আরও ৫০ লাখ টাকা পেল সাফজয়ী মেয়েরা
যা হয় তা ভালোর জন্যই হয় প্রচলিত এই প্রবাদ সত্যি হলো সাফজয়ী মেয়েদের জীবনে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বুদ্ধিতায় মিয়ানমার সফর করা হয়নি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের। তবে বাফুফের ওই ব্যর্থতায় ঈদের আগে আরও ৫০ লাখ টাকা পেলেন সাবিনা খাতুনরা।
অর্থাভাবে মেয়েদের অলিম্পিকের বাছাইয়ে পাঠাতে পারেনি বাফুফে। তখন আলোচনায় আসে যে সাফ জয়ের পর প্রতিশ্রুত আর্থিক পুরস্কার পায়নি মেয়েরা।
এরপরই সাবিনাদের ডেকে পুরস্কারের ৫০ লাখ টাকা বুঝিয়ে দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) গোলাম রব্বানী ছোটন ও তার শিষ্যদের ৫০ লাখ টাকা দিলেন আব্দুস সালাম মুর্শেদী। সাফ জয়ের পর সালাম মুর্শেদীর স্ত্রী এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান শারমিন সালাম সাবিনাদের জন্য ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন। সেটাই আজ বাফুফে ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়েদের বুঝিয়ে দেন বাফুফের সহ-সভাপতি।
ঈদের আগে মোটা অঙ্কের টাকা পেয়ে মিয়ানমার না যাওয়ার হতাশা ভুলেছেন সাবিনারা। তাদের মুখে ফুটেছে হাসি।
সাবিনা বলেছেন, ‘কিছুটা বিলম্ব হলেও ঈদের আগে পুরস্কারের অর্থ পেয়ে ভালোই লাগছে। এতে ভালো কাটবে সবার ঈদ। স্যারকে (সালাম মুর্শেদী) ও এনভয় গ্রুপকে ধন্যবাদ।’
সাফজয়ী ২৩ খেলোয়াড় এবং কোচ ছোটন পেয়েছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা করে। ইতিহাস গড়া মিশনে থাকা বাকিদের দেওয়া হয়েছে ১ লাখ করে। জাকির হোসেন চৌধুরী নিজ ভাগের অর্থ উপহার দিয়েছেন মেয়েরা। অর্থাৎ তার ১ লাখ টাকা ২৩ খেলোয়াড় নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করবেন।
দেরিতে পুরস্কারের অর্থ দেওয়ার ব্যাখ্যায় সালাম মুর্শেদী বলেছেন, ‘ঘোষণার পরই অর্থ হস্তান্তরে প্রস্তুত ছিলাম। এরপর হয়তো আমার ব্যস্ততা, মেয়েদের খেলা আবার ফেডারেশনের সহকর্মীদের সময় সমন্বয় করা যায়নি। এজন্য দেরি হয়েছে।’
এমএমএ/