ফিফা দ্য বেস্ট ও ব্যালন ডি'অর বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে: রোনালদো
ছবি সংগৃহিত
গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডে সেরা গোলদাতার পুরস্কার জেতা রোনালদো কাছে এখন আর ব্যালন ডি’অর কিংবা ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কারের গুরুত্ব নেই। ফিফা এবং ফ্রান্স ফুটবলের দেওয়া এই পুরস্কারগুলো বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন সিআর সেভেন।
ফুটবলারদের সবচেয়ে বড় দু’টি পুরস্কার ব্যালন ডি’অর ও ফিফা দ্য বেস্ট (ফিফা বর্ষসেরা) এখন যোগ্য খেলোয়াড়ের হাতে উঠছে না। এমনটাই মনে করেন পর্তুগিজ ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। আল নাসরের পর্তুগিজ উইঙ্গারের মতে, এই দুই পুরস্কারের গ্রহণযোগ্যতা কমে যাচ্ছে। পর্তুগিজ ক্রীড়া সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন রোনালদো।
সবশেষ এই দুটি পুরস্কারই জিতেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ২০২২ সালে কাতারে প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফি জেতার পর ফেভারিট হিসেবে ব্যালন ডি’অর হাতে নেন তিনি। সম্প্রতি কিলিয়ান এমবাপ্পে ও আর্লিং হাল্যান্ডকে পেছনে ফেলে দ্য বেস্টও জিতেছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।
দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টাইন তারকার পুরস্কার জেতা নিয়ে অবশ্য কোনো প্রশ্ন তোলেননি রোনালদো, তবে এভাবে নিজের দৃশ্যপটের বাইরে থাকাটা যেন মানতে পারছেন না তিনি। পর্তুগালের একটি (রেকর্ড.পিটি) ওয়েবসাইটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করলেন রোনালদো।
তিনি বলেন, এর মানে এটা বলা নয় যে, মেসি (পুরস্কার দুটি জয়ের) যোগ্য নয় কিংবা (আর্লিং) হাল্যান্ড বা (কিলিয়ান) এমবাপ্পে নয়। তবে (গোল) সংখ্যাগুলো তো আছে আর সংখ্যা কখনও ধোঁকা দেয় না। পুরো মৌসুম বিবেচনায় নেয়া উচিত।
সমালোচকদেরও পাল্টা জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছেন রোনালদো। কথা বলেছেন তার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দ্বিতীয় অধ্যায়ের শেষ দিকের সময় নিয়ে। রোনালদো বলেন, সংখ্যার গুরুত্ব আছে। যদি পেছনে ফিরে তাকান এবং জাতীয় দল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে কী হয়েছিল দেখেন (কোচ ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনে ২০২২ সালের নভেম্বরে দুই পক্ষের সমঝোতায় চুক্তি শেষ হয়), তখন মানুষ ভেবেছিল আমি হারিয়ে গেছি- কিন্তু সত্যি হলো আমি লক্ষ্যেই ছিলাম এবং আল নাসরে দারুণ সময় কাটালাম; আর একারণেই ৫৪টি গোল করলাম।
রোনালদো আপাতত ছুটিতে আছেন। তার দল আল নাসর সৌদি প্রো লিগের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। আগামী ২৪ জানুয়ারি দুই চীনা ক্লাব সাংহাই শেনহুয়া ও ২৮ জানুয়ারি ঝেইজাংয়ের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে আল নাসর। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি আরেক প্রীতি ম্যাচে মেসির বর্তমান ক্লাব ইন্টার মায়ামির মুখোমুখি হবে রোনালদোরা।