বাটলারে দিশেহারা মোস্তাফিজরা!
এক ম্যাচ পর মোস্তাফিজ আবার বেহিসেবি। এবার তিনি শুধু একা নন, তার দল দিল্লি ক্যাপিটালসের সব বোলারই। তাদের এমন দিশেহারা করেছেন রাজস্থান রয়্যালসের ইংলিশ ব্যাটসম্যান জস বাটলার। চলতি আসরে তিনি তুলে নিয়েছেন তৃতীয় সেঞ্চুরি। ৬৫ বলে করেন ১১৬ রান। ছিল ৯টি করে সমান চার ও ছয়। তার আগের দুই সেঞ্চুরি ছিল ১০৩ ও ১০০। এক আসরে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে বিরাট কোহলির। তিনি ২০১৬ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে করেছিলেন ৪ সেঞ্চুরি। বাটলারকে পরে আউট করেন মোস্তাফিজই। বাটলারের দল করে ২ উইকেটে ২২২। এই যখন হয় ব্যাক্তিগত ও দলগত সঞ্চয়, তখন বোলারদের অবস্থাতো বেহাল হবেই। দিল্লির অধিনায়ক রিশাব পন্ড ৬ জন বোলার ব্যবহার করেছেন। যেখানে মোস্তাফিজসহ ৫ জনেরই ইকোনমি ছিল দশের উপরে। শার্দূল ঠাকুর দশের নিচে থাকলেও তার ইকোনমি ছিল ৯.৬৬।
২২২ তাড়া করতে নেমে দিল্লি শেষ পর্যন্ত জয়ের কাছাকাছি যেতে পেরেছিল ৮ উইকেটে ২০৭ রান করে। হার মানে ১৫ রানে।
আইপিএলের চলতি আসর মানেই মোস্তাফিজের ডট বলের ছড়াছড়ি। আগের চার ম্যাচের প্রতিটিতেই তিনি সেই দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। শুধুমাত্র রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে তার শেষ ওভার ছাড়া আগের তিন ওভারই ভালো করেছিলেন। আজ তিনি ডট বল দেন সবচেয়ে কম ৬টি। বাউন্ডারি হজম করেন ছয়টি, ছক্কা একটি।
আজ মোস্তাফিজ প্রথম ওভার করেন ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। পাডিক্কাল প্রথম ৪ বলেই ৩ বাউন্ডারিতে ১৪ রান সংগ্রহ করেন। পরের ২ বলে কোনো রান নিতে পারেননি। তার দ্বিতীয় ওভার ছিল ইনিংসের ১২তম। এই ওভারে মোস্তাফিজ যথেষ্ট কৃপণতা দেখান। রান দেন মাত্র ৬। একটি বাউন্ডারি হজম করেন বাটলারের হাতে। ডট বল ছিল তিনটি। তৃতীয় ও চতুর্থ ওভার করেন ইনিংসের ১৭ ও ১৯তম ওভারে। তৃতীয় ওভারেও মোস্তাফিজ অনেক মিতব্যয়ীতার পরিচয় দেন। যেভাবে রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটসম্যানরা শুরু করেছিলেন, পাডিক্কাল আউট হওয়ার পর সানজু স্যামসানও এসে মারমুখি ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। সে সময় মোস্তাফিজ রান দেন মাত্র ৯। কোনো ডট বল ছিল না। সানজু একটি বাউন্ডারি মারেন। তার শেষ ওভারের সবকটি বলই খেলেন বাটলার। প্রথম ২ বলেই বাউন্ডারি ও ছক্কা মারাতে মনে হয়েছিল মোস্তাফিজের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাবে। এক ম্যাচে দেওয়া সর্বোচ্চ ৪৭ রানও আজ পেছনে পড়ে যাবে। কিন্তু পরে মোস্তাফিজ দারুণভাবে ফিরে আসেন। বাটলার পরের ৪ বলে কোনো বাউন্ডারি কিংবা ওভার বাউন্ডারি মারতে পারেননি। ১, ১ ও ২ রান নেওয়ার পর শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লং অনে ওয়ার্নারের হাতে ধরা পড়েন। এই ওভারে তিনি রান দেন ১৪। ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে তিনি নেন ১ উইকেট। তার ইকোনমি ছিল ১০.৭৫। সবচেয়ে বেশি ইকোনমি ছিল কুলদ্বীপ যাদবের। তিনি ৩ ওভারে ৪০ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকেন। তার ইকোনমি ছিল ১৩.৩৩। এ ছাড়া খলিল আহমেদের ১১.৭৫, অক্ষর প্যাটেলের ১০.৫০, ললিত যাদবের ১০.২৫ ও শার্দূল ঠাকুরের ৯.৬৬ ইকোনমি ছিল।
২২২ তাড়া করতে নেমে দিল্লি শেষ পর্যন্ত জয়ের কাছাকাছি যেতে পেরেছিল ৮ উইকেটে ২০৭ রান করে। হার মানে ১৫ রানে।
এমপি/আরএ/