নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে পাপনকে সালাউদ্দিনের খোঁচা
সাফজয়ী নারী দলকে অলিম্পিক বাছাইয়ে খেলতে পাঠাতে পারেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এ নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে সংস্থাটি। সমস্ত সমালোচনার জবাব দিতে সোমবার সংবাদ সম্মেলন ডাকেন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। সেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নাজমুল হাসান পাপনকে খোঁচা দিয়ে কথা বলেন তিনি।
অলিম্পিকে নারী ফুটবলের বাছাই হবে মিয়ানমারে। সেখানে লড়তে আজ দেশ ত্যাগ করার কথা ছিল সাবিনা খাতুনদের। কিন্তু কয়েকদিন আগেই বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অর্থাভাবে বাংলাদেশকে দলকে মিয়ানমারকে পাঠাতে পারবেন না তারা।
বলা হচ্ছিল, মিয়ানমার সফর করতে সবমিলে প্রায় অর্ধকোটি টাকা প্রয়োজন ছিল। এত বড় অঙ্ক খরচের সামর্থ্য নেই বাফুফের। তাই ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হয়েছিল দেশের ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেননি ক্রীড়ামন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
মন্ত্রণালয়ের সাহায্য না পেয়েই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় বাফুফে। পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করার একপর্যায়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে আমাকে ফোন করেছিল। দল পাঠাতে আর্থিক সাহায্যের কথাও জানিয়েছে। আর্থিক সমস্যার কথা প্রধানমন্ত্রীকে কেন জানাইনি, এ কথাও আমাকে বলা হয়েছে।’
বাফুফে সভাপতির এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন ওঠে বিসিবি সভাপতি পাপন ম্যাচ চলাকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করেন। সেখানে বাফুফে সভাপতি কেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি শুনতে হয়। এই দূরত্ব কেন? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই পাপনকে খোঁচা দেন সালাউদ্দিন।
বাফুফে প্রধানের ভাষ্য ছিল এমন, ‘সবার ব্যক্তিত্ব তো এক না। আমি তো লোক দেখিয়ে বলব না, এই প্রধানমন্ত্রী ফোন দিয়েছেন। আমি ওই রকম না। আপনাদের বুঝতে হবে। আমি ফুটবল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছি; স্বাধীনতা থেকে আজ পর্যন্ত। আমি ওই নাটক করতে পারব না। আমি প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা করি। আমি লোক দেখাতে পারব না। দুঃখিত, এটাই আমার চরিত্র।’
এমএমএ/