আবাহনীর ড্র, বসুন্ধরার জয়ে দুদলের ব্যবধান আরও বাড়ল
লিগে হার দিয়ে শুরু করে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস পিছিয়ে পড়েছিল। এরপর তারা ঘুরে দাঁড়ায় একের পর এক জয় তুলে নিতে থাকে। বিপরীতে শীর্ষে থাকা দলগুলো কখনো ড্র করে, কখনো হেরে ক্রমেই পয়েন্ট হারাতে থাকে।
আর এই সুযোগে বসুন্ধরা কিংস শীর্ষে উঠে আসার পাশাপাশি অন্য ক্লাবগুলোর সঙ্গে বাড়তে থাকে পয়েন্টের ব্যবধান। নবম রাউন্ডে এসে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আবাহনীর চেয়ে তারা ৬ পয়েন্টে এগিয়ে। আর এটি হয়েছে এই রাউন্ডে বসুন্ধরার জয়ের বিপরীতে আবাহনীর ড্রতে। বসুন্ধরা কিংস টানটান উত্তেজনার ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়েছে ৪-৩ গোলে।এটি ছিল লিগে তাদের টানা অষ্টম জয়।
মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আবাহনী গোলশূন্য ড্র করে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সঙ্গে। ৯ ম্যাচে বসুন্ধরার পয়েন্ট ২৪। তারা আছে সবার উপরে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আবাহনীর পয়েন্ট ১৮। শেখ জামাল ১৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিনে। ১১ পয়েন্ট নিয়ে সাইফ স্পোর্টিংয়ের অবস্থান ছয়ে।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় দুই দলের খেলা ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। এক পর্যায়ে খেলা ৩-৩ গোলে ড্র ছিল। তবে প্রতিবারই সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব পিছিয়ে পড়ে সমসা নিয়ে আসে। বসুন্ধরার পক্ষে মতিন মিয়া ২টি ও রবসন রবিনিয়ো ও খালেদ ১টি করে গোল করেন। সাইফের পক্ষে এমফোন, ফাহিম ও রিয়াদুল গোল করেন।
খেলা শুরুর ৩ মিনিটেই রানার কাছ থেকে বল পেয়ে রবিনিয়োর গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। ১৮ মিনিটে গফুরভের থেকে বল পেয়ে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে ফাহিম বল ধরে এগিয়ে যান। এ সময় গোলরক্ষক জিতো তাকে ফেলে দিলে রেফারি খেলা চালিয়ে যান। সেই বল ফাঁকা পেয়ে সহজেই গোল করে সমতা আনেন এমফোন।
আবার ৬ মিনিট পর এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। সাইফ স্পোার্টিং এই গোল হজম করে নিজেদের ভুলে। মেরাজের ব্যাক পাস ধরতে ব্যর্থ হন নাসিরুল। তার থেকে বল কেড়ে নিয়ে মতিন মিয়া লক্ষ্যভেদ করেন (২-১)। প্রথমার্ধে বসুন্ধরা ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে মতিন মিয়ার গোলে বসুন্ধরা ৩-১ গোলে লিড নেয়। এই গোলটিও ছিল দ্বিতীয় গোলের অনেকটা কার্বনকপি। এবারও নিজেদের ভুল। গোলাদাতর পরিবর্তন না হলেও ভুল পাসদাতার পরিবর্তন ছিল।
গোলরক্ষক শান্ত কুমারের কাছ থেকে বল পেয়ে জামাল ভুইয়া ভুল পাস দিলে সেই বল পেয়ে যান মতিন মিয়া। এবারও তিনি লক্ষ্যভেদ করেন। এই গোলের আগে খেলার ৪৮ ও ৫০ মিনিটে মতিন মিয়া সহজ দুইটি সুযোগ নষ্ট করেন। প্রথমে তার নেয়া শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন রিয়াদুল। পরের বার ফাঁকা পোষ্টেও তিনি গোল করতে পারেননি।
পরে ৫৯ মিনিটে এমফোনের থেকে বল পেয়ে ফাহিম গোল করে ব্যবধান কমান (৩-২)। ৯ মিনিট পর এমফোনের কর্ণার থেকে সৃষ্ট জটলা থেকে রিয়াদুল গোল করে সমতা আনেন (৩-৩)। এতে করে দারুণভাবে কমে উঠে খেলা। এই জমে উঠার মাঝেই ৭৭ মিনিটে বসুন্ধরা আবার এগিয়ে যায়। রবিনেয়ার কর্নার থেকে হেডে খালেদ গোল করেন। এই গোল পরে আর পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি সাইফের।
এমপি/এমএমএ/