এ যেন কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল

এ যেন আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল। শতাব্দীর সেরা ফাইনালে আর্জেন্টিনা লিওনেল মেসি ও ডি মারিয়ার গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পর ফ্রান্স এমবাপ্পের জোড়া গোলে খেলায় সমতা আনে। পরে অতিরিক্ত সময়ে মেসির গোলে আর্জেন্টিনা আবারও ৩-২ গোলে এগিয়ে গেলে এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে ফ্রান্স খেলায় সমতা আনে। পরে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জিতে মেসির হাতে উঠেছিল স্বপ্নের বিশ্বকাপ ট্রফি।
মঙ্গলবার (৩০ মে) কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান ও আবাহনীর ফাইনাল হয়ে উঠেছিল অনেকটা সেরকমই। এক দশক পর দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ফাইনালে মুখোমুখি হয়ে দেশবাসীকে উপহার দিয়েছে অন্যতম সেরা ফাইনাল ম্যাচ। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় খেলা ৪-৪ গোলে ড্র থাকার পর টাইব্রেকারে মোহামেডান ৪-২ গোলে জিতে এক দশক পর পেয়েছে শিরোপার স্বাদ।
বিশ্বব্যাপী ফুটবল সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। বাংলাদেশেও একসময় জনপ্রিয় ছিল। কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে গেছে। এই হারিয়ে যাওয়ার কারণ দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লড়াইয়ে থাকলেও মোহামেডান পিছিয়ে পড়েছিল। আবাহনী একের পর এক ফাইনালে উঠেছে, শিরোপা জিতেছে। মোহামেডান ফাইনালে উঠাই ভুলে গিয়েছিল। এক দশক পর আবার দুই দল মিলিত হয়েছিল ফাইনালে। দুই দলই ফাইনালে উঠার পরই সবার মুখে মুখে ফিরছিল সেই ফুটবলের স্বর্ণযুগের টানটান উত্তেজনার কথা। সংশয় ছিল আগের সেই উত্তেজনা ফিরে আসবে কি না। কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে সেই উত্তেজনার আবির নিয়ে হাজির হয়েছিল দুই দলের ম্যাচ। শিরোপা নিশ্চিত করতে ম্যাচ দুলেছে পেন্ডুলামের মতো।
প্রথমার্ধেই আর্জেন্টিনার মতো দুই গোল দিয়ে এগিয়ে যায় আবাহনী। গোল দুটি করেন ফাহিম ও কলিন্দ্রেস। পরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সুলেমান দিয়াবাত দুই গোল পরিশোধ করেন মোহামেডানের হয়ে। পরে এমেকার গোলে আবার এগিয়ে যায় আবাহনী। সুলেমানের হ্যাটট্রিক গোলে সমতা আনে মোহামেডান। ৩-৩ গোলে সমতা আসার পরও গোলদাতা সেই সুলেমান। শেষ মুহূর্তে আবাহনীর রহমত মিয়া গোল পরিশাধ করে ম্যাচকে নিয়ে যান টাইব্রেকারে।
বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের এমবাপ্পে একাই হ্যাটট্রিক করেছিলেন। এমবাপ্পে তার দলকে চ্যাম্পিয়ন করাতে পারেননি। কিন্তু মোহামেডানের হয়ে একাই চার গোল করে সুলেমান দিয়াবাতে দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা। পরে টাইব্রেকারেও তিনি গোল করেন। যেমন করেছিলেন এমবাপ্পেও।
এমপি/এসজি
