মোহামেডানের দ্বিতীয় জয়
নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে শিরোপা প্রত্যাশি মোহামেডান। বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে অধিনায়ক শুভাগত হোমের মারাত্বক বোলিংয়ে তারা মাত্র ২০৬ রান করেও ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ম্যাচ জিতেছে ৫৪ রানে। ব্রাদার্স অলআউট হয় ১৫২ রানে।
বিকেএসপির ৩ নম্বারে মাঠে বোলারদের নৈপুণ্যে ভরে উঠা লো-স্কোরিং ম্যাচে শেখ জামাল ১৪ রানে হারিয়েছে শাইনপুকুরকে। আগে ব্যাট করে ৩৬ ওভার ৪ বলে মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট হয় শেখ জামাল। সেই রান করেও তারা শাইনপুকুরকে ৪৪ ওভারে ১৩২ রানে আটকে রাখে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডান আবু হায়দারের তোপে পড়ে ২৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়েছিল। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করে নিয়ে যান ওপেনার রনি তালুকদার ৫৮ ও জাহিদুজ্জামান অপরাজিত ৪১ রান করে। তারপরও তাদের রান বেশি হতে পারেনি আশরাফুলের কারণে। ১০ ওভার বোলিং করে মাত্র ২৩ রানে ৫ উইকেট নেন টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ট এই সেঞ্চুরিয়ান।
রনির দলের বিপর্যয়ের মাঝে দাঁড়িয়েও ৬০ বলে ১ ছক্কা ও ৯ চারে ৫৮ রান করেন। ছোট সংগ্রহ। কিন্তু সেই রান তাড়া করতে নেমে ব্রাদার্সও বিপদে পড়ে শুভাগতের হোমের কারণে। ৮ রানে তিনি ফিরিয়ে দেন ব্রাদার্সের ৩ ব্যাটসম্যানকে। পরে ইমতিয়াজ ৪২, আমিনুল ৩৬, ধীমান ঘোষ ৩২ রান করলেও তা দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৪৩.৩ ওভারে ১৫২ রান করে অলআউট হয়ে যায়। ৮.৩ ওভার বোলিং করে শুভাগত হোম ২৫ রানে নেন ৫ উইকেট। ২ উইকেট নেন নাজমুল ইসলাম।
শেখ জামাল ও শাইনপুকুরের খেলা ছিল বোলারদের দাপটে ভরা। টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্তকে অর্থবহ করে তুলেন অধিনায়ক মাইদুল ইসলাম অংকনের বোলাররা। শেখ জামাল ১৪৬ রানে অলআউট হলেও তাদের শুরুটা কিন্তু সে রকম ছিল না।
এক পর্যায়ে রান ছিল ১ উইকেটে ৬৬। ৬ রানে প্রথম উইকেটের পতন হওয়ার পর সাইফ হাসান ও অধিনায়ক ইমরুল কায়েস মিলে ৬০ রান যোগ করেন। এই জুটি ভেঙে যাওয়ার পর পরবর্তীতে নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকে। ২৩ রানে পড়ে শেষ ৫ উইকেট। রাহাতুল ফেরদৌস ৩৫ রান নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন নাঈম হাসান ও হাসান মুরাদ।
মাত্র ১৪৬ রান অতিক্রম করতে নেমে শাইনপুকুরও ছিলে জয়ের পথে। এক পর্যায়ে তাদের রান ছিল ৪ উইকেটে ১১১। এরপর তাদের ব্যাটিংয়ে ধ্স নামে। মাত্র ২১ রানে ৭.২ ওভারে তারা হারায় ৬ উইকেট। সানজামুল ইসলাম ৩৩ রানে নেন ৪ উইকেট। তাইবুর ৪৩ রানে নেন ৩ উইকেট।
এমপি/এমএমএ/