বিশ্বকাপ ফুটবল ট্রফির আগমনে চলছে রং-তুলির কাজ
কোকাকোলার আয়োজনে ফুটবল উন্মাদনা ছড়াচ্ছে 'গলি গ্রাফিটি' ফুটবলের প্রতি আবেগ প্রকাশে বাংলাদেশের ফুটবলভক্তরা অতুলনীয়। বিশ্বকাপ ঘিরে উন্মাদনা প্রকাশেও এদেশের ফুটবলভক্তরা কখনোই পিছিয়ে থাকেন না। অনেক সময় বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশেই এই উন্মাদনার মাত্রা অনেক বেশি থাকে। আগামী ৮ জুন কোকা-কোলার উদ্যোগে বাংলাদেশে আয়োজিত হতে যাচ্ছে 'ফিফা বিশ্বকাপ- ২০২২' ট্রফি ট্যুর। ফুটবলের প্রতি সেই আবেগ, সেই উন্মাদনা আবার জাগিয়ে তোলার জন্য আঁকা হচ্ছে গলি গ্রাফিটি।
প্রতিটি বিশ্বকাপের সময় সারা বাংলাদেশ, বিশেষত ঢাকা শহরের মানুষেরা উৎসবে মেতে ওঠেন। আসন্ন ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে দেশের মানুষের মনে ফুটবলের প্রতি প্রেমকে আবার চাঙ্গা করে তুলতে চায় কোকা-কোলা। এ জন্য তারা বেছে নিয়েছে শিল্পীর রং-তুলি। এক দল দেশীয় চিত্রশিল্পীদের নিয়ে 'গলি গ্রাফিটি' নামের স্ট্রিট আর্ট ওয়ার্ক ক্যাম্পেইনটি এই লক্ষ্যেই পরিচালিত হচ্ছে।
বনানী ১১ ও গুলশান সংযোগ সেতুর পাশে অবস্থিত বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসার্স কোয়াটার্সের ১২০০০ স্কয়ার ফিট দেয়ালে বর্তমানে প্রথম গ্রাফিটির কাজ চলছে। বাংলাদেশি ফুটবলপ্রেমীদের ফুটবলের প্রতি আবেগ, ভালোবাসা ও ফুটবলকে ঘিরে তাদের উদযাপনের কথা এই আর্ট ওয়ার্কের মাধ্যমে তুলে ধরছেন শিল্পীরা। গ্রাফিটিগুলোতে আরো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ফুটবলের প্রতীক, মহাতারকা ও ভক্তদের। এছাড়া, দেশীয় শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য রিকশাচিত্রের মতো দেশীয় মোটিফের ব্যবহারও থাকছে।
কোকা-কোলার পিআর এবং কমিউনিকেশনস পার্টনার বেঞ্চমার্ক পিআর এর সিইও আশরাফ কায়সার বলেন, আমরা আশা করবো, রং-তুলির মাধ্যমে আবেগ প্রকাশের এই উদ্যোগে অন্য শিল্পীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেবেন। এই উদ্যোগের পরিকল্পনা, ডিজাইন ও বাস্তবায়নের কাজটি করছে। আর ক্যাম্পেইনের পেইন্ট পার্টনার হিসেবে আছে এশিয়ান পেইন্টস। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের এই আর্ট ওয়ার্ক ফুটবলপাগল এই দেশের মানুষদের ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা সফলভাবে তুলে ধরবে।
আর্ট ওয়ার্কের পরিকল্পনা ও ডিজাইনের দায়িত্বে আছেন মেহেদী হাসান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের স্নাতক মেহেদী তার স্টাইলের প্রকাশ ঘটান মিনিমালিস্ট কৌশলের সাথে রং ও ফর্মের বৈচিত্র্যের মাধ্যমে। আর আর্ট ওয়ার্কের কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করছেন একদল শিল্পী। ফিফার সাথে কোকা-কোলার দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের শুরু ১৯৭৬ সালে। পাশাপাশি, ১৯৭৮ সাল থেকে কোম্পানিটি ফিফা বিশ্বকাপ এর অফিশিয়াল স্পন্সর। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে একটি সতেজ ও নতুন পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কোকা-কোলা।
এমপি/এএজেড