জয়ের অপেক্ষা দীর্ঘ করতে চায় না ক্যাবরেরার শিষ্যরা
যেভাবেই হোক, জয় এসেছে। দেশের মাটিতে ঘুচেছে দীর্ঘ ২৭ মাসের অপেক্ষা। পরের জয়ের অপেক্ষা দীর্ঘ করতে চায় না বাংলাদেশ ফুটবল দল। সিশেলসের বিপক্ষেই আরেকটি জয়ের প্রত্যাশা হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা। রবিবার অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে এমন বার্তা দিয়েছেন তারিক কাজী।
ফিফা উইন্ডোকে সামনে রেখে দেশে এবং দেশের বাইরে লম্বা সময় পরিশ্রম করে বাংলাদেশ। যদিও শনিবার সিশেলসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ছিল না সেই পরিশ্রমের ছাপ। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ডিফেন্ডার তারিকের হেড থেকে আসা একমাত্র গোলে কষ্টার্জিত জয় পায় স্বাগতিকরা।
একই ভেন্যুতে মঙ্গলবার সিশেলসের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ খেলতে নামবেন জামাল ভূঁইয়ারা। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে যথারীতি অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছে ক্যাবরেরার শিষ্যরা। যেখানে দলের মধ্যমণি ছিলেন ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক। তাই সংবাদ সম্মেলন সামলাতে তাকেই পাঠিয়ে দেয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম গোল পাওয়ার আনন্দটা তারিক প্রকাশ করেন এভাবে, ‘বিশেষ মুহুর্ত! বিশেষ মুহুর্ত! খুবই আনন্দিত। আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। প্রতি ম্যাচেই আমার মূল লক্ষ্য থাকে গোল হজম না করা। তবে যদি ম্যাচে গোল পেয়ে যাই, এটা আমার জন্য একটা বাড়তি পাওয়া।’
আনন্দের মাঝে কিন্তু নিজের দায়িত্বটা ভুলে যাচ্ছেন না তারিক। তাইতো দ্বিতীয় ম্যাচের প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি বলে রাখলেন, ‘ফুটবল এখন অনেকটাই বদলে গেছে। এখন যে কেউই গোল করতে পারে। সেট পিস কিংবা ওপেন প্লে থেকে যে কারোরই গোল করার সুযোগ রয়েছে।’
তারিক আরও বলেন, ‘আমি মনে করি না গোলটা আমি ভাগ্যের জোরে পেয়েছি। এটা পরিকল্পনার অংশ ছিল এবং আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। আমরা আগের ম্যাচের ভুলগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করেছি। সামনের ম্যাচে আরও ভালো কিছু করতে চাই। জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই আমাদের লক্ষ্য।’
এমএমএ/