নির্বাচক বেড়ে তিন থেকে পাঁচ হচ্ছে
পাইপ লাইনে মান সম্পন্ন ক্রিকেটার নেই। সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দুই স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসান ইনজুরিতে পড়ার পর বিকল্প না থাকতে কাউকে নেয়া হয়নি। সাধারণত জাতীয় দলের জন্য ক্রিকেটার বাছাইয়ের কাজটি করে থাকেন নির্বাচকরা। কিন্তু তারা তৃণমূল থেকে এই বাছাই কাজট করতে পারেন না। মূলত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএলে, এনসিএল, বিসিএলই তাদের ভরসাস্থল। কিন্তু একে করে ঘাটতি পূরণ হচ্ছে না। কিন্তু নিবাচকরা যে এর বাইরে গিয়ে খেলোয়াড় খোঁজেবের করে আনবেন, সেই উপায়ও নেই। কারণ এতো ব্যাপকভাবে খোঁজে বের করা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। যে কারণে নির্বাচক কমিটির পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে বিসিবি।
বর্তমানে নির্বাচক কমিটি তিন সদস্যের। এটি বেড়ে পাঁচ সদস্য করা হবে। বৃহস্পতিবার (২ জুন) বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বর্তমান তিন সদস্য প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, সদস্য হাবিবুল বাশার সুমন ও আব্দুর রাজ্জাকের মেয়াদ আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। প্রথম দুই জনের মেয়াদ গত বছর ডিসেম্বরেই শেষ হয়েছিল। আব্দুর রাজ্জাকে পরে এসে তাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়াতে তার মেয়াদ ছিল। তারপরও তার মেয়াদও দুই জনের সমান করে বাড়ানো হয়েছে।
নির্বাচক কমিটি নিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমাদের সভার একটি আলোচ্য বিষয় ছিল জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেল। তো এখন আমাদের প্যানেলে তিনজন আছেন। আমরা ক্রিকেট অপ্সকে বলেছিলাম নতুন কারও নাম সুপারিশ করতে। তারা সেটি করতে পারেনি, নতুন কাউকে এ দায়িত্বের জন্য খুঁজে পায়নি। 'তবে অপারেশন্স থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, বর্তমান প্যানেলের মেয়াদ আগামী বছরের বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হোক। এর মধ্যে আমরা কিছু একটা ব্যবস্থা করবো। তো এর সঙ্গে শুধু যুক্ত হয়েছে, আরও দুজন নির্বাচক বাড়ানো হবে।'
নতুন দুইজনকে অর্ন্তভুক্ত করতে যাওয়া প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি বলেন,‘এখন যেটা হয়েছে, আমাদের অনেক খেলা। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটেও যে খেলাগুলো হয় সবগুলো তাদের (বর্তমান প্যানেল) পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের জাতীয় দলের খেলাই এতো। সেজন্য আরও দুজনকে আমরা অন্তর্ভুক্ত করবো।’ ধারনা করা হচ্ছে নতুন দুই জন জাতীয় দলের বাইরে বয়স ভিত্তিক ও অন্যান দল নিয়ে কাজ করবেন।
এমপি/এএজেড