সেঞ্চুরিময় প্রিমিয়ার বিভাগ ক্রিকেট লিগের একদিন

প্রিমিয়ার বিভাগ ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম দিন ছিল সেঞ্চুরিময়। এ দিন সেঞ্চুরি করেছেন প্রাইম ব্যাংকের এনামুল হক বিজয় (১২৭) ও নাসির হোসেন (অপরাজিত ১০৫)। তাদের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংক ৬ উইকেটে ৩১৪ রান করে ম্যাচ জিতেছে ৮৬ রানে। শেখ জামালের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস (১২২) সেঞ্চুরিতে তার দল ৪৯ রানে হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জেকে। এই তিনটি সেঞ্চুরিই হয়েছে সাভারের দুইটি মাঠে। মিরপুরে সিটি ক্লাব ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের খেলা আবার কোনো সেঞ্চুরি হয়নি। গাজী গ্রুপ সহজেই জয়ী হয়েছে ৬ উইকেটে। তিন সেঞ্চুরি ছাড়াও কিন্তু সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েছিলেন লিজন্ডস অব রূপগঞ্জের নাঈম ইসলাম ৯৫ (আগের ম্যাচে তিনি করেছিলেন ৯২ রান) ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের মেহেদি মারুফ ৯০। সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৫ উইকেট নেয়ার ঘটনাও আছে। মিরপুরে গাজী গ্রুপের কাজী অনিক ৩০ রানে নেন ৬ উইকেট। বিকেএসপিতে শেখ জামালের ৪৭ রানে নেন ৫ উইকেট।
বিকেএসপির ৪ নম্বার মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রাইম ব্যাংক ক্লাবের রানের পাহাড় গড়ে উঠে এনামুল হক বিজয় ও নাসির হোসেনের সেঞ্চুরিতে। ৮টি করে চার ও ছয় মেরে ১২৩ বলে ১২৫ রান করে ফরহাদ রেজার বলে আরিফুলের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন। নাসির হোসেন অফরাজিত ১০৫ রানের ইনিংস খেলতে বল খেলেন ১০৩টি। ২টি ছক্কার সঙ্গে ছিল ১২টি চার। এই দুই জন ছাড়া দলের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করেন নাহিদুল ইসলাম ২০। ফরহাদ রেজা ও শফিকুল ইসলাম নেন ২টি করে উইকেট। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ওপেনার মিজানুর রহমানকে হারালেও জাকির হাসান (৬৩) বাবা অপরাজিতের (৭৯) ব্যাট করে ভালোই শুরু করেছিল। এই দুই জনে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১০৫ রান করেন। জুটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর আর কেউ দাঁড়াতে না পারলে ৪৪.২ ওভারে ২২৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। রকিবুল হাসান ৪৪ রানে নেন ৪ উইকেট।
বিকেএসপির ৩ নম্বার মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইমরুল কােেয়সের সেঞ্চুরির সঙ্গে সাইফ হাসানের ৭৮ ও নুরুল হাসান সোহানের ৬৪ রানে ৫ উইকেটে ২৯৭ রান করে। সাইফ ও ইমরুল দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৬৫ রান যোগ করেন। ইমরুল কায়েস ১৩৯ বলে ১ ছক্কা ও ১৩ চারে ১২২ রান করে চিরাগ জানির বলে বোল্ড হন। মেহেদি হাসান রানা ৫৪ রানে নেন ২ উইকেট। মাশরাফি ১০ ওভার বোলিং করে ৬১ রানে নেন ১ উইকেট। জবাব দিতে নেমে ৭৭ রানে ৩ উইকেট হারালেও চতুর্থ উইকেট জুটিতে নাঈম ইসলাম ও চিরাগ জানির (৫৯) ১২৯ রানের জুটিতে ম্যাচে টিকে ছিল। কিন্তু ২১ রানের ব্যবধানে দুই জনই আউট হয়ে গেলে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ৪৭.৩ ওভারে ২৪৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। দুই জনকেই আউট করেন সানজামুল। নাঈম ইসলাম এবারের মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মতো নব্বইর ঘরে গিয়ে আউট হন। এবার আউট হন ৯৫ রানে সানজামুলের বলে সৈকতের হাতে ধরা পড়ে। সানজামুল ৪৭ রানে এবারের ৫ উইকেট নেন।
মিরপুরের ম্যাচটি ছিল লো-স্কোরিং। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কাজী অনিকের মারাত্বক বোলিংয়ে সিটি ক্লাব ৪৯.৫ ওভারে ১৯৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। সর্বোচ্চ ৫১ রান আসে আশিক-উজ-জামানের ব্যাট থেকে। কাজী অনিক ৩০ রানে নেন ৬ উইকেট। জবাব দিতে নেমে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স মেহেদি মারুপের ৯০ রানে ভর করে ৪৬.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের নাগাল পায়। মেহেদি মারুফ ৯০ রানের সময় অবসর নেন। আব্দুল হালিম ৪৫ রানে নেন ২ উইকেট।
এমপি
