উৎসবের দিনে মেসির ৮০০, আর্জেন্টিনার জয়
সেরা উপায়ে লড়াইয়ে ফিরল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। দেশের মাটিতে হাজারো দর্শকের সামনে উৎসবের দিনে লিওনেল মেসি করলেন ক্যারিয়ারের ৮০০তম গোল। বুয়েনস আইরেসে আর্জেন্টিনাও জিতল হেসেখেলে।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে এল মনুমেন্টালে প্রীতি ম্যাচে পানামাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। কাতারে বিশ্বকাপ জয়ের পর এটাই ছিল লিওনেল স্কালোনির শিষ্যদের প্রথম ম্যাচ। লড়াইয়ে সেই একাদশ নামিয়েছিলেন কোচ, যাদের নিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনাল শুরু করেছিল আর্জেন্টিনা।
বিশ্বজয়ী সেই একাদশের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি পানামা। অতিথিদের রীতিমতো শাসন করেছেন মেসিরা। সাজিয়েছিলেন আক্রমণের পসরা। যদিও তার ছাপ নেই ম্যাচের স্কোরলাইনে। লা আলবিসেলেস্তেদের গোল মিসের মহড়ায় দিনে ভাগ্যের ছোঁয়া না থাকায় হয়েছে এমনটা।
ম্যাচজুড়ে ৭৪ শতাংশ সময় বল দখলে রাখে আর্জেন্টিনা। আধিপত্য বিস্তার করে শট নেয় কমপক্ষে ১৮টি। এর মধ্যে ৯টি ছিল লক্ষ্য বরাবর। তাদের এসব আক্রমণ রুখতেই সিংহভাগ সময় কাটিয়ে দেয় পানামা, যারা নিতে পারেনি ১টি অন-শটও।
আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার দিনে শুরুতেই মেসিকে হতাশ করে ক্রসবার। ম্যাচের সপ্তদশ মিনিটে ক্রসবারে প্রতিহত হয় খুদেরাজের ফ্রি-কিক। ৪৪ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজের দূরপাল্লার শট ডাইভ দিয়ে এক হাতে সেভ করেন গোলরক্ষক হোসে কার্লোস গুয়েরার।
প্রথমার্ধে সেরা দুই আক্রমণের মাঝপথে আরও অনেক সুযোগ নষ্ট করে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে আরও ধার বাড়ায় তারা। কিন্তু পানামার গোলমুখে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন গুয়েরার, যিনি মেসির জোড়া ফ্রি-কিক এবং অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার ভাসানো শট রুখে দেন।
তবে অতিথিদের জাল অক্ষত রাখার সৌভাগ্য হয়নি গুয়েরার। ম্যাচের গোলখরা ঘুচান থিয়াগো আলমাডা। ৭৮ মিনিটে দ্বিতীয় বার মেসির ফ্রি-কিক প্রতিহত হয় ক্রসবারে। ফিরতি বলে ভলি নিতে বাতাসে গা ভাসিয়েছিলেন লিয়ান্দ্রো পারেদেস।
কিন্তু পারেনি আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার। সেই সুযোগে বল পানামার জালে পাঠিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করার আনন্দে ভাসেন আলমাডা। আর্জেন্টিনার হয়ে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম জালের দেখা পেয়েছেন ২১ বছরের তরুন এই মিডফিল্ডার।
এরপর মেসি ম্যাচের ইতি টানেন তার স্টাইলে। পানামার বিপক্ষে ৮৯ মিনিটে পঞ্চম ফ্রি-কিক নিতে এসে লক্ষ্যভেদ করেন ৩৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। পৌঁছে যান ৮০০ গোলের মাইলফলকে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে এই উচ্চতায় উঠলেন মেসি।
এসএন