পোর্ট এলিজাবেথ টেস্ট
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে মহারাজের আবির্ভাব
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই খালেদ বোল্ড করে ভেরেইনাকে আউট করার পর মনে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে খুব বেশি দূর যেতে দেবে না বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু সুখের এই গান করুন সুরে পরিণত হয়ে উঠে কেশভ মহরাজের কারণে। প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে গুড়িয়ে দেওয়ার কান্ডারি এই স্পিনার এবার ব্যাট হাতে বাংলাদেশের শিবিরে হাতাশা ডেকে আনেন।
তার কারণেই প্রথম প্রথম সেশনটি আর বাংলাদেশের হয়ে উঠেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ চারশ অতিক্রম করার পথে। লাঞ্চের সময় তাদের সমংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩৮৪ । মহারাজ ৫৫ ও সাইমন হার্মার ৩৩ রানে অপরাজিত। এই সেশনে তারা ২ উইকেট হারিয়ে ২৫ ওভারে ১০৬ রান যোগ করে। প্রথম দিন প্রথম সেশনে তারা যোগ করেছিল ১ উইকেটে ১০৭ রান।
প্রথম দিনের দ্বিতীয় সেশন থেকেই বাংলাদেশ ধীরে ধীরে খেলায় ফিরতে শুরু করে। প্রথম সেশনে এক উইকেট নিয়েও পরের দুই সেশনে দুইটি করে উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার লাগাম টেনে ধরে। সেই লাগামে বেশ জোরেই টান দেয় দ্বিতীয় দিনের শুরুতে। ৫ উইকেটে ২৭৮ রান নিয়ে খেলতে নেমে দলীয় ৩০০ রানে ভেরেইনাকে চমৎকার এক ডেলিভারিতে খালেদ সাজ ঘরে ফেরেত পাঠিয়ে দেন ব্যক্তিগত ২২ রানে।
ভেরেইনাকে আউট করার আগে দুই জনের মাঝে একট উত্তেজনায়ও ছড়িয়েছিল খালেদের একটি বল থ্রো করা থেকে। তার বলে ভেরেইনা ডিফেন্স করে রান না নিয়ে স্ট্রাইকিং প্রান্তেই দাঁড়িয়েছিলেন। তারপরও খালেদ সেই বল ধরে থ্রো করলে তা লাগে ভেরেইনার গ্লাভসে। এতে খালেদ দুঃখপ্রকাশ করলেও ভেরেইনা রাগে ফুসতে থাকেন। ইয়াসির আলী এসে তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।
এ সময় আম্পায়ারকে মুমিনুলের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। এর কিছুক্ষন পরই খালেদেরই শিকারন হন ভেরেইনা। কিন্তু এই আউট হওয়ার সুখ ক্রমেই নিরানন্দ হতে থাকে মহারাজের আবির্ভাবে। মুল্ডারকে নিয়ে তিনি উইকেটে জমে যান। বাংলাদেশের বোলারদের জন্য বেদনার সূর বাজাতে থাকেন। একটি দুইটি করে রান জমা হতে হতে ৮০ রান হয়ে যায়। নিজেরও হয়ে যায় ফিফটি। তার ফিফটিও ছিল রাজসিক। মিরাজের বলে ছক্কা মেরে। এটি ছিল ক্যারিয়ারে তার চর্তুর্থ ফিফটি। জুটি ভাঙে তাইজুলের বলে মুল্ডার ৩৩ রান করে বোল্ড হলে। ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার এটি ছিল পঞ্চম অর্ধশত রানের জুটি।
এমপি/এমএমএ/