মরক্কোর রক্ষণ ভেঙে প্রথমার্ধে এগিয়ে ফ্রান্স

বিশ্বকাপ ফুটবলে একমাত্র ব্রাজিল ছাড়া পরপর দু'বার কারও ফাইনাল খেলার রেকর্ড নেই। ব্রাজিল ১৯৫৮ ও ৬২ সালে দু'বার ফাইনালে উঠে দু'বারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের সামনে সেই সুযোগ। আর তা কাজে লাগাতে মরক্কোর বিপক্ষে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ফ্রান্স প্রথমার্ধে এগিয়ে আছে ১-০ গোলে। খেলার ৫ মিনিট না গড়াতেই গোল করেন রক্ষণভাগের হার্নান্দেজ।
ফ্রান্স ৪-২-৩-১ এবং মরক্কো ৫-৪-১ পদ্ধতিতে খেলছে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে লড়াই ছিল ফ্রান্সের আক্রমণভাগ বনাম মরক্কোর রক্ষণভাগ। ফ্রান্সের আক্রমণভাগ যেমন যেকোনো দলের জন্য ভীতিকর, তেমনি মরক্কোর রক্ষণ যেকোনো দলের জন্য চিন্তার কারণ। অবশ্য মরক্কোর রক্ষণ ফ্রান্সের ভয়ংকর আক্রমণভাগের সামনে খুব বেশি সময় চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারেনি।
খেলা শুরু হতে না হতেই পাঁচ মিনিটের মাথায় গোল দিয়ে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ডান দিক দিয়ে গড়ে উঠা আক্রমণ মরক্কোর শক্তিশালী রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে বল ঢুকে যায় ভেতরে। সেই বল ধরে বক্সের ভেতর থেকে গ্রিজম্যান পাস দেন এমবাপেকে। বক্সের ভেতর থেকে এমবাপের বাম পায়ের শট মরক্কোর গোলরক্ষক বোনো ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সামনে থাকা হার্নান্দেজ বাম পায়ে ভলি শটে গোল করেন। ১৯৫৮ সালের পর বিশ্বকাপ ফুটবলের সেমিফাইনালে এটি ছিল দ্রুততম গোল। সেবার ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের হয়ে দ্বিতীয় মিনিটে গোল করেছিলেন ভাভা। খেলায় ব্রাজিল জয়ী হয়েছিল ৫-২ গোলে।
৯ মিনিটে মরক্কোর গোল পরিশোধের সুযোগ নষ্ট করে দেন ফ্রান্সের গোলরক্ষক লরিস। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে ওনাইয়ের ডান পায়ের শট লরিস বাম দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন।
১৬ মিনিটে বক্সে ঢুকে জিরোডের বাম পায়ের শট সাইডবারে লেগে ফিরে আসে। ৩৫ মিনিটে প্রথমে এমবাপে পরে জিরোড ফাঁকা পোস্টে গোল করতে ব্যর্থ হন। টিচোয়ামেনি বক্সের ভেতর এমবাপেকে ফাঁকায় বল ঠেলে দিয়েছিলেন। মরক্কোর রক্ষণভাগের একজন খেলোয়াড়ের বাধা সত্ত্বেও এমবাপে ডান পায়ের শটে গোলরক্ষক বোনোকে ঠিকই পরাস্ত করেছিলেন। কিন্তু গোলে প্রবেশের আগে আশরাফ হাকিমি ক্লিয়ার করেন। বল আবার চলে আসে বক্সে। এসময় জিরোডের শট সাইডবার দিয়ে বাইরে চলে গেলে ফ্রান্স গোল বঞ্চিত হয়।
৪৪ মিনিটে ভাগ্য সহায়তা না করায় মরক্কো গোল পরিশোধ করতে পারেনি। কর্নার কিক থেকে ইয়ামিকের বাইসাইকেল শট সাইডবারে লেগে ফিরে আসলে মরক্কো নিশ্চিত গোল বঞ্চিত হয়। ফলে প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে আছে ফ্রান্স।
এমপি/এসজি
