মোস্তাফিজের আগুন ঝরা বোলিংয়ে এবার দিল্লির জয়
চলতি মৌসুমে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে আইপিএল খেলতে যাওয়ার পর থেকেই মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে হয়ে উঠেছে মিশ্র অনুভূতি সম্পন্ন। নিজে ভালো করছেন, কিন্তু দল জয়ী হতে পারছে না। অবশেষে নিজের তৃতীয় ম্যাচে এসে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে পেরেছেন। নিজে ভালো করেছেন যথারীতি, আবার দিল্লি জয়ী হয়েছে। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়েছে ৪৪ রানে। আগে ব্যাট করে দিল্লি ৫ উইকেটে ২১৫ রান করে। জবাব দিতে নেমে কলকাতা ১৯.৪ ওভারে ১৭১ রানে অলআউট হয়। রান ফোয়ারার ম্যাচে মোস্তাফিজ ৫ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে অবশ্য কোনো উইকেট পাননি।
আগের দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও মোস্তাফিজের ২৪ বলের মাঝে ১৩ বলেই ব্যাটসমানরা কোনো রান নিতে পারেননি। বাউন্ডারি হয়েছে মাত্র ২টি। রান বন্যার ম্যাচে মোস্তাফিজের ইকোনমি ছিল অবিশ্বাস্য রকমের ভালো। ছয়ের নিচে, ৫.২৫। তিনি ছাড়া আরও ছয়জন বোলার ব্যবহার করান অধিনায়ক রিশাভ পন্থ। রভম্যান পাওয়ালের ১৭.০০, শার্দূল ঠাকুরের ১১.২৫, প্যাটেলের ১০.৬৬, কুলদ্বীপ যাদবের ৮.৭৫, ললিত যাদবের ৮.০০ এবং খলিলি আহমেদের ৬.২৫ করে ছিল ইকোনমি বোলিং। আর এ থেকেই বুঝা যায় মোস্তাফিজের বল খেলতে ব্যাটসম্যানরা কী পরিমাণ হিমসিম খেয়েছেন।
মোস্তাফিজ ৪ ওভার করেন ৩ স্পেলে। প্রথম ওভারর প্রথম চার বল ডট দেওয়ার পর শেষ দুই বলে দেন ২ রান। এরপর দ্বিতীয় ওভার করেন ব্যাটিং পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে। রান দেন ২ আর ১। অবশিষ্ট ৪ বল ছিল ডট। এরপর ১৭ ও ১৯ নম্বারে করেন তৃতীয় স্পেল। ১৭ নম্বার ওভারের প্রথম বলে প্রথম বাউন্ডারি হজম করেন। সেই ওভারে রান দেন সবচেয়ে বেশি ৯। এরপর ১৯ নম্বারে ওভারের প্রথম বলেও আবার বাউন্ডারি হজম করে রান দেন ৭।
আজকের ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পৃশ্বিশ্ব ও ওয়ার্নারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনা পায়। দুই জনে ৮.৪ ওভারে ৯৪ রান যোগ করেন। পৃথ্বি ২৯ বলে ৫১ ও ওয়ার্নার ৪৫ বলে ৬১ রান করেন। এরপর রিশাভ পন্থ ১৪ বলে ২৭, প্যাটেল ১৪ বলে অপরাজিত ২২ ও শার্দূল ঠাকুর ১১ বলে অপরাজিত ২৯ রান করলে দিল্লির ২১৫ রান করে রান পাহাড়ের চুড়ায় উঠে। সুনিল নারিন ২১ রানে নেন ২ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে কলকাতা শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে। তারপরও শ্রেয়াসের ৩৩ বলে ৫৪ রানের সঙ্গে নিথিশ রানার ৩০, রাসেলের ২৪, ভেঙ্কটিসের ১৮,বিলিংসের ১৫ রানে ২ বল কাতি থাকতে ১৭১ রানে অলআউট হয়। ৩৮ রানে পড়ে তাদের শেষ ৭ উইকেট। কুলদ্বীপ যাদব ৩৫ রানে ৪টি, খলিল আহমেদ ২৫ রানে ৩টি ও শার্দুল ঠাকুর ৩০ রানে নেন ২টি উইকেট। ম্যাচ মেরা হন কুলদ্বীপ যাদব।
এমপি/এমএমএ/