ইনুজরিকে ‘নিয়তি’ মেনে নিয়েছেন নাঈম হাসান
নাঈম হাসান টেস্ট খেলেছেন আটটি। উইকেট পেয়েছেন ৩১টি। অভিষেকেই পেয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। আবার এই উইন্ডিজের বিপক্ষেই তার ৩১ উইকেটের ১২টি। সেই নাঈম সর্বশেষ শ্রীলিঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে ১৫ মাস পর ফিরেই ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করে নিয়েছিলেন ছয় উইকেট। কিন্তু এমন বোলিং করার পরও তিনি ঢাকায় পরের টেস্টে দলে ছিলেন না। অবাক করার মতোই বিষয়। কিন্তু তার এই না খেলা বাদ পড়া থেকে ছিল না, ইনজুরির কারণে। সেই নাঈম আবার সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু যাওয়া হচ্ছে না উইন্ডিজে, যাদের বিপক্ষে তিনি সবচেয়ে বেশি সফল। কিন্তু খেলতে না পারার কারণে তিনি হতাশ নন। খেলোয়াড়ি জীবনের উত্তান-পতন হিসেবেই মেনে নিয়েছেন। মিস করবেন সাকিবের নেতৃত্বও। আজ মিরপুরে হোম অব ক্রিকেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে বলা কথার উল্লেখযোগ্য অংশ ঢাকাপ্রকাশের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: এখন কেমন আছেন?
নাঈম হাসান: আলহামদুলিল্লাহ, এখন আগের থেকে অনেক ভালো। ১২ বা ১৫ তারিখ থেকে বোলিং শুরু করতে পারবো আশা করছি। এখন সাইক্লিং আর জিম করতেছি।
প্রশ্ন: খেলতে না পেরে কতোাট হতাশ?
নাঈম হাসান: আসলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। একজন স্পোর্টসম্যানের জীবনে উত্থান পতন থাকবেই। চেষ্টা করবো আমি যখন ফিরবো তখন যেন আরও শক্তভাবে ফিরতে পারি। ইনজুরিতো আমার হাতেও ছিল না, কারও হাতেই ছিল না।
প্রশ্ন: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কামব্যাক টেস্টেই ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং করে ইনজুরিতে পড়ে পরের টেস্ট খেলতে না পারার কারণে আফসোস হয় কিনা?
নাঈম হাসান: আসলে ওরকম কিছু হয় না। কারণ শ্রীলঙ্কা সিরিজে আমি এমনিতেই শুরুতে ছিলাম না। পরে আল্লাহ সুযোগ করে দিছে। এরপর খেললাম, ভালো খেললাম, ইনজুরিতো আমার হাতে ছিল না। যেটা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
প্রশ্ন: মিরাজ ফেরায় আবার জায়গা পেতে কাজটা কতটা কঠিন?
নাঈম হাসান: এখন আমার হাতে আছে শুধু পরিশ্রম করা। চেষ্টা থাকে সবসময় নিজেকে রেডি রাখার। যখনই সুযোগ আসবে চেষ্টা থাকবে শতভাগ এফোর্ট দেওয়ার। টিম ম্যানেজমেন্ট চাইলে আবার সুযোগ দিলে আমার চেষ্টা থাকবে নিজের শতভাগ দেওয়ার।
প্রশ্ন: বিদেশ ট্যুরের আগেই চোটে পড়েন, আক্ষেপ কিনা?
নাঈম হাসান: আসলে ওরকম কিছু না। আমিতো বললাম ইনজুরিতো কারও হাতে নেই। এটা বলে কয়ে আসে না। যেটা হয়েছে সেটা মেনে নিতে হবে। বাস্তবতাতো মেনে নিতে হবে।
প্রশ্ন:ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আপনি দারুণ সফল। এবার মিস হচ্ছে, খারাপ লাগে?
নাঈম হাসান: খারাপ লাগাতো, আসলে আমি এগুলো নিয়ে কোনো চিন্তাই করি না। এখন তো ইনজুরিতে আছি। এটা কিভাবে রিকভার করবো সেটাই চিন্তা করতেছি। নিজেকে যতটা পারি ফিট রাখার চেষ্টা করতেছি, কারণ যখনই বোলিং শুরু করবো তখন যেন সমস্যা না হয়।
প্রশ্ন: লম্বা সময় টেস্ট খেলা হয় না। নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত রাখবেন?
নাঈম হাসান: আমাদের প্রথম শ্রেণির খেলা আছে। ওগুলো সব খেলবো ইনশাআল্লাহ। যসি সুস্থ থাকি এই খেলাগুলো খেলে, পারফর্ম করে নিজেকে আবার জাতীয় দলে ফেরানোর চেষ্টা করবো।
প্রশ্ন: সাকিবের অধিনায়কত্বে খেলা মিস করবেন কিনা এই সিরিজে?
নাঈম হাসান: সাকিব ভাইয়ের অধীনে খেললেতো ভালো লাগে। সৌরভ ভাইও (মুমিনুল হক) অনেক হেল্পফুল। আসলে সৌরভ ভাইও আমাকে অনেক সাহায্য করেছে যেটা সত্যি কথা। সাকিব ভাইয়ের অধীনেও খেলেছি। সাকিব ভাইও সাহায্য করেছে। সাকিব ভাই যখন অধিনায়ক ছিল না তখনও সাহায্য করেছে। খেলতে পারলেতো ভালোই লাগতো।
প্রশ্ন: সাকিবের অধিনায়কত্ব কেমন হবে?
নাঈম হাসান: অবশ্যই ভালো হবে। আগেও যখন প্রথম সিরিজ খেলেছি, তখন টানা দুইটা জিতেছি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে। তখনও ভালো লেগেছিল। সাকিব ভাইতো অধিনায়ক হিসেবে অনেক ভালো। উনিতো অনেক সিনিয়র খেলোয়াড়।
এমপি/