তোপের মুখে বাফুফের তদন্ত কমিটির পদত্যাগকারী ২ সদস্য

আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়ে ফিফা কর্তৃক ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকান্ডে বাফুফে নিজেরাই ১০ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এই কমিটি গঠন করার মূল কারণ ছিল এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছেন কি না তা খতিয়ে দেখা। গত ১৭ এপ্রিল বাফুফের জরুরি সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটিতে রাখা হয়েছিল বাফুফের ৪ সহ-সভাপতিকেও। কিন্তু কমিটি ঘোষণার পরদিনই ২ সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মানিক ও মহিউদ্দিন মহি পদত্যাগ করেন। এ নিয়ে দু'জনের কেউই কোনও কারণ বলেননি। আজ বাফুফের সভায় এ নিয়ে ২ জনকেই পড়তে হয় তোপের মুখে। বাফফের একটি সূত্রে জানা গেছে তাদের না থাকার কারণ জানতে চাওয়া হয় সভায়। কিন্তু কেউ-ই সদুত্তর দিতে পারেননি।
এদিকে সভায় শেষ সাংবাদিক সম্মেলনে বাফুফের সভাপতি কাছে বিষয়টি সম্বন্ধে জানতে চাওয়া হলে তিনি ২ সহ-সভাপতিকে দেখিয়ে বলেন, তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন। এ নিয়ে দুই জনকেই প্রশ্ন করা হয়।
মহিউদ্দিন মহি ব্যক্তিগত কারণ জানান। দেশের ফুটবলের এ রকম ক্রান্তিকালে তাদের সরে যাওয়াটা কতটা যুক্তিসঙ্গত হয়েছে জানতে চাওয়া হলে মহিউদ্দিন মহি বলেন, নাবিল (কাজী নাবিল আহমেদ ) যারা আছেন তারা সবাই খুবই যোগ্যতা সম্পন্ন। তারা ভালোভাবেই কাজটি সম্পন্ন করবেন। আতাউর রহমান মানিক কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। দুই জন পদত্যাগ করলেও তাদের পরিবর্তে কাউকে নেওয়া হবে না। ৮ জনই কাজ করবেন।
এদিকে তদন্ত কমিটি নিয়ে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘আমাদের তদন্ত কমিটির প্রধান কাজী নাবিল আহমেদ গতকাল (সোমবার) দেশে ফিরেছেন। দুদিনের মধ্যে কাজ শুরু করবেন। ৩০ দিন লাগবে।’
সভাপতির কথা শেষ হতেই সিনিয়র সহ সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘তদন্ত কমিটি যেদিন থেকে কাজ শুরু করবে সেদিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবেন।’
কমিটি প্রধান কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, আমরা ৩০ কার্যদিবস সময় চেয়েছি। খুব সহসহসাই কাজ শুরু করব। খুব সম্ভত আগামী রবিবার অথবা সোমবার আমরা প্রথম সভায় বসব।’ ফিফা আবু নাঈম সোহাগসহ ৪ জনকে কারণ দর্শানো চিঠি দিয়েছিল। তাদের একজন হলেন সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদী। বাকি দুইজন হলেন বাফুফের কর্মরত স্টাফ। তাদের উপস্থিতিতে কী প্রক্রিয়ায় তদন্ত হবে বা কতটা প্রভাবমুক্ত হবে জানতে চাওয়া হলে কাজী নাবিল বলেন, ‘আমরা প্রথম সভায় সিদ্ধান্ত নেবো কোন প্রক্রিয়ায় তদন্ত হবে। তদন্তের আগে কাউকে দোষী করে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া যায় না। তবে প্রয়োজনে আমরা কয়েকজনকে কাজ থেকে সরিয়ে রাখতে পারি। এসবই সিদ্ধান্ত হবে কমিটির প্রথম সভায়।'
এমপি/এএস
