নিলামে উঠছে মেসি-বার্সার প্রথম চুক্তির ন্যাপকিন, মূল্য যত হতে পারে
ছবি: সংগৃহীত
বার্সেলোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির চুক্তির গল্পটা সবারই জানা। ২০০০ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে একটি ‘ন্যাপকিন পেপারে’ বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মেসি। সেই ‘ন্যাপকিন পেপার’ এতদিন ছিল বার্সার মিউজিয়ামে। এবার সেই ‘ন্যাপকিন পেপার’ উঠতে যাচ্ছে নিলামে।
জানা গেছে, আগামী ১৮ মার্চ সেই ন্যাপকিন পেপার নিলামে তোলা হবে। যা চলবে ২৭ মার্চ পর্যন্ত। এই আয়োজন করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত নিলামকারী প্রতিষ্ঠান বোনহামস। বিষয়টি নিয়ে বোনহামসের দুষ্প্রাপ্য বই এবং পাণ্ডুলিপি বিভাগের প্রধান ইয়ান এহলিং বলেন, ‘মেসির ক্যারিয়ারের সূচনালগ্ন এখানে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
ন্যাপকিনের দাম ৬ লাখ ৩৫ হাজার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে ধারণা করা হলেও এহলিংয়ের আশা আরো বেশি, ‘আমি আরো বেশি দামে এটা বিক্রি করতে পারব বলে আশা করতেই পারি।’
এর আগে নিউইয়র্কে সেই ন্যাপকিন পেপারের প্রদর্শনী চলছে। নিউইয়র্কের পর প্যারিস ও লন্ডনেও এর প্রদর্শনী হবে। তারপর তোলা হবে নিলামে।
প্রসঙ্গত, মেসি-বার্সার এই ঐতিহাসিক চুক্তি হয়েছিল ২০০০ সালে। তখন মেসি ১৩ বছরের বালক। সে বছর বার্সেলোনার ট্রায়ালে মেসি সবাইকে চমকে দেন। এরপর তার পরিবার মেসিকে নিয়ে রোজারিওতে ফিরে যায়। সেই সময়ে একদিন হঠাৎ করেই বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাস মেসির পরিবারকে দুপুরের খাবারের নিমন্ত্রণ করেন। সেখানেই হয় এই ঐতিহাসিক চুক্তি।
রেক্সাস ছাড়াও সেই ন্যাপকিন পেপারে সই ছিল বার্সার দলবদল বিষয়ক পরামর্শক জোসেফ মিনগেলা ও এজেন্ট হোরাশিও গ্যাগিওলির। এজেন্ট গ্যাগিওলিওই মেসির নাম প্রথম সুপারিশ করেছিলেন। তখন কাতালান ক্লাবটির সভাপতি ছিলেন হুয়ান গাসপোর্ত।
সেই চুক্তিতে লেখা ছিল, ‘বার্সেলোনায় ১৪ ডিসেম্বর, ২০০০ সালে মিনগেলা, হোরাশিও আর বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাসের উপস্থিতিতে পূর্ণ দায়িত্বের সঙ্গে নির্দিষ্ট অঙ্কে লিওনেল মেসিকে সই করানোর ব্যাপারে একমত হওয়া গেল।’