পর্তুগালকে চমকে দেওয়া জর্জিয়াকে উড়িয়ে শেষ আটে স্পেন
ছবি: সংগৃহীত
প্রথমবারের মতো ইউরো খেলতে নেমেই গ্রুপপর্বে বড় অঘটনের জন্ম দিয়েছিল জর্জিয়া। রোনালদোর পর্তুগালকে হারিয়ে দিয়েছিল ২-০ গোলে। এরপর টিকিট কেটেছিল ইউরোর শেষ ষোলোর। তবে সেই যাত্রাটা আর এগোয়নি তাদের। স্পেনের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয়ে ইউরো থেকে বিদায় নিতে হয়েছে জর্জিয়াকে।
৪-১ গোলে তাদের উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখেছে স্পেন। সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে স্বাগতিক জার্মানির মুখোমুখি হবে তারা। কোলন স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে স্পেন।
ম্যাচের ২য় মিনিটে ফেবিয়ান রুইজের বাঁপায়ের শট রুখে দেয় জর্জিয়ার ডিফেন্ডাররা। ৫ মিনিটে দানি কার্ভাহালের অ্যাসিস্ট থেকে পেদ্রির বাঁপায়ের শট রুখে দেন জর্জিয়ার গোলরক্ষক জিওর্গি মামারদাশভিলি।
১০ মিনিটে আবারও আক্রমণে আসে স্পেন। এবার কার্ভাহালের হেড সেভ করেন জর্জিয়ার গোলরক্ষক। এরপর নিয়মিত বিরতিতে আক্রমণ করতে থাকে ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়নরা। তবে গোল পাচ্ছিল না তারা।
কিন্তু ম্যাচের ১৮ মিনিটে আত্মঘাতী গোল হজম করে স্পেন। ডিফেন্ডার রবিন লে নরম্যান্ডের পেটে লেগে বল চলে যায় জালে। এতে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে স্পেন। এই গোল শোধ করতে স্পেনকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩৯ মিনিট পর্যন্ত। নিকো উইলিয়ামসের অ্যাসিস্টে বাঁপায়ের দুর্দান্ত শটে গোল করেন রদ্রি। এতে ১-১ সমতায় ফেরে স্পেন।
সমতায় ফের আক্রমণের ধার বাড়ায় জর্জিয়া। ৪১ মিনিটে মিডফিল্ডার কাভিচা কাভারেসখেলিয়ার করা অ্যাসিস্ট সামান্য একটু বাইরে দিয়ে মেরে দেন জিওর্গি কোচোরাশভিলি। চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে স্পেনও। তবে আর কেউ গোল না পাওয়ায় সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে জর্জিয়াকে বলতে গেলে কোনো সুযোগই তৈরি করতে দেয়নি স্পেন। ৫১ মিনিটে ফেবিয়ান রুইজের গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্প্যানিশরা। লামিন ইয়ামালের ক্রস থেকে দারুণ হেডে গোল করেন তিনি। ২ মিনিট পর আবারও আক্রমণ স্পেনের। এবার ইয়ামালের শট চলে যায় গোলবারের বাইরে দিয়ে। এরপর একের পর আক্রমণে জর্জিয়া প্রচন্ড চাপে ফেলে স্পেন।
৭৫ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় স্পেন। এবার ডান পায়ের দুর্দান্ত শটে গোল করেন নিকো উইলিয়ামস। তাকে সহায়তা করেন ফেবিয়ান রুইজ। এতে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-১। ৮০ মিনিটে গোল করার সুযোগ তৈরি করেও ঠিকমতো জাল খুঁজে বের করতে পারেনেনে ইয়ামাল।
৮৩ মিনিটে আরও একবার জর্জিয়ার জালে বল জমা করে স্পেন। এবার গোল করেন দানি অলমো। মাইকেল ওয়ারজাবালের অ্যাসিস্টে বাঁপায়ের দারুণ শটে জর্জিয়ার জাল কাঁপানা তিনি। এতে ব্যবধান ৪-১ করেন স্পেন। অবশেষে এই ব্যবধান নিয়েই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে স্পেন।