্বাধীনতার পর দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এক কাতারে শামিল করেছিল। সে ছিল এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। আর কখনও অন্য কোনো ক্ষেত্রে এ রকম হয়নি। এরপর যা হয়েছে তাও এই ক্রিকেটকে ঘিরেই। তাই ক্রিকেট দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করা বাঙ্গালি জাতির আশা-ভরসার প্রতীক। এক টুকরো আনন্দ বিলাস। সেই ক্রিকেটই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশবাসীকে উপহার দিয়েছে একরাশ হতাশা। ব্যর্থতার অথৈ সাগরে খাচ্ছে হাবুডুবু। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চরম ব্যর্থতায় দেশবাসীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। সেই রক্তক্ষরণ থেকে হয়েছে ক্ষত। যে ক্ষত না শুকিয়ে আরও গভীর হচ্ছে। কারণ ক্রিকেট দলের ব্যর্থতা অব্যাহত রয়েছে। চুইংগামের মতো হচ্ছে লম্বা!

ব্যর্থতার নাম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

করোনার কারণে অন্য অনেক কিছুর মতোই ২০২০ সালে গৃহবন্দি ছিল ক্রিকেট। সেখান থেকে মুক্তির আনন্দ পায় ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে। সিরিজ শুরু করেছিল তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজে। সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করলেও দুই টেস্টের সিরিজে নিজেরাই হয় হোয়াইটওয়াশ। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিউ জিল্যান্ডের কাছে হারলেও জিম্বাবুয়ে-শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ ছিল জয়-পরাজয়ের মিশ্রণে। এরপর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডকে আমন্ত্রণ জানিয়ে রীতিমতো নাজেহাল করে ছাড়ে। দুইটিই ছিল পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ ও নিউ জিল্যান্ডকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে জয় পায়।

টি-টোয়েন্টি সিরিজের এ রকম অর্জনে বুক ভরা আশা নিয়ে বাংলাদেশ খেলতে গিয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর সেখানেই নেমে আসে ঘোর অমানিশা। মূল পর্বে যাওয়ার আগে ছিল প্রাথমিক রাউন্ডে উতরে যাওয়া। সেখানে প্রথম ম্যাচেই স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে খায় হোচট। সেই হোচট এমনই বিষ ফোঁড় হয়ে দেখা দেয় যে, কোনো রকমে মূল পর্বে যেতে পারলেও সেখানে গিয়ে আর কোনো ম্যাচ জিততেই পারেনি। সময় যত গড়িয়েছে নিজেদের মানের অবনতি তত হতে থাকে। নিম্নগামী রেখার মতো তা একেবারে নিচে নেমে আসে। শেষ দুই ম্যাচে আগে ব্যাট করে শতরানও করতে পারেনি।

জয়-পরাজয় খেলারই অংশ। কিন্তু বাংলাদেশ যেভাবে হেরেছিল, তাতে করে মনে হয়েছে আর্ন্তজাতিক পরিমণ্ডলে নবিশ শিশু। এ নিয়ে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। স্কটল্যান্ডের কাছে হারের পর স্বয়ং বিসিবি সভাপতিও প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমে দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের একহাত নেন। বিসিবি সভাপতির এভাবে প্রকাশ্যে বলাটাকেও অনেকে ভালোভাবে নেননি। তার কথার জবাব মুশফিক-মাহমুদউল্লাহও পরোক্ষভাবে দেন। মুশফিক তো বলেই ছিলেন আয়নায় নিজেদের মুখ দেখার জন্য! এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তীর্যক বাক্যবানে জর্জরিত হতে থাকে দল ও দলের ক্রিকেটাররা। সেই ঝড় এখনও থামেনি। এই ঝড় আরও বেগবান হয়েছে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের কাছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাজেভাবে হেরে। বাংলাদেশ দল এতোটাই খারাপ খেলেছে যে দুই টেস্ট সিরিজের শেষ টেস্ট প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে সবমিলিয়ে তিনদিনও খেলা হয়নি। তারপরও হেরেছিল ইনিংস ব্যবধানে। সব ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে নতুন সূর্যোদয়ের আশায় বাংলাদেশ দল গিয়েছে নিউ জিল্যান্ডে। নতুন বছরের প্রথম দিনই মাঠে নামবে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে।

২০২১ সালে বাংলাদেশ টেস্ট খেলেছে ৭টি। পাঁচটিতে হারের বিপরীতে জয় মাত্র একটিতে। সেই জয় ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২২০ রানে। একমাত্র ড্র ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। টি-টোয়েন্টি ২৭ ম্যাচ খেলে জয় ১১টি। যার সাতটিই ছিল নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে হোম কন্ডিশনকে কাজে লাগিয়ে। এ ছাড়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুইটি ও ওমান, পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে একটি করে জয় আছে। ১৬টি হারের মাঝে সবচেয়ে বেশি হার ছিল নিউ জিল্যান্ডের কাছে পাঁচটি। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল দুইটিতে। একটি করে হার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি সফল ওয়ানডেতে। চলতি বছরও সেই ধারাবাহিকতা ছিল। ১২ ম্যাচ খেলে আটটিতেই পেয়েছে জয়। জয়গুলো ছিল ওয়েস্টইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনটি করে এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুইটি। চার হারের তিনটি ছিল নিউ জিল্যান্ড ও একটি শ্রীলঙ্কার কাছে।

টেস্ট ক্রিকেটে লিটন দাস ৭ ম্যাচের ১২ ইনিংসে ৫৯৪ রান করে বাংলাদেশিদের মাঝে আছেন সবার উপরে আর বিশ্বে বারো নম্বরে। মমিুনল হক ৭ ম্যাচে ১৩ ইনিংস, ৫০৩ রান করে আছেন লিটনের পরেই। বিশ্বে তার অবস্থান আবার সতেরো। বোলিংয়ে সবার উপরে তাইজুল। ৬ ম্যাচে ১০ ইনিংস ৯১৫ রানে ৩০ উইকেট নিয়ে বিশ্ব তালিকায় আছেন আটে। তার সেরা বোলিং সেরা ৭/১১৬। মেহেদী হাসান মিরাজ ৭ ম্যাচে ১২ ইনিংস ৯১৮ রানে ২৫ উইকেট নিয়ে আছেন বাংলাদেশিদের মাঝে দ্বিতীয় স্থানে। তার সেরা বোলিং ৫/৮২। বিশ্বে তার অবস্থান ষোলো নম্বরে।

ওয়ানডেতে দেশের মাঝে সবার উপরে তামিম ইকবাল। ১২ ম্যাচে ৪৬৪ রান করে বিশ্বে আছেন তিন নম্বরে। মুশফিক ৯ ম্যাচে ৪০৭ রান করে তামিম ইকবালের পরে থাকলেও বিশ্বে তার অবস্থান ছয়ে। তিনে থাকা মাহমুদউল্লাহ ১২ ম্যাচে ৩৯৯ রান করে আছেন বিশ্ব তালিকায় আটে। বোলিংয়ে দেশি বোলারদের মধ্যে সবার উপরে মোস্তাফিজ। ১০ ম্যাচে ৩৮৮ রান দিয়ে তার উইকেট ১৮টি। সেরা বোলিং ১৬ রানে ৩ উইকেট। বিশ্বে তার অবস্থান চারে। সাকিব ৯ ম্যাচে ২৯৮ রান দিয়ে ১৭ উইকেট নিয়ে দেশে ও বিশ্বে আছেন মোস্তাফিজের পরের স্থানেই। তার বোলিং ২৫ রানে ৪ উইকেট।

টি-টেয়েন্টিতে মোহাম্মদ নাঈম ২৬ ম্যাচে ৫৭৫ রান করে দেশি ব্যাটসম্যানদের মাঝে এক ও বিশ্বে ছয় নম্বরে আছেন। ২৬ ম্যাচে ৪৯৬ রান করে মাহমুদউল্লাহ নাঈমের পরে থাকলেও বিশ্বে আছেন নয় নম্বরে। ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও দেশিদের মাঝে সবার উপরে মোস্তাফিজ। ২০ ম্যাচে তার উইকেট ২৮টি। বিশ্বে তার অবস্থান পাঁচে। এখানেও দেশিদের মাঝে সাকিব আছেন তার পরের স্থানে। ১৮ ম্যাচে ২৫ উইকেট নিয়ে বিশ্বে সাকিবের অবস্থান নয়ে।

টেস্টে সেঞ্চুরি হয়েছে সাতটি। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল ২টি করে সেঞ্চুরি করেছেন। নাজমুলের ইনিংস ছিল ১৬৩ ও অপরাজিত ১১৭। মুমিনুলের দুইটি সেঞ্চুরি ছিল (১২৭ ও ১১৫)। একটি করে সেঞ্চুরি করেছেন সাদমান ইসলাম (১১৫), মাহমুদউল্লাহ (১৫০) ও লিটন দাস (১১৪)। ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছেন দুইজন। তামিম ইবাল ১১২, লিটন দাস ১০২। এ ছাড়া একটি ম্যাচে সাকিব ৯৬ রানে অপরজিত ছিলেন। টি-টোয়েন্টিতে কেউ সেঞ্চুরি করতে পারেননি। এমনকি সত্তরোর্ধ্ব ইনিংসও নেই একটি।

তামিম ইকবালের নিজেকে সরিয়ে নেওয়া

জিম্বাবুয়ে সফরের পর তামিম ইকবালকে আর আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে দেখা যায়নি। ইনজুরির কারণে তিনি টি-টেয়েন্টি সিরিজের পর টেস্ট না খেলেই দেশে ফিরে আসেন। এখন পর্যন্ত তিনি দলের বাইরেই আছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে তিনি নিজ থেকেই খেলবেন না বলে বিসিবিকে জানিয়ে দেন। এর মাঝে বাংলাদেশ দল ওয়ানডে ছাড়া টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। তামিম ইকবাল বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।

সাকিবের ফেরা ও নিষেধাজ্ঞা!

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন রাখার জন্য আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ ছিলেন সাকিব। সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ করে তিনি আবার আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে ফেরেন ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজরে বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে। সেই সিরিজে তিনি সেরা ক্রিকেটার হন। নিষিদ্ধ থাকার কারণে ঘরোয়া ক্রিকেটের দল-বদল তিনি করতে পারেননি। কিন্তু সে বছর খেলাই হয়নি। পরে এবার ৫০ ওভারের খেলার পরিবর্তে ২০ ওভারের খেলা হয়। সাকিবকে দলে নেয় মোহামেডান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর বিপক্ষে খেলায় আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি লাথি দিয়ে স্ট্যাম্প ভেঙ্গে ফেলেন। তর্কে জড়িয়ে পড়েন আম্পায়ারের সঙ্গেও। এ ঘটনায় সাকিব তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে তিনি আবার লিগে মোহামেডানের হয়ে অংশ নেন। লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আবাহনী।

এখানেই শেষ নয় সাকিবের ঘটনা। নিউ জিল্যান্ড সফরে তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে টেস্ট সিরিজ না খেলার জন্য ছুটি নেন। এ সময় তিনি বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে অংশ নেন বলে জানা যায়। খেলার পাশাপাশি সাকিব ব্যবসায়ীও হয়ে উঠেছেন। এ বছর তিনি একটি ব্যাংকের সঙ্গে মালিক হিসেবে সম্পৃক্ত হন। সাকিবের সঙ্গে তার মাও আছেন মালিকপক্ষ হিসেবে।

বিসিবির বিতর্কিত নির্বাচন

এ বছর ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন। গত দুই বারের মতো এবারও বলা যায় নির্বাচন হয়নি। তিন ক্যাটগরিতে নির্বাচন হলেও সবচেয়ে আকর্ষণীয় ক্লাব কোটায় ছিল নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও তারা ছিলেন ডামি প্রার্থী। তবে এই কোটায় পরিচালনা পরষদে ঢুকতে জোর লবিং হয়েছিল। যে কারণে সেখানে কিছু পরিবর্তনও আনতে হয়েছে। প্রথমে বিসিবি সভাপতির অঘোষিত তালিকায় থাকলেও পরে বাদ পড়ে যান মোহামেডান ক্লাবের ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান। তিনি এককভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও নির্বাচনের আগের দিন প্রত্যাহার করে নেন। বিসিবির আগের পরিচালক শওকত আজিজ রাসেল মনোনয়ন পত্র কিনলেও পরে জমা দেননি। জমজমাট নির্বাচন ছিল বাকি দুই ক্যাটাগরিতে। ‘এ' ক্যাটাগরিতে খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে হেরে যান ক্রিকেট কোচ ও বিশেষজ্ঞ নাজমুল আবেদীন ফাহিম। একইভাবে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে হেরে যান জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট।

এই নির্বাচনে নতুন করে পরিচালক হয়ে আসেন বেশ কয়েকজন। আবার বেশ কয়েকজন পরিচালক নিজ থেকেই সরে দাঁড়ান। নির্বাচনের পর নাজমুল হাসান পাপন টানা তৃতীয়বারের মতো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবির সভাপতি নির্বাচিত হন।

প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকার পরও বিসিবি এই নির্বাচনে অদ্ভুত কিছু নিয়ম করে। করোনার কারণে পোস্টাল ভোট, ই-মেইলে ভোটের ব্যবস্থা রাখা হয়। এ নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। বিশেষ করে করোনাকে কারণ হিসেবে দেখানো হলেও সে সময় দেশের সবকিছু ছিল স্বাভাবিক। স্কুলও খুলে দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনে জয়ী হতেই এ রকম ব্যবস্থা করা হয়েছিল অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনও কোনো সদোত্তর দিতে পারেনি। এমনকি কতজন পোস্টাল ভোট দিয়েছেন, কতজন ই-মেইলে ভোট দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন ফলাফল প্রকাশের সময় তাও জানায়নি।

মোহামেডান ক্লাবের নির্বাচন

বাংলাদশের ক্লাবগুলোতে নির্বাচন হয়ই না। সেখানে ব্যতীক্রম ছিল ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। ক্যাসিনোকাণ্ডের কারণে থমকে যাওয়া ক্লাবটিতে এই নির্বাচনকে ঘিরে প্রাণের উচ্ছ্বাস দেখা দেয়। ১৬টি পরিচালক পদে ২০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ক্লাবের গভর্নিংবডির সভাপতি নির্বাচিত হন সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল (অব.) আব্দুল মুবীন।

নির্বাচনের পর ফুটবল-ক্রিকেট-হকিতে শক্তিশালী দল গড়া হয়। ক্রিকেটে আগামী মৌসুমের জন্য সাকিব-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ-তাসকিনদের নিয়ে শক্তিশালী দলও গড়া হয়। কিন্তু বিসিবির নির্বাচনকে ঘিরে আবার ক্লাবটিতে অন্তঃদ্বন্দ্ব দেখা দেয়। বিশেষ করে কাউন্সিলরশিপ নিয়ে। মোহামেডান ক্লাব থেকে আগে কাউন্সিলর হয়েছিলেন লোকমান হোসেন ভূঁইয়া ও মাহবুব আনাম। এবারও এই দু্ইজন আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু ক্যাসিনোকাণ্ডের কারণে লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে কাউন্সিলরশিপ দিতে আগ্রহী ছিলেন না ক্লাবটির গভর্নিংবডির সভাপতি। পরে লোকমান হোসেনের পরিবর্তে সেখানে কাউন্সিলর করা হয়েছিল ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামানকে। মাহবুব আনাম ছিলেন অপর কাউন্সিলর।

মেয়েদের সাফল্য

ছেলেদের হতাশার বছরে আনন্দ বার্তা ছিল মেয়েদের ক্রিকেটে। প্রথমবারের মতো তারা মেয়েদের বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বে প্রথম দিন ম্যাচের দুইটিতে জিতেছিল বাংলাদেশ। শুরু করেছিল পাকিস্তানকে হারিয়ে। পরে অমিক্রনের কারণে আইসিসি আসর স্থগিত করে দেয়। এতে করে র‍্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে বাঘিনীরা বিশ্বকাপে খেলার সনদ পেয়ে যায়। এই আসর খেলার আগে তারা জিম্বাবুয়েকে তাদের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজে হার মানিয়েছিল।

মাহমুদউল্লাহর অবসর নিয়ে নাটক

পঞ্চপাণ্ডবের একজন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে তিনি আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শততম টেস্টে দলে থেকেও তিনি বাদ পড়েছিলেন। টি-টোয়েন্টি দলের এই অধিনায়ক দীর্ঘদিন টেস্ট দলের বাইরে থাকার পর জিম্বাবুয়ে সফরে একমাত্র টেস্টে আবার ডাক পেয়েছিলেন। ফিরেই খেলেন ১৫০ রানের ইনিংস। আর সে ইনিংস খেলার পরই একই টেস্টের মাঝ পথে ড্রেসিংরুমে তিনি সতীর্থদের জানান সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে তার অবসরের কথা। হারারেতে টেস্টের শেষ দিন সতীর্থরা তাকে গার্ড অব অর্নারও প্রদান করেন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে মিডিয়ার সামনে তিনি সে কথা ঘোষণা দেননি। জানা গেছে বিসিবির উপর মহলের নির্দেশেই মাহমুদউল্লাকে বিষয়টি চেপে যেতে হয়েছিল। পরে তার সেই ঘোষণা এসেছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দল ঘোষণার পর বিসিবি থেকে পাঠানো প্রেস রিলিজে।

নাসিরের ঘটনা

বছরের শুরুতেই নাসির হোসেন অন্যজনের বিবাহিত স্ত্রীকে বিয়ে করে বিতর্কের জন্ম দেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাস দিবসে নাসির বিয়ে করেন কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা তাম্মিকে। জাঁকজমকভাবে অনুষ্ঠান করেন ১৮ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু সেখানে আবির্ভূত হন রাকিব হাসান নামে এক ব্যক্তি। যিনি তামিমা তাম্মির স্বামী। তাদের ৮ বছরের এক কন্যা সন্তানও আছে। ২০১১ সালে তাদের বিয়ে হয়েছিল। তামিমাকে বিয়ে করা নিয়ে নাসির-রকিবের ফোনালাপ ফাঁস হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ নিয়ে নাসির সব স্বীকারও করেন যে, তিনি জেনে-শুনেই বিয়ে করেছেন। বিষয়টি পরে আইন-আদালতে গড়ায়।

এমপি/টিটি

Header Ad

বদলগাছিতে মাইক্রোবাস থেকে ককটেল নিক্ষেপ, ৬টি উদ্ধার

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর বদলগাছীতে মাইক্রোবাস থেকে দুটো ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া অবিস্ফোরিত ৬টি ককটেল উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার (৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার গোবরচাঁপা হাট নামক স্থানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুল ফটকের সামনে এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর ফলে পুরো বাজারে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ‍

এদিকে ঘটনার পর এদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তাদের বিচার দাবি করে।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারা জানান, সোমবার রাতে উপজেলার মিঠাপুরের দিক থেকে একটি মাইক্রোবাস আসছিল। ওই মাইক্রোবাসটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে আসা মাত্রই হঠাৎ করে ককটেল বিস্ফোরণে শব্দ শোনা যায়। ধারণা করা হচ্ছে ওই মাইক্রোবাস থেকে ককটেলগুলো নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে কারো কোনো ক্ষতি না হলেও বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মাইক্রোবাসটি গোবরচাঁপা হয়ে বদলগাছীর দিকে চলে যায়।

রাত সাড়ে নয় টার দিকে জানতে চাইলে বদলগাছী উপজেলা বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু রায়হান গিটার মুঠোফোনে বলেন, আমি শব্দ শুনতে পেয়ে সেখানে যাই। গিয়ে শুনতে পাই দুটো ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। মাইক্রোবাস থেকে ককটেল গুলো নিক্ষেপ করা হয়েছে। আর জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। তিনি আরও বলেন, দেশ ও সমাজকে অস্থিতিশীল করা কারো কাম্য নয়। আমরা সমাজকে ভালো করে গড়তে চাই। তবে জয় বাংলার স্লোগান দেওয়াতে আমরা মনে করছি আওয়ামীলীগের দোসরার এখনও আছে এবং জানান দিচ্ছে তারা মাঠে আছে। তাই যারা এধরণের অন্যায় কাজ করবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

রাত দশটার দিকে বিষয়টি ঢাকাপ্রকাশকে নিশ্চিত করেছেন বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ্জাহান আলী। তিনি বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা হই। এসময় দুটো সাদা মাইক্রোবাস বদলগাছীর দিকে চলে যেতে দেখা যায়। এরপর আমরা ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত তাজা ৬টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সেখানে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।

তিনি আরও বলেন, এঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে তারা কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছে সেটা আমার জানা নেই। মামলার প্রস্তুতি চলছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad

বিএনপির সঙ্গে ঐক্যে আগ্রহী আওয়ামী লীগ: ড. হাছান মাহমুদ

সাবেক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যভিত্তিক বাংলা স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল ‘চ্যানেল এস’-এর মতামতভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘অভিমত’-এ গত ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির সঙ্গে ঐক্যের সম্ভাবনা নিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রয়োজন হলে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত রয়েছে।

আওয়ামী লীগের সংকট মোকাবিলা ও ঐক্যের বার্তা: অনুষ্ঠানের সঞ্চালক বুলবুল হাসানের প্রশ্নের উত্তরে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ অতীতেও সংকট মোকাবিলা করেছে এবং সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশের প্রতি বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং টানা চারবার ক্ষমতায় এসেছে। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের বিপর্যয় ইতোপূর্বেও ঘটেছে, কিন্তু আমরা ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছি।”

জাতীয় সংকটে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা: ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জাতীয় রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বিএনপির অনেক বক্তব্যের সঙ্গে আওয়ামী লীগ একমত। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ১/১১-এর সময় বিএনপির সঙ্গে মিলে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে শরিক হয়েছিল। বর্তমানেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলোর অনেক বক্তব্য, যেমন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি, আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে গেলে দেশের গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে একযোগে কাজ করার সুযোগ তৈরি হতে পারে।

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের বিরোধিতা ও রাজনৈতিক সংকট: বিএনপি কর্তৃক ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, “কোনো রাজনৈতিক দলকে কাগজে কলমে নিষিদ্ধ করলে তার কার্যকারিতা নেই। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা অলীক কল্পনা।” তিনি আরও বলেন, “যে দলের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সৃষ্টি, সেই দলকে নিষিদ্ধ করার চিন্তা কেবল বিভ্রান্তিকর।”

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার: ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয়ে বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জাতীয় নেতাদের হত্যা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। ৫ আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতিও এ ধরনের ষড়যন্ত্রের ফসল।” পুলিশি নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের প্রশ্নে তিনি বলেন, “আত্মরক্ষার অধিকার পুলিশের রয়েছে, এবং সেক্ষেত্রে সরকারের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ করা হবে।”

রাজনৈতিক সহিষ্ণুতা ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব: আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাই আওয়ামী লীগের প্রাণ এবং দলীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমেই ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। বিদেশে আওয়ামী লীগ কোনো প্রবাসী সরকার গঠনের চিন্তা করছে না বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।

দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য বার্তা: দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “আওয়ামী লীগ পরপর চারবার ক্ষমতায় এসেছে এবং কঠিন সময়ও অতিক্রম করেছে। নেতাকর্মীদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই; শেখ হাসিনা দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল এবং তার মনোবল চাঙ্গা রয়েছে।” তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “এই সংকটময় সময়ও কেটে যাবে, এবং সহসা দেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসবে।”

রাষ্ট্র পরিচালনা ও ভুলের স্বীকারোক্তি: সরকারের ব্যর্থতার প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “দায়িত্বে থাকলে ভুল হবেই, এটিই স্বাভাবিক। আমরাও বিভিন্ন সময়ে ভুল করেছি। কিন্তু ভুল থেকেই শিক্ষা নেওয়া উচিত, এবং সেখান থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।”

এই আলোচনার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের অবস্থান পরিষ্কার হলো যে, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে প্রয়োজন হলে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করতেও দলটি প্রস্তুত।

Header Ad

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ বন্ধ, বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সরকারের ৪০ হাজার কোটি ঋণ পরিশোধ

ছবি: সংগৃহীত

মূল্যস্ফীতি এখন দেশের অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্যে নাগরিক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহলেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠেছে। সরকার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া বন্ধ করেছে সরকার, যা মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে কার্যকরী পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস-জুলাই থেকে অক্টোবর-সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ১৬ হাজার ৪০১ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে সরকারের মোট অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা।

বিগত সরকারের সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে ঋণ নেওয়ার ফলে দেশে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যায়। এতে মানুষের জীবনযাত্রার খরচ বাড়তে থাকে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দায়িত্বে আসা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে মুদ্রাস্ফীতি কমানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বর্তমানে সরকার বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে মনোযোগী হচ্ছে।

একজন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে বাজারে মুদ্রার প্রবাহ বেড়ে যায়, যা মূল্যস্ফীতি বাড়ায়। কিন্তু বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ায় মুদ্রাস্ফীতি কমবে এবং এই সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো।” তিনি আরও বলেন, “এখন লেনদেনের মাধ্যমে এক পকেট থেকে অন্য পকেটে টাকা যাচ্ছে, ফলে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা হচ্ছে।”

সরকারের সামগ্রিক ঋণের পরিমাণ চার লাখ ৯০ হাজার ৮৯১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণের পরিমাণ এক লাখ ১৬ হাজার ২১৫ কোটি টাকা এবং বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ প্রায় তিন লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা।

সরকারের এই উদ্যোগকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বদলগাছিতে মাইক্রোবাস থেকে ককটেল নিক্ষেপ, ৬টি উদ্ধার
বিএনপির সঙ্গে ঐক্যে আগ্রহী আওয়ামী লীগ: ড. হাছান মাহমুদ
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ বন্ধ, বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সরকারের ৪০ হাজার কোটি ঋণ পরিশোধ
টাঙ্গাইলে ৩৫০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
গণপিটুনিতে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ভাগ্নে নিহত
মেগা চুরির জন্য আওয়ামী লীগকে আরেকবার দরকার: নির্মাতা ফারুকী
বিরামপুরে ট্রাকের ধাক্কায় দুই যুবক নিহত
পদে পুনর্বহালের দাবিতে ১০ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের একক কণ্ঠে আন্দোলন
ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল, সদস্য সচিব মোস্তফা জামান
এস আলমের সম্পত্তি নিলামে তুললো জনতা ব্যাংক, ১৮৫০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ে কঠোর পদক্ষেপ
১০ জেলা ও মহানগরে বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা
ভারতে পবিত্র মনে করে মন্দিরের এসির পানি পানের হিড়িক, সতর্কতা জানালেন বিশেষজ্ঞরা
যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন স্বর্ণযুগে নেওয়ার অঙ্গীকার ট্রাম্পের
থেমে থাকা ট্রাকে অপর ট্রাকের ধাক্কায় হেলপার নিহত, আটক ২
বিএনসিসি অধিদপ্তরে চাকরির বিশাল সুযোগ
পর্নোগ্রাফি ও জুয়ার ওয়েবসাইট-লিংক বন্ধের দাবি
এবারের জন্মদিনে ধূমপান ছেড়ে দিলেন শাহরুখ খান
জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে সাড়ে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
সোহেল তাজকে প্রধান উপদেষ্টার ফোন