কাউন্সিলারশিপ আবার একটি করে
বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আইসিসির চেয়ারম্যান মনোনীত হওয়ার পর বিসিবির সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তার পরিবর্তে দায়িত্ব পান নাজমুল হাসান পাপন। তিনি এখনো এই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তবে দুই দফা নির্বাচিত হয়ে। প্রথমবার দায়িত্ব পাওয়ার পরই বিসিবির নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রিমিয়ার ক্রিকেট সুপার লিগে খেলা ছয়টি দলের কাউন্সিলারশিপ দুই জন করে করেন। এ রকম প্রস্তাব তারা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে পাঠিয়ে অনুমোদন করে নেন। কিন্তু এ নিয়ে সে সময় অনেক সমালোচনা হয়েছিল। সেই দু্ই কাউন্সিলারশিপ এখনো বহাল আছে।
সর্বশেষ নির্বাচনে এর সুফল ভোগ করেছে সুপার লিগে উঠা ছয়টি ক্লাবও। কিন্তু এবার সেখানে পরিবর্তন এনে আবার আগের জায়গায় ফিরে যেতে চাচ্ছে বিসিবি। আগামী নির্বাচনে প্রতিটি ক্লাবেরই একজন করে কাউন্সিলার থাকবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এতে করে খেলার মাঠের স্বচ্ছতা থাকবে বলেও মনে করেন তিনি। আজ বিসিবির সভায় এমনই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি বলেন, 'মানুষের মনে একটা সন্দেহ থাকে, সন্দেহ দূর করার জন্য, পেছনে একটা কারণ আমি অনেক আলোচনা করেছি, কেন করবে? একটা হতে পারে কাউন্সিলরশীপ। ওপরে উঠতে চায় সবাই, জিততে চায় অথবা কেউ কাউকে হারিয়ে দিতে চায় একটা কাউন্সিলরশীপের জন্য। ভোটটা তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।'
বিসিবির সভায় নেয়া এই সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত নয়। বিসিবির এজিএমে অনুমোদন পেলেই তা সম্ভব হবে। বিসিবি সভাপতি বলেন, 'আমরা আগেও বলেছি, আমরা এই এজিএমে পেশ করবো সব ক্লাবের জন্য একটা করে কাউন্সিলরশিপ থাকবে। সবার জন্য যদি সমান হয় এটা নিয়ে তো মারামারি, ঝগড়া করার মতো কোনো কারণ নাই। কাউন্সিলরশিপ বা ভোটের জন্য যে এটা না এটা আমরা এজিএমে পেশ করবো।' বিসিবির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৯ জুলাই। বিসিবির ইচ্ছে ছিল ২৬ জুলাই করা। কিন্তু একই দিন আইসিসির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে বিসিবির এজিএম পরিবর্তন করে এগিয়ে আনা হয়েছে।
এদিকে বর্তমান বিশ্বে সব কিছুর খরচ বেড়ে যাওয়াতে বিসিবি ব্যয় সঙ্কুচনের দিকেও যাচ্ছে বেলে জানান বিসিবি সভাপতি। বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা দেখছি খরচ অসম্ভব হারে বেড়ে গেছে। দেশের কথা বলছি না। অনেক কিছুরই খরচ বেড়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ আগে যে টিকিট ভাড়া ছিল ৩-৪ লাখ, সেটি এখন হয়ে যাচ্ছে ১০-১১ লাখ। হোটেল ভাড়া যেটা ছিল বড়জোর ২৫০ ডলার। সেটি এখন কমপক্ষে ৪০০-৫০০ ডলার করে লাগছে। এতো বেশি করে দেওয়ার পরেও পাওয়া যাচ্ছে না। তো খরচ একটা বড় ইস্যু। সেজন্য আজকের সভায় আমরা বলেছি এই খরচ কমিয়ে আনতে হবে। এতোদিন আমরা যেভাবে (বিদেশ সফরে) পাঠিয়েছি, বিশেষ করে কোভিড পরিস্থিতিতে সতর্কতা স্বরুপ অনেক বাড়তি খেলোয়াড়-স্টাফ পাঠিয়েছি।’
এই ব্যয় কমানো সামনের উইন্ডিজ সফর থেকেই শুরু হবে জানিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, 'ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেই শুরু। এখানে যাদেরকে না পাঠালেও চলে, এরকম কিছু হয়তো বাদ যাবে। তার মানে আমাদের ঘোষিত স্কোয়াডে খেলোয়াড় সংখ্যা কমতেও পারে। তবে এটি চূড়ান্ত নয়।'
বিসিবি সভাপতি বোর্ডের বিভিন্ন বিভাগের ব্যয় কমানোর নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। এছাড়া যেহেতু এখন বাইরে জিনিসপত্রের দাম সম্পর্কে কিছুই বলা যাচ্ছে না, সেজন্য বোর্ডকে সামগ্রিকভাবে বলা হয়েছে প্রত্যেকটা বাজেট কমিয়ে আনতে হবে।'
এমপি/এএজেড