সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মেসির হাতেই কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা

মেসি ক্ষণজন্মা। গড গিফটেড। যুগে যুগে তাদের মতো খেলোয়াড়দের আবির্ভাব ঘটে না। আবির্ভাব ঘটে ধূমকেতুর মতো। যেমন আবির্ভাব ঘটেছিল পেলে, তারপর ম্যারাডোনা এখন মেসি। পেলে, ম্যারাডোনার হাতে বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি শোভা পেয়েছে। কিন্তু মেসির হাতে তা শোভা পায়নি। এটি আবার মেসির শেষ বিশ্বকাপ। রিক্ত হস্তে ফিরবেন ফুটবলের খুদে জাদুকর? সৃষ্টিকর্তাও হয়তো তা চাননি। তিনি যেন গোল আর নৈপুণ্যের ঝাঁপি খুলে দিয়েছিলেন মেসিদের জন্য। মরুর বুকে আকাশের চাঁদ হয়ে থাকা বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঠেছে মেসির হাতে। তবে এমনিতেই আসেনি টানটান উত্তেজনার ম্যাচ নির্ধারিত সময় দুই দুই গোলে অতিরিক্ত সময়ে তিন-তিন গোলে ড্র থাকার পর গড়ায় টাইব্রেকারে। 

সেখানে তারা ফ্রান্সকে হারায় ৪-২ গোলে। আর্জেন্টিনার হয়ে মেসি, দিবালা, পারডেস, মন্টিয়েলন গোল করলেও ফ্রান্সের হয়ে এমবাপে ও কোলো মুয়ানি গোল করেন। কোযমেনের শট ইমি মার্টিনেজ ঠেকিয়ে দেন‌ টিচুয়ামেনির শট বাইরে দিয়ে চলে যায়।  আর্জেন্টিনার এটি ছিল তৃতীয় শিরোপা। সর্বশেষ তারা শিরোপা জিতেছিল ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনার নেতৃত্বে। 

একে একে মেসি চার চারটি বিশ্বকাপে সফল হতে পারেননি। এবার শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু যিনি গড গিফটেড, তার হাত রাঙাতে সৃষ্টিকর্তা যেন একটু বেশিই পরীক্ষা নিতে চাইলেন। বিষয়টি এমন, তোমাকে যখন সব দিয়েছি। বিশ্বকাপও বাকি রাখবো না। এটাও দেব। তবে এতো সহজে না। একটু বেশি পরীক্ষায় ফেলে, টেনশনে রেখে, তারপর।

তাই বলে এমন পরীক্ষা। যে পরীক্ষায় পড়ে শিরোপাই হাত ছাড় হওয়ার উপক্রম। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে ২-২ গোলে সমতা। দুই গোল পরিশোধের পর ফ্রান্স এমনভাবে আর্জেন্টিনাকে চেপে ধরেছিল, তাতে করে তৃতীয় গোল বের করে নেয়া তাদের পক্ষে অসম্ভব ছিল না। তারপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও আবার মেসির গোলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে যায়। পরে আবার ফ্রান্স গোল পরিশোধ করে। এবারও গোল পরিশোধের পর আবারও ফ্রান্স ঝড়। যে ঝড়ে আবারও আর্জেন্টিনার রক্ষণ কেঁপে উঠেছিল। তারপরই না খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই বিধাতা সব লিখে রেখেছিলেন।

একটি ফাইনাল যে রকম হওয়ার কথা ছিল তার সবই এসে হাজির হয়েছিল। দুই দলের সেরা দুই খেলোয়াড় মেসি ও এমবাপের দিকে নজর ছিল সবার। দুই জনের মাঝে আবার ছিল গোল্ডেন বুটের লড়াইও। দুই জনই হতাশ করেনি। মেসি করেছেন দুই গোল। এমবাপে করেছেন হ‌্যাটট্রিক। গোল্ডেন বুট জিতেছেন তিনিই। কিন্তু তার হ‌্যাটট্রিক আড়ালে পড়ে গেছে মেসিদের শিরোপা জয়ের পথে। মেসি জিতেছেন গোল্ডেন বল। গোল্ডেন গ্লাভস জিতেছেন আর্জেন্টিনার গোরক্ষক ইমি মার্টিনেজ। তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কারও গিয়েছে আর্জেন্টিনার শিবিরে। পেয়েছেন এনজো হার্নান্দেজ।

ফাইনাল যে এমন উত্তেজনার মসলা মাখিয়ে শেষ হবে তা কিন্তু খেলার ৮০ মিনিট পর্যন্ত ছিল না। এ সময় প্রথমর্ধে মেসি ও ডি মারিয়া গোলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে ছিল। দুই গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনা কিন্তু রক্ষণাত্মক পদ্ধতি অবলম্বন করেনি। কারণ এভাবে দুই গোলে এগিয়ে থাকার পরও ফাইনালে খেলার সমতা আনার নজির তাদের বিপক্ষে অতীতে আছে। ১৯৮৬ সালে জার্মানির বিপক্ষে আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পর জার্মানি খেলার সমতা এনেছিল। পরে বুরচাগার গোলে আর্জেন্টিনা জিতেছিল ৩-২ গোলে। তাই এবার দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আর্জেন্টিনা ছিল আক্রমণাত্মক। ফলে ফ্রান্সের চেয়ে এই অর্ধেও তারা সুযোগ তৈরি করে বেশি। ফ্রান্সকে শুধু বলের জন্য এদিক-সেদিক দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে। এসময় আর্জেন্টিনা বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে গোল না পাওয়াটা ছিল রীতিমতো হতাশ জনক। ৬০ মিনিটে ডি মারিয়ার কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের ভিতর থেকে মেসির ডান পায়ের শট সাইট বার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। তিনি সঠিকভাবে শট নিতে পারেননি রাবিউট বাধা দেওয়ার কারণে। ৬৪ মিনিটে মেসির কাছ থেকে বল পেয়ে আ্যলিস্টার শট নেওয়ার আগে গোলরক্ষক বাধা দিয়ে নিশ্চিত গোল রক্ষা করেন। এ সময় পর্যন্ত ফ্রান্স একটি মাত্র শট বারে নিতে পেরেছিল। আর কর্ণার পেয়েছিল একটি।

আর্জেন্টিনার দাপটের মধ‌্য দিয়েই খেলা গড়ায় ৮০ মিনিটে। তখন আর্জেন্টিনার দর্শকরা চ‌্যাম্পিয়ন হওয়ান উৎসব শুরু করে দিয়েছেন। বিবিসি লাইভে বুয়েন্স আয়ার্সে ম‌্যারাডোনার বাড়ির সামনে আর্জেন্টিনার সমর্থদের একটি ছবি দিয়েও সংবাদ পরিবেশন করে। এ ছাড়া বিবিসি লাইভেও বারবার উল্লেখ করা হচ্ছিল আর্জেন্টিনার সমর্থকদের এখন পার্টি করার সময়। এ রকম ধারনা অমূলক ছিল না। কারণ তখন পর্যন্ত খেলায় ফ্রান্সকে খোঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না।

কিন্তু হঠাৎ করে ফ্রান্স ঘুরে দাঁড়ায় এক মিনিটের ব‌্যবধানে দুই গোলই পরিশোধ করে। ৮০ মিনিটে বক্সের ভিতরে অটামান্ডি বদলি খেলোয়াড় কুলু মুয়ানিকে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টি দেন। পেনাল্টি থেকে এমবাপে গোল করে মেসির সমান ছয় গোল করে মেসির সমান গোলদাতার তালিকা উঠে আসেন। পরের মিনিটেই এমবাপে আবারো গোল করে খেলা সমতা আনেন। তার গোলটি ছিল দর্শনীয়। মাঝমাঠে কাজ থেকে বল কেড়ে নিয়ে সেই বল পরে তোরাম ও বাপের আদান প্রদান করে পরে বক্সের ভিতর থেকে এমবাপে ডান পায়ে তীব্র শটে গোল করে সমতা আনেন। সেই সঙ্গে সাত গোল করে টপকে যান মেসিকে। হয়ে যান একক সর্বোচ্চ গোলদাতা।

এ সময় ফ্রান্স খেলার পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আর্জেন্টিনাকে বেশ চেপে ধরে। দুইটি গোল পরিশোধ করা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করে। এ সময় তারা এমনভাবে খেলছিল যে কোনও মুহুর্তে তৃতীয় গোল পেয়ে যেত। কোনঠাসা হয়ে পড়া আর্জেন্টিনা ইনজুরি টাইমে মেসির বক্সের ভেতর থেকেবাম পায়ের তীব্র শট গোলরক্ষক লরেস ঝাঁপিয়ে পড়ে নিশ্চিত গোল রক্ষা করলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

১০৪ মিনিটে আর্জেন্টিনা সুযোগ নষ্ট করে উপর্যপুরি। প্রথমে বদলি লাউতারো মার্টিনেজের শট ফ্রান্সের রক্ষণভাগের একজন খেলোয়াড় ফিরিয়ে দেয়ার পর বদলি আরেক খেলোযাড় মনিটয়েলের ফিরতি শটে আবারও ফ্রান্সের রক্ষণের একজন খেলোয়াড় হেড করে রক্ষা করেন। ১০৭ মিনিটে মেসির বাম পায়ের শট লরেস ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন। ১০৮ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে গড়ে উঠা আক্রমণকে সফল পরিণতি আসে মেসির মাধ‌্যমে। অ‌্যালেস্টারের শট লরেস ফিরিয়ে দিলেও সামনে দাঁড়ানো মেসি আলতো টোকায় বল জালে জড়িয়ে দৌড় শুরু করেন। প্রথমে মনে করা হয়েছিল অফসাইড। কিন্তু রেফারি গোলের বাঁশি বাজানোর সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় উচ্ছ্বাসের বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু ১১৮ মিনিটে ফ্রান্স সেই গোল আবার পরিশোধ করে পেনাল্টি থেকে এমবাপের মাধ‌্যমে। এমবাপের শট আর্জেন্টিনার রক্ষণের একজন খেলোয়াড়েন অনিচ্ছাকৃতভাবে হাতে লাগলে রেফারি পেনাল্টি দেন। এই গোল করে এমবাপে মেসিকে ছাড়িয়ে গোল্ডেন বুটের একক মালিক বনে যান আট গোল করে। শেষ মুহুর্তে ইমি মার্টিনেজ নিশ্চিত একটি গোল রক্ষা করেন। পাল্টা আক্রমণ থেকে লাউতারো মার্টিনেজর হেড বারের বাইরে দিয়ে চলে গেলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। তারপর রচিত হয় মেসির আর্জেন্টিনার ইতিহাস।

এমপি/এমএমএ/এএস

Header Ad
Header Ad

মারা গেছেন পোপ ফ্রান্সিস

ছবি: সংগৃহীত

ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান পোপ ফ্রান্সিস পরলোক গমন করেছেন। ইস্টারের পরেরদিন মারা গেলেন তিনি।তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। রবিবার ইস্টার ছিল, পালনও করেছিলেন তিনি, তার পরে সোমবারই প্রয়াত হলেন পোপ ফ্রান্সিস। এ তথ্য জানিয়েছে ভ্যাটিকান।

বিস্তারিত আসছে...

Header Ad
Header Ad

দেশে তিন স্তরে কমলো ইন্টারনেটের দাম, গ্রাহকদের স্বস্তি দেওয়ার উদ্যোগ সরকারের

ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারনেট ব্যবহারে ভোক্তাদের ওপর আর্থিক চাপ কমাতে তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, জনপ্রিয় টেলিকম প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাট হোম তাদের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সার্কিট (আইটিসি), ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) এবং ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম যথাক্রমে ১০, ১০ এবং ১৫ শতাংশ হারে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাইকারি পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার ব্যয় হ্রাস পাবে, যা পর্যায়ক্রমে গ্রাহক পর্যায়েও প্রভাব ফেলবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এছাড়া ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে যে, এখন থেকে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবা মাত্র ৫০০ টাকায় গ্রাহকদের দেওয়া হবে। এই উদ্যোগ সাধারণ গ্রাহকদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে তাদের সব সেবায় ১০ শতাংশ মূল্যছাড় দিয়েছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটকও ঈদুল ফিতরের দিন থেকে ১০ শতাংশ ছাড়ে মোবাইল ইন্টারনেট সরবরাহ করছে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার ইতোমধ্যে মোবাইল অপারেটরদের জন্য ডিডব্লিউডিএম ও ডার্ক ফাইবারের মতো সুবিধা চালু করেছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে যৌথ উদ্যোগে পাইকারি ইন্টারনেটের দাম কমানো হয়েছে। তাই বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের পক্ষে এখন দাম না কমানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই।

তিনি আরও বলেন, চলমান মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমালে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর আর্থিক চাপ কিছুটা লাঘব পাবে। সরকার চাইছে মোবাইল কোম্পানিগুলো দুইটি দিক থেকে মূল্যছাড় দিক—প্রথমত, পূর্বে শুল্ক বৃদ্ধির কারণে আরোপ করা বাড়তি মূল্য তুলে নেওয়া; দ্বিতীয়ত, আইটিসি, আইআইজি ও এনটিটিএন স্তরে যেভাবে পাইকারি দাম কমানো হয়েছে, সেভাবে গ্রাহক পর্যায়েও মূল্য হ্রাস করা।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশের মোবাইল ইন্টারনেটের গুণগত মান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা অভিযোগ রয়েছে। সেবার মানের তুলনায় দাম বেশি হওয়ায় গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সরকারের লক্ষ্য হলো—একটি যৌক্তিক ও সমন্বিত মূল্যনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেবা মানোন্নয়ন ও গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা।

এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে দেশে ডিজিটাল সংযোগ আরও বিস্তৃত হবে এবং সাধারণ মানুষ আরও সহজে সাশ্রয়ী দামে ইন্টারনেট সেবা নিতে পারবেন—এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

Header Ad
Header Ad

আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি চীনের

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেই চীনের সঙ্গে শুরু করেছেন বাণিজ্যযুদ্ধ। দুই দেশের পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যেই চীন বিশ্বজুড়ে দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছে, যেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনও বাণিজ্যচুক্তিতে না যায়, যা চীনের স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, চীন বিশ্বাস করে—সব দেশই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের বাণিজ্য বিরোধ মেটাতে পারে। তবে কেউ যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনও চুক্তি করে যা চীনের ক্ষতি করে, তাহলে বেইজিং তাতে কঠোরভাবে আপত্তি জানাবে। তিনি আরও বলেন, কেউ চীনের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করলে চীন 'সঠিক এবং সমুচিত প্রতিক্রিয়া' জানাবে।

এই হুঁশিয়ারি এমন সময়ে এসেছে, যখন ট্রাম্প প্রশাসন অন্যান্য দেশগুলোর ওপর চাপ দিচ্ছে—তারা যেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুল্ক ছাড় পেতে চাইলে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সীমিত করে। চীনের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র সমতার কথা বলে একতরফাভাবে সব দেশের ওপর শুল্ক চাপিয়ে দিচ্ছে এবং দেশগুলোকে তথাকথিত ‘পারস্পরিক শুল্ক’ আলোচনায় বাধ্য করছে।

চীন জানিয়েছে, তারা নিজের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় ও সক্ষম এবং বিশ্বব্যাপী দেশগুলোর সঙ্গে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে চায়। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০টি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাড়তি শুল্ক নিয়ে আলোচনায় নেমেছে। জাপান সয়াবিন ও চালের আমদানি বাড়ানোর কথা ভাবছে, আর ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে অন্য উৎস নির্ভরতা কমাতে চাইছে।

উল্লেখ্য, ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল বহু দেশের ওপর শুল্ক আরোপ স্থগিত করলেও, চীনের ওপর তা বহাল রেখেছেন। চীনই এই শুল্ক নীতির মূল লক্ষ্য। এর জবাবে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তিনটি দেশ সফর করেছেন, যেখানে মূল উদ্দেশ্য ছিল—আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদার করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা বাণিজ্যনীতির বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তোলা।

(সূত্র: রয়টার্স, সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান)

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মারা গেছেন পোপ ফ্রান্সিস
দেশে তিন স্তরে কমলো ইন্টারনেটের দাম, গ্রাহকদের স্বস্তি দেওয়ার উদ্যোগ সরকারের
আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি চীনের
৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা, মানতে হবে ৪ নির্দেশনা
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় আটক ৩ জন
ঢাকাসহ ১৪ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিপিডিবি চেয়ারম্যান
পরমাণু কর্মসূচি থেকে না সরার ঘোষণা ইরানের
পর্যটকদের ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে সৌদি সরকার
আজ কাতার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ভুল বোঝাবুঝিতে গাজায় ১৪ জরুরি সেবাদাতা কর্মীকে হত্যা!
জেলা প্রশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দিল আওয়ামী লীগ
বিয়ের আশ্বাসে স্বামীর ১১ লাখ টাকা নিয়ে ঘর ছাড়লেন নারী, প্রেমিকের ফাঁদে পড়ে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার
বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া
পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর
২০২৫ শেষ হওয়ার আগেই ৫০ সেঞ্চুরিতে দেশের প্রথম এনামুল হক
ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন