সাকিবকে নিয়মিত খেলার তাগাদা সিডন্সের
তৃতীয়বারের মতো টেস্ট ক্রিকেটের নেতৃত্ব সাকিবের কাঁধে। উইন্ডিজ সফর দিয়ে শুরু হবে তার এই পর্যায়ে যাত্রা। যেমনটি হয়েছিল আগের দুইবারও। আগের দুইবার তার নেতৃত্ব নিয়ে তেমন কোনো সমালোচনা বা প্রশ্ন দেখা দেয়নি। কিন্তু এবারের দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে কম-বেশি সমালোচনা আর প্রশ্ন উঠেছে বেশ ভালোভাবেই। সাকিবেকে নিয়ে সমালোচনার অন্যতম দিক হলো তার নিয়মিত খেলা নিয়ে।
উইন্ডিজ সফর দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও জিম্বাবুয়েতে পরের সফরে তিনি খেলবেন না। যদিও এরপর তিনি নিয়মিত খেলবেন বলে সাকিবের নেতৃত্ব ঘোষণার দিন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন। কিন্তু তা অনেক সুদুর প্রসারী। সময় হলেই তার জবাব পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তান গোপন রাখার দায়ে আইসিসি কর্তৃক এক বছরের নিষেধাজ্ঞা ও আরও এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞ ছিল।
সাকিবকে অবশ্য স্থগিত নিষেধাজ্ঞা ভোগ করতে হয়নি আইসিসিরি নির্দেশনা মেনে প্রথম এক বছরের সাজা মেনে চলাতে। একজন সাজা ভোগ করা ক্রিকেটারকে জাতীয় দলের দায়িত্ব দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে আপাতত সাকিবকে টেস্ট ক্রিকেটে নিয়মিত পাওয়া নিয়েই বেশি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দলের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সও জানিয়েছেন নেতৃত্ব দিতে হলে সাকিরে নিয়মিত খেলার বিকল্প নেই। পাশাপাশি তিনি নেতা হিসেবে সাকিব এবার ভালো একটা কিছু করে দেখাবে বলেও সিডন্স আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
সাকিব যে টেস্ট ক্রিকেটে অনিয়মিত, এটা নতুন কিছু নয়। সিডন্সও ভালোভাবে জানেন। কিন্তু তখন সাকিব ছিলেন দলের আর ১০ জনের ক্রিকেটারের মতো একজন। এবার তিনি নেতা। দলের সম্পূর্ন দায়িত্ব তার কাঁধে। তাকে শুধু খেললেই চলবে না। দলকে নিয়ে ভাবতেও হবে। সিডন্স বলেন, ‘একজন অধিনায়ক দলকে নেতৃত্ব দিতে হলে, তাকে নিয়মিত খেলতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আর নেতৃত্ব দিতে হলেতো খেলতেই হবে। আমার মনে হয় এবার নেতৃত্ব পেয়ে সাকিব নতুন কিছু করে দেখাবে। যা আমরা আগে কখনো দেখিনি ।’
সাকিবের এবারের নেতৃত্বের দুইটি ইতিবাচক দিক দেখছেন জেমি সিডন্স। তিনি বলেন, ‘আমি সাকিবের নেতৃত্বের দুইটি ইতিবাচক দিক দেখছি। অধিনায়ক হিসেবে সাকিব খুবই ভালো। খেলা নিয়ে সে বেশ ভালো পরিকল্পনা করতে পারে। আবার সে নিয়মিত পারফরমারও।’
সাকিবের নেৃতত্ব পাওয়াতে মুমিনুল এখন ভারমুক্ত। অধিনায়কের চাপে মুমিনুলের ব্যাটিংয়ে বেশ প্রভাব পড়েছিল। নেতৃত্ব ছাড়ার আগে সর্বশেষ সাত ইনিংসে তিনি দুই অংকের রানই করতে পারেননি। সিডন্স এখন অধিনায়ক মুক্ত মুমিনুলকে নিয়ে বেশি করে মনযোগি হতে পারবেন, যাতে করে সে নিজের রান খরা কাটাতে পারে। তিনি বলেন, সাকিব নেতৃত্ব পাওয়াতে মুমিনুল এখন থেকে তার ব্যাটিং নিয়ে বেশি করে মনযোগি হতে পারবে। শতভাগ মনযোগ দিতে পারবে। সে বেশ কিছু দিন থেকে রান পাচ্ছিল না। আমদের ব্যাটসম্যান মুমিনুলকে প্রয়োজন। আশা করি আমরা আগের পারফরমার মুমিনুলকে ফিরে পাব।’
এমপি/এমএমএ/