প্রথমার্ধে ২ গোলে এগিয়ে আবাহনী

এক দশক পর দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী ও মোহামেডানের ফেডারেশন কাপ টুর্নামেন্টের ফাইনাল। কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত সেই ফাইনাল ঢাকায় বেশ আবহ তৈরি করেছে। সকাল থেকেই দুই দলের সমর্থক আর কর্মকর্তাদের গন্তব্য কুমিল্লামুখী। মঙ্গলবার (৩০ মে) কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামের আলো ছড়ানো ফাইনালের প্রথমার্ধে আবাহনী ২-০ গোলে এগিয়ে রয়েছে। ফাহিম ও কলিন্দ্রেস গোল দুটি করেন।
খেলার শুরু থেকেই আবাহনী দাপট দেখিয়ে খেলতে থাকে। অধিকাংশ সময় তারা বল নিয়ন্ত্রণে রাখে। গোল করার বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করে। সেখান থেকে তারা দুটি গোল বের করে নেয়। এই দুইটি গোলের পেছনে মোহামেডানের রক্ষণভাগও তাদের দায় এড়াতে পারবে না।
২ মিনিটে মোহাম্মদ ইউসুফের লম্বা থ্রো থেকে মোহামেডানের একজন খেলোয়াড়ের মাথা ছুঁয়ে রাফায়েলের কাছে গেলে, তার নেওয়া হেড সাইড পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। ৫ মিনিটে এমেকা বাম প্রান্ত দিয়ে এককভাবে বল নিয়ে ডুকে যে প্লেসিং শট নেন, তা সুজন পাঞ্চ করে রক্ষা করেন। ১০ মিনিটে বক্সের উপর থেকে কলিন্দ্রেসের বাম পায়ের নেওয়া দুর্বল শট সরাসরি গোলরক্ষক সুজনের হাতে চলে যায়।
১৬ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় আবাহনী। গোলদাতা ফাহিম হলেও আসলে গোলের উৎসটি তৈরি হয়েছিলে এমেকার কাছ থেকে। তিনি মোহামেডানের রক্ষণে দুইজন খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে ডি বক্সের মাঝে ফাঁক বুঝে এগিয়ে আসা অরক্ষিত ফয়সাল আহমেত ফাহিমকে বল বাড়িয়ে দেন। সামনে শুধুমাত্র মোহামেডানের গোলরক্ষক ফাহিম। বিপদ বুঝে এগিয়ে আসেন বাঁচাতে। কিন্তু চতুর ফাহিম তাকে সেই সুযোগ না দিয়ে চলন্ত বলেই বাম পায়ে গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে জালে ঠেলে দেন।
২৮ মিনিটে এই ফয়সালেরই বাম পায়ের একটি জোরালো শট সুজন আবার ঠিকই রক্ষা করেন। ফয়সাল এই সুযোগটি পেয়েছিলেন কলিন্দ্রেস-এমেকার যোগসাজেশে। ৪৪ মিনিটে কলিন্দ্রেসের গোলে আবাহনী ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায়। মাঝ মাঠ থেকে হৃদয়ের বাড়িয়ে দেওয়া বল অনেকটা ফাঁকায় পেয়ে যান কলিন্দ্রেস।
মোহামেডানর হাসান মুরাদ বাধা দিয়েও কলিন্দ্রেসকে আটকাতে পারেননি। তিনি ডান পায়ের প্লেসিং শটে গোলরক্ষক সুজনের মাথার উপর দিয়ে গোল করেন। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে কলিন্দ্রেসের ফ্রি কিক সুজন কর্নার করে নিশ্চিত গোল রক্ষা করেন।
বিপরীতে মোহামেডান আবাহনীর চাপ সামলে পাল্টা আঘাত হানার চেষ্টা করে। এমনি একটি সুযোগ তারা পেয়েছিল ১২ মিনিটে। রাকিবের কর্নার থেকে আবাহনীর গোলরক্ষক শহীদুল পাঞ্চ করলেও তা গিয়ে পড়ে মোহামেডানের ব্রাজিলিয়ান ওলিভারের সামনে। তিনি অনেকটা ফাঁকা পোস্টে যে হেড নেন তা এমেকার শরীরে লেগে প্রতিহত হয়। এসময় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা বল এমেকার হাতে লেগেছে বলে পেনাল্টি দাবি করেন। কিন্তু রেফারি তাকে কর্ণপাত করেননি। এই অর্ধে মোহামেডানের বলার মতো আক্রমণ ছিল এই একটিই।
এমপি/এসজি
