সেমিতে ম্যানসিটি, প্রতিপক্ষ রিয়াল
ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১২তম গোলে রেকর্ড গড়লেন আর্লিং হালান্ড। ইউরোপ সেরা টুর্নামেন্টে এক মৌসুমের ইংলিশ ক্লাবের হয়ে অন্য কেউ এতবার গোলের দেখা পায়নি। নরওয়ে ফরোয়ার্ডের অবিশ্বাস্য রেকর্ডে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ম্যানসিটি। সেরা চারে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে ডিফেন্ডি চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদকে।
বুধবার রাতে কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে সেরা চারে খেলার টিকিট কেটেছে ম্যানসিটি। সিটিজেনরা প্রথম লেগ জিতেছিল ৩-০ গোলে। তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টিকতে থাকতে অলৌকিক কিছু করতে হতো থমাস টুখেলের শিষ্যদের। কিন্তু ফিরতি লেগে সুযোগ মিসের মহড়ায় ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি জামার্ন জায়ান্টদের।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ৫৭ মিনিটে স্বাগতিক শিবির স্তব্ধ করে দেন হালান্ড। কাউন্টার অ্যাটাকে বল পেয়ে কোনাকুনি শটে ম্যানসিটিকে এগিয়ে নেন তিনি। চলতি মৌসুমে এটা তার ৪৮তম গোল। প্রথমার্ধেই এই ফিগারে পৌঁছানোর সুযোগ পান নরওয়ে ফরোয়ার্ড। ডায়োত উপামেকানোর হ্যান্ডবলে পেনাল্টি পায় অতিথিরা। ৩৭ মিনিটে সেই শট নিতে এসে বল জালে পাঠাতে পারেননি হালান্ড।
৮৩ মিনিটে সেই গোল শোধ দেন জশুয়া কিমিচ। ম্যানসিটির সুইস ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল আকাঞ্জির হ্যান্ডবলে পেনাল্টি পায় বায়ার্ন, যা গোলে রূপান্তরিত করেন কিমিচ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টিকে থাকতে শেষ সাত মিনিটে আরও তিন গোল করার চ্যালেঞ্জ জয় করা সম্ভব হয়নি স্বাগতিকদের। উল্টো বিদায়ের রাতে লাল কার্ড দেখেন তাদের কোচ টুখেল।
বায়ার্ন কোচ এতটাই উত্তেজিত ছিল যে দুটো হলুদ কার্ড দেখে তাকে ডাগআউট ছাড়তে হয়। তার শিষ্যরাও মাঠ ছাড়ে বিদায়ের গ্লানি সঙ্গে নিয়ে। অপরদিকে আনন্দ উল্লাস হয় ম্যানসিটির সঙ্গী। প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ছাড়াও ঘরোয়া লিগ ও এফএ কাপে শিরোপা রেসে আছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
এসএন