অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠেও পাত্তা পেল না বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ে নিজেদের শেষ হোম ম্যাচে বাংলাদেশ দুর্দান্ত খেলেছে। কিংস অ্যারেনায় বিশ্বকাপে নিয়মিত খেলা অস্ট্রেলিয়ার কাছে মাত্র ২-০ গোলে হেরেছে। এর মধ্যে একটি গোল আবার আত্মঘাতী।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় রেফারি বাঁশি বাজার পর থেকেই আক্রমণ শানাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু মেহেদী মিঠুর আত্মঘাতী গোল না হলে প্রথমার্ধের স্কোরলাইনটা হতো গোলশূন্য। অর্থাৎ র্যাঙ্কিংয়ে প্রায় ১৬০ ধাপ এগিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়াকে প্রায় বোতল বন্দী করে রেখেছিল স্বাগতিকরা।
রক্ষণ সামলে বাংলাদেশ কাউন্টার অ্যাটাকে ওঠার চেষ্টা করেছিল কয়েকবার। তবে প্রথমার্ধে অনটার্গেট শট নিতে পারেনি একটিও। সেই হতাশার সময়টা আসে ২৯ মিনিটে। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে অ্যাজড্রিন রুস্টিকের শট মেহেদী মিঠুর পায়ে লেগে দিক বদলে জালে জড়ায়।
সেখানে কিছুই করার ছিল না বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমার। যদি মেহেদী মিঠুর গায়ে বল না লাগতো সেক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র হতে পারত। কারণ, বলের শটের লাইনেই ছিলেন মিতুল।
৩৩ মিনিটে বাংলাদেশ বলার মতো সুযোগ পায়। রাকিব হোসেন বক্সের বাইরে থেকে এমন এক শট নিলেন, তা পোস্টের অনেক দূর দিয়ে গিয়ে সবাইকে হতাশ করে। গোলকিপারের কোনও পরীক্ষাই হলো না। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতির পর ৫১ মিনিটে মোহাম্মদ সোহেল রানার জায়গায় জামাল মাঠে নামেন। গ্যালারিতে উল্লাস। দুই মিনিট পর জামালের ক্রসে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তবে মোরসালিন পাওয়ার আগেই এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করেন। ৫৭ মিনিটে ইরানকুন্ডার শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।
৫ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে অস্ট্রেলিয়া। জর্দান বসের কর্নারে কুসিনি ইয়েংগি লাফিয়ে উঠে গোলকিপারের ডান দিক দিয়ে জড়িয়ে দেন জালে। ইয়েংগিকে মার্কিংয়ে রাখা মেহেদী মিঠু আগেই লুটিয়ে পড়লে লক্ষ্যে হেড নিতে সহজ হয়।
৭১ মিনিটে আদাম টাগার্টের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে স্কোরলাইন বাড়েনি। ৮৮ মিনিটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। এক দর্শক মাঠে ঢুকে হ্যারি সটারকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করে তার সামনেই পড়ে যান। সটার আবার লেস্টার সিটিতে হামজা চৌধুরীর সতীর্থ।
তবে নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে দ্রুত মাঠ থেকে বের করে দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। মাঝে বাংলাদেশ দলে চারটি পরিবর্তন হয়। তারপরও প্রতি আক্রমণ থেকে অস্ট্রেলিয়ার গোলকিপারকে কোনও পরীক্ষাই নিতে পারেনি স্বাগতিকরা। ২-০ গোলের ব্যবধানে হেরে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।