আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তোলার পথে একাধিক রেকর্ড মেসির
ফুটবলের জাদুকর মেসি। রেকর্ডতো তার পায়ে গড়াগড়ি খাবে, এটাই স্বাভাবিক। একমাত্র বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রফি জেতা ছাড়া এমন কোনও ট্রফি নেই তা তিনি জিততে পারেননি। এবার সেই ট্রফি জেতার দ্ধারপ্রান্তে দ্বিতীয়বারের মতো পৌঁছে গেছেন তিনি। ১৮ ডিসেম্বর নির্ধারিত হবে তার হাতে শিরোপা উঠবে কি উঠবে না? কাতার বিশ্বকাপে ফাইনাল পর্যন্ত উঠে আসতে একের পর এক রেকর্ড গড়াগড়ি করেছে মেসির পায়ে। সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করা ম্যাচেও মেসি গড়েছেন একাধিক রেকর্ড।
সেমিফাইনাল খেলতে নেমেই তিনি স্পর্শ করে ফেলেন বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা জার্মানির লুথার ম্যাথিঊসকে। দুজনেরই ম্যাচ সংখ্যা এখন ২৫। তবে ম্যাথিউসকে ছাড়িয়ে যাওয়া মেসির জন্য এখন শুধুই সময়ের ব্যাপার। ফাইনাল খেলতে নামলেই ২৬ ম্যাচ খেলে তিনি হয়ে যাবেন এই রেকর্ডের একক মালিক।
ম্যাথিউস পাঁচ বিশ্বকাপে খেলেছিলেন ২৫ ম্যাচ। ১৯৮২ সালে দুটি, ১৯৮৬ সালে সাতটি, ১৯৯০ সালে সাতটি, ১৯৯৪ সালে পাঁচটি এবং ১৯৯৮ সালে চারটি। এ সময় তিনি গোল করেছিলেন ছয়টি। মেসিও খেলেছেন পাঁচটি বিশ্বকাপ। ২০০৬ সালে তিনটি ২০১০ সালে পাঁচটি,২০১৪ সালে সাতটি, ২০১৮ সালের চারটি এবং কাতার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ছয়টি ম্যাচ তিনি খেলেছেন। মেসির গোল ১১টি। এই দুজনের পরই আছেন চার বিশ্বকাপে ২৪ ম্যাচ খেলে জার্মানির সাবেক স্ট্রাইকার মিরোস্লাভ ক্লোসা। ইতালির পাওলো মালদিনি তিনে আছেন চার আসরে ২৩ ম্যাচ খেলে। পর্তুগিজ যুবরাজ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আছেন তালিকার পাঁচে। পাঁচ আসরে তার ম্যাচ ২২টি।
ফাইনালে মেসি আরেকটি রেকর্ডের মালিক হবেন। এটি হবে সবচেয়ে বেশি সময় মাঠে খেলা। মেসি খেলেছেন ২১০৪ মিনিট। এর চেয়ে বেশি ২১১৭ মিনিট খেলেছেন ইতালির পাওলো মালদিনি। ফাইনালে খেলতে নামলেই মেসি ছাড়িয়ে যাবেন মালদিনিকে।
এটি তো গেল মেসির ম্যাথিউসের রেকর্ডে ভাগ বসানোর পালা। দলের হয়ে প্রথম গোল করেই তিনি ছাড়িয়ে গেছেন স্বদেশি বাতিস্তুতার করা বিশ্বকাপে ১০ গোলের কীর্তিকে। ১১ গোল করে তিনি এখন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা। এবার তিনি ছয় ম্যাচ খেলে গোল করেছেন পাঁচটি। এই পথ পরিক্রমায় তিনি পেছনে ফেলেছেন ফুটবলের আরেক কিংবদন্তি ম্যারাডোনার আট গোলকেও।
এই ম্যাচে মেসি অধিনায়ক হিসেবেও সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েছেন। তার ম্যাচ সংখ্যা ১৯, পেছনে পড়ে গেছেন ১৮ ম্যাচ খেলা মেক্সিকোর রাফা মার্কেজ।
এমপি/এসআইএইচ