মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

৭ উইকেটে হেরে সিরিজ জয়ের অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশের

বর্ণিল হলো না তামিম ইকবালের ৩৩দম জন্মদিন। হয়নি সিরিজ জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করা। দুইটি লক্ষ্যই ছিল এক সূতায় গাঁথা। তার জন্য প্রয়োজন ছিল দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ জেতা। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তা করা সম্ভব হয়নি। হেরে গেছে ৭ উইকেটে। বাংলাদেশের ৯ উইকেটে করা ১৯৪ রান দক্ষিণ আফ্রিকা অতিক্রম করে ৩৭.২ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৫ রান করে। সিরিজ জেতার পরিবর্তে সমতা। তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচ সিরিজ নির্ধারনি অলিখিত ফাইনাল। ২৩ মার্চ বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে জয়ের ভেন্যু সেই সেঞ্চুরিয়ানই অনুষ্ঠিত হবে দিবা-রাত্রির এই ম্যাচটি।

জোহানেসবার্গের যে উইকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ছটফট করেছেন, সেই উইকেটেই স্বাগতিক দলের ব্যাটসম্যানরা বিচরন করেছেন স্বাভাবিক। বিশেষ করে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা প্রোটিয়াদের পেস আক্রমণের সামনে পড়ে হা-হুতাশ করেছেন। ৩৪ রান ফিরে যান যান ৫ ব্যাটসম্যাস তামিম ইকবাল ১, লিটন দাস ১৫, সাকিব ০, মুশফিক ১১, ইয়াসির আলী ২। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার যারাই ব্যাট করতে নেমেছেন তারাই রানের দেখা পেয়েছেন। মালান-ডি কক মিলেই উদ্বোধনী জুটিতে ৮৬ রান এনে বাংলাদেশকে কোনো রকমের লড়াই করারই সুযোগ দেননি। মালান ৪০ বলে ২৬ রান করলেও ওডি কক সিরিজে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমিই হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে মাত্র ৪১ বলে ৬২ রান করে আউট হন। তার ইনিংসে ছিল ২ ছক্কা ৯ চার। মালানকে মিরাজ ও ডি কককে সাকিব ফিরিয়ে দেন। ৮ রানের ব্যবধানে দুই জন ফিরে গেলেও পরে আসা দুই ব্যাটসম্যান ভেরেন্নি ও দলপতি টেম্বা বাভুমা মিলে যোগ করেন ৮০ রান। বাভুমাকে ৩৭ রানে আফিফ ফিরিয়ে দেয়ার পর ভেরেন্নি ডসনকে নিয়ে জয়ের বাকি কাজ সারেন। ভেরেন্নি ৭৭ বলে ১ ছক্কা ও ৩ চারে ৫৮ রানে ও ডসন ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশের তিন পেসার তাসকিন, শরিফুল, কোন প্রভাবই বিস্তার করতে পারেননি। তাদের উপর চড়াও হয়ে খেলেছেন স্বাগতিক দলের ব্যাটসম্যানরা। দুই পেসাররা এতোই বাজেবোলিং করেন যে তাসকিন ও শরিফুলকে দিয়ে ৪ ওভারের বেশি বোলিংই করাননি তামিম ইকবাল। শরিফুল ২৯ ও তাসকিন ৪১ রান দেন। দুই পেসারের এমন ব্যর্থতায় তামিম ইকবাল তৃতীয় পেসার মোস্তাফিজকে দিয়ে ৩ ওভার বোলিং করেন। যদিও মোস্তাফিজ শরিফুল ও তাসকিনের মতো খরুচে ছিলেন না। রান দেন ১৩। পেসারদের মানের এ রকম অবনতির কারণে তামিম ইকবাল স্পিনারদের উপর ভরসা করেন। সাফল্যও এনে দেন তারাই। মিরাজ ১০ ওভারে একটু বেশি ৫৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেও সাকিব ১০ ওভারে মাত্র ৩৩ রান দেন ১ উইকটে। পরে তামিম আফিফ ও মাহমুদউল্লাহকে আক্রমণে নিয়ে আসেন। এখানে সফল হন আফিফ। তিনি ৫ ওভারে ১৫ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। মাহমুদউল্লাহ ১.২ ওভারে ৮ রান দেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের সময় উইকেটের চরিত্র ছিল সম্পূর্ণ ব্যাটিং বান্ধব। যা বাংলাদেশের ইনিংসের পুরো বিপরীত। তবে বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে ব্যাটিং বান্ধব হয়ে উঠতে থাকে। যে কারণে মাত্র ১২.৪ ওভারে টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটসম্যানকে হারানোর পরও বাংলাদেশ অলআউট হয়নি। দুইটি বড় জুটি হয়েছে। একটি ষষ্ট উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজ ৬০ ও এবং আফিফ ও মিরাজ সপ্তম উইকেটি জুটিতে ৮৬ রান যোগে করেন। আফিফ খেলেন ১০৭ বলে ৯ চারে ৭২ রানের ইনিংস।

স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের ৯ উইকেটে ১৯৪ রান দেখে হতাশ হওয়াটাই স্বাভাবিক। আবার ৩৪ রানে টপ অর্ডারর ৫ ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর এই সংগ্রহ অনেকে বেশি। অন্তত বোলারদের লড়াই করার মতো। যদিও তাার মোটেই লড়াই করতে পারেননি।
জোহানেসবার্গের পেস স্বর্গরাজ্য উইকেটে তামিম ইকবালের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করতে মোটেই সময় নেননি প্রোটিয়া পেসাররা। শুরুটা বার্থডে বয় তামিম ইকবালকে দিয়ে। মুহূর্তে তা পরিণত হয় ৩৪ রানে ৫ উইকেট। শুরুটা করেন এনগিডি। পরে ভয়ংকর রুপে আবির্ভত হন রাবাদা। যে কারণে ৩০০ বলের ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ডট বল দিয়েছেন ১৮৯টি। ছয় ছিল ২টি। আর বাউন্ডারি ১৬টি।

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা মূলত পরাস্ত হয়েছেন পেসারদের গতি আর বাউন্সের কাছে। ৩৪ রান ৫ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের শতরান পার হওয়াই শঙ্কায় ছিল। সে শঙ্কা দূর করেন আফিফ ৭২ রানের ইনিংস খেলে। সঙ্গি হিসেবে পেয়ে যান মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজকে। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে রান আসে ৬০। মাহমুদউল্লাহ ২৫ রান করে সামসির বলে ফিরে যাওয়ার পর আফিফ ও মিরাজ সপ্তম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৮৬ রান। এই দুই জনকে যখন কিছুতেই ফেরানো যাচ্ছে না, তখন আবার আক্রমণে এসে রাবাদা একই ওভারে ফিরিয়ে দেন প্রথমে আফিফ ও পরে মিরাজকে। আফিফ ৭৯ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি করার পর ১০৭ বলে ৯ চারে ৭২ রান করে আউট হন বাভুমার হাতে ধার পড়ে। মিরাজকে ৩৮ রান ক্যাচ ধরেন মালান। রাবাদা ৩৯ রানে নেন ৫ উইকটে। ১টি করে উইকেট নেন এনগিডি, পার্নের, ডসন ও সামসি।

 

এমপি/

Header Ad
Header Ad

নদীদূষণ রোধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর চারপাশের নদীগুলোর দূষণ রোধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ২০৪৬টি শিল্প কারখানাকে তাদের ইটিপি (এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট) চালু রাখতে চূড়ান্ত নোটিস দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়। নোটিস অমান্য করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীকে দূষণের হাত থেকে রক্ষার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীর ২০৪৬টি শিল্প কারখানাকে চূড়ান্ত নোটিস দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা যথাযথভাবে ইটিপি চালু রাখে।

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) এবং পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ২০২৩ অনুযায়ী, তরল বর্জ্য নির্গমনকারী সব কারখানার ইটিপি ও এসটিপি (পয়ঃবর্জ্যের ক্ষেত্রে) চালু রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেক কারখানা ইটিপি স্থাপন না করেই বর্জ্য ফেলছে, আবার কেউ কেউ ইটিপি স্থাপন করলেও তা সার্বক্ষণিক চালু রাখছে না, ফলে অপরিশোধিত বর্জ্য সরাসরি নদীতে মিশছে।

১৩ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব শিল্প কারখানাকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিসে ইটিপি সার্বক্ষণিক চালু রাখা এবং পরিবেশ আইন মেনে কারখানা পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা শিক্ষা দিচ্ছি কিন্তু কোয়ালিটি নেই: উপাচার্য

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা শিক্ষা দিচ্ছি কিন্তু কোয়ালিটি নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ। তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার কোয়ালিটির নেই কারণ এখানে কোনো মনিটরিং নেই, এখানে প্রশিক্ষিত শিক্ষক নেই। ৮-১০ হাজার টাকার বেতনে অনার্স পড়াচ্ছে। যত্রতত্র অনার্স-মাস্টার্স খুলে দিয়ে বসে আছে।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় শিক্ষায় ২০০ ছাত্রছাত্রীকে ২ জন শিক্ষক পড়াচ্ছেন, আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ জন শিক্ষক। আপনি এখন থেকে আর কী আশা করতে পারেন। এখনো শিক্ষার্থীরা ঠিকে আছে, এখান থেকে প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ চাকরি পাচ্ছে। সেটাই তো বেশি।’

তিনি আরও বলেন, আপনি তৃতীয় শ্রেণির প্রাথমিকের একজন শিক্ষক দিয়ে প্রথম শ্রেণির নাগরিক তৈরি করবেন, এটা তো হয় না। একজন শিক্ষক অর্নাস-মাস্টার্সে পড়াচ্ছেন কিন্তু আপনি তাকে এমপিও দিচ্ছ না। যদি এমপিও না দেন, তাহলে তাকে কলেজে নিলেন কেন? হয়তো ১০-১৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে লোভ দেখিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এখন এমপিও দিতে পারছেন না।

উপাচার্য বলেন, গতকাল ছেলে-মেয়েরা অটো পাসের জন্য এসেছিল। তারা বলছে, স্যার আমরা এক সাবজেক্ট ফেল করছি, আমাদের অটো পাস দিতে হবে। তখন আমি বললাম তোমরা কিছুদিন অপেক্ষা করো, গ্রেস দেওয়া যায় কিনা আমরা দেখবো। বলতে না বলতে দেখি সাদা কাগজের মতো পকেট থেকে কী বের করছে। বের করেই দেখি কাফনের কাপড় পরে আমার সামনে শুয়ে আছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা খাতা পুন:মূল্যায়নের ব্যবস্থা ছিল না। শুধু পুন:নিরীক্ষণের ব্যবস্থা ছিল। পুন:মূল্যায়নের ব্যবস্থা করার পরে দেখি ৫৪ শতাংশ শিক্ষার্থী নতুন করে পাশ করেছে। তাহলে শিক্ষকরা কীভাবে খাতা দেখলাম। সব কিছু একটা এলোমেলো অবস্থার মধ্যে আছে।

নতুন স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা নতুন স্বাধীনতা উপহার দিয়েছে। আমাদের ভিশন ও মিশন যদি এবারও ঠিক না করতে পারি। তাহলে তো মুশকিল। আমরা আবার কবে ভিশন ও মিশন ঠিক করব, আমি জানি না।

Header Ad
Header Ad

বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সাংসদ ও দেশের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।

শোকবার্তায় তারেক রহমান বলেন, ‘মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমান একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশের সকল ক্রান্তিকালে জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি একজন জাতীয় রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশবাসীর নিকট অত্যন্ত সমাদৃত ছিলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের নীতি ও আদর্শে গভীরভাবে আস্থাশীল এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনে বিশ্বাসী মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমান বিএনপির প্রতিষ্ঠাকাল থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে একজন আপসহীন যোদ্ধা হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। জনসেবার মহান লক্ষ্য সামনে নিয়ে রাজনীতি করতেন বলেই সরকারের মন্ত্রী হয়ে নিজ এলাকাসহ সারা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছেন।’

‌‌‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের একজন অনন্য সংগঠক হিসেবে তার অবদান জাতির নিকট চির অম্লান হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন একাধারে প্রাজ্ঞ ও জনঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ এবং সজ্জন ও বিনয়ী মানুষ হিসেবেও সর্বমহলে তার ছিল অকৃত্রিম গ্রহণযোগ্যতা। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও বহুদলীয় গণতান্ত্রিক চেতনাকে দৃঢ়ভাবে বুকে ধারণ করে মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার স্বপক্ষে তার লড়াই ছিল অবিস্মরণীয়। বর্তমান সময়ে তার মতো আদর্শনিষ্ঠ রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছি।’

‘আমি আবদুল্লাহ আল নোমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকার্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।’

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আবদুল্লাহ আল নোমান মঙ্গলবার সকালে ৬টায় ইন্তেকাল করেন। রাজধানীর ধানমন্ডির বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত্যুকালে আবদুল্লাহ আল নোমানের বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি তার সহধর্মিণী, এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানসহ বহু আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

আবদুল্লাহ আল নোমান ১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে বিজয়ী হওয়ার পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নদীদূষণ রোধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা শিক্ষা দিচ্ছি কিন্তু কোয়ালিটি নেই: উপাচার্য
বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
ঈদুল ফিতরে যেভাবে মিলবে টানা ৯ দিনের ছুটি
উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন নাহিদ
ফুটবল থেকে রাজনীতির মাঠে ওজিল, যোগ দিলেন তুরস্কের ক্ষমতাসীন দলে
ব্যান্ডউইথ সেবায় ভারত নির্ভরতা কমছে, সাশ্রয় ৬০ কোটি টাকা
তৎকালীন বিডিআর সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, আর কোন কথা হবে না: সেনাপ্রধান
পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র দায়বদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা
অপরাধ দমন অভিযানে কোনো বাহিনীর সদস্য গাফিলতি করলেই ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রংপুরে হিজবুত তাওহীদ-এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, ৪ কর্মীর বাড়িতে আগুন
পাঁচ দফা দাবিতে টাঙ্গাইলে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মশাল মিছিল
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুইদিন ধরে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চলে: মির্জা ফখরুল  
৩০০ বলের মধ্যে ১৮১ ডট খেলার ব্যাখ্যা দিলেন শান্ত
২০০৭ সালে চাকরিচ্যুত ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তার চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ  
সামরিক কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ তিন বাহিনীর প্রধানরা  
বাংলাদেশ ক্রিকেট খুব শীঘ্রই জিম্বাবুয়ের স্তরে নেমে আসবে: দিনেশ কার্তিক  
৪০ থেকে ৭০ দিনের লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  
ওয়াশিংটনে পেন্টাগন প্রধান ও সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ  
চুয়াডাঙ্গায় গ্রাম আদালত বিষয়ক ৪ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন