বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মেসি যাদুতে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

দুইবারের বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা যখনই সেমি ফাইনালে উঠে, কখনোই হারেনি। সেই ধারার ব্যত্যয় ঘটেনি কাতার বিশ্বকাপেও। ফুটবল বিশ্বের খুদে যাদুকর মেসির হাতে শিরোপা উঠতে সেমির বাঁধা অতিক্রমের পথে আর্জেন্টিনা ক্রয়েশিয়াকে কোমার সোজা করে দাঁড়াতেই দেয়নি। মেসির যাদুতে ক্রোয়েশিয়াকে ধরাশায়ী করেছে ৩-০ গোলে। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ৩-০ গোলের হার ফিরিয়ে দিয়ে উঠে গেছে শিরোপা জয়ের শেষ ধাপে ফাইনালে।

২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপের পর আবার তারা উঠল ফাইনালে। সব মিলিয়ে এটি তাদের ষষ্ঠবার ফাইনাল উঠা। ১৯৩০ সালে প্রথম আসরের পর ১৯৭৮, ১৯৮৬, ১৯৯০ ও ২০১৪ সালে খেলেছিল ফাইনাল। ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে তারা হয়েছিল চ‌্যাম্পিয়ন।

১৮ ডিসেম্বর শিরোপা তৃতীয়বার জেতার মিশনে মেসি বাহিনী নামবে ফ্রান্স ও মরক্কোর দ্বিতীয় সেমিতে বিজয়ীর সঙ্গে।

দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামের রাতের আকাশ ধারন করেছে আকাশি রঙে। আর্জেন্টাইন দর্শকদের গগনবিদারী আওয়াজে মুখরিত।

সেমিতে আর্জেন্টিনা কখনই হারেনি। এই ধারনা সত‌্য প্রমাণ করতে মেসি নিজেই করেছেন প্রথম গোল। গোলটি ছিল পেনাল্টি থেকে। পরেরটি আসে আলভারেজের পা থেকে। দুইটি গোলের মাঝে সময়ের ব‌্যবধান ছিল মাত্র পাঁচ মিনিট। তৃতীয় গোলটি আসে দ্বিতীয়ার্ধে খেলার ৬৯ মিনিটে।

প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে এগিয়ে থাকলেও প্রথম ২০ মিনিট কিন্তু তাদের খোঁজেই পাওয়া যায়নি। বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়দের পায়েই বেশি। যদিও এ সময় তারা কোনও সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। আর্জেন্টিনাও পারেনি কোনও সুযোগ সৃষ্টি করতে।

আর্জেন্টিনা ৪-৪-২ এবং ক্রোয়েশিয়া ৪-৩-৩ পদ্ধতিতে খেলা শুরু করে। প্রথম ১০ মিনিট কোন দলই গোছালো কোনও আক্রমণ গড়ে তুলতে পারেনি। নিজেদের মাঝে আল-প্রদানেই সীমাবদ্ধ ছিল এই সময়। কোনও কর্ণার হয়নি। কোনও অফসাইড হয়নি। গোল পোষ্ট করে কোনও শটও নিতে পারেনিকোনও দল। বল পজিশনে ক্রোয়েশিয়া এগিয়ে ছিল। তাদের দখলে ছিল শতকার ৫৫ শতাংশ। আর্জেন্টিনার দখলে ছিল ৪৫ শতাংশ। ক্রোয়েশিয়া পাসদিয়েছে ৫৫ টি। আর্জেন্টিনা ৪০টি।

২০ মিনিট পর আর্জেন্টিনা ধীরে ধীরে যে খেলায় ফির আসছিল তার পুরো ফায়দা তুলে নেয় ৩১ থেকে ৪০ মিনিটে। এ সময় তারা দু্ইটি গোলও আদায় করে নেয়। ৩২ মিনিটে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। মাঝ মাঠ থেকে উড়ে আসা বল ফাঁকায় পেয়ে যান আলভারেজ। বিপদ বুঝে পোষ্ট ছেড়ে বের হয়ে আসনে গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। কিন্তু আলভারেজ ঠিকই গোলরক্ষকে ফাঁকি দিয়ে বল জালের দিকে ঠেলে দেন। কিন্তু লিভাকোভিচ মারাত্বকভাবে ফাউল করেন আলভারেজকে। রেফারি দেন পেনাল্টি নির্দেশ। এদিক আলভারেজের ঠেলে দেয়া বল জালে প্রবেশের আগে রক্ষণের একজন খেলোয়াড় এসে বিপদমুক্তও করেন। পরে ৩৪ পেনাল্টি থেকে মেসি নিশানাভেদ করেন। তিনি যখন পেনাল্টি শট নিচ্ছিলেন, তখন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক ইমি মার্টিনেজ টেনশনে মুখ ঘুরিয়ে নিজেদের পোষ্টের দিকে থাকিয়ে থাকেন। এবারের আসরে মেসির এটি ছিল পঞ্চম গোল। আর এই গোল করে তিনি স্বদেশি বাতিস্তুতার করা ১০ গোল ছাড়িয়ে গেলেন। আবার এই ম‌্যাচ খেলতে নেমেই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২৫ ম‌্যাচ খেলা জামার্নির ম‌্যাথিউজের সমান হলেন। ফাইনাল খেলতে নামলেই তিনি ছাড়িয়ে যাবেন তাকে। হবেন একক মালিক। এদিকে এই ম‌্যাচ খেলতে নেমে তিনি অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ১৯টি ম‌্যাচ খেলার নতুনও রের্কডও গড়েছেন। আগের রেকর্ড ছিল মেক্সিকোর রাফা মার্কোজের।

এই গোলের রেশ কাটতেনা কাটতেই আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় আলভারেজের মাধ‌্যমে। ৩৯ মিনিটে নিজেদের সীমান থেকে গড়ে উঠে আক্রমণ। সেই আক্রমণ থেকে আলভারেজ মধ‌্য মাঠ থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ নেন। তারপর ঢুকতে থাকেন এককভাবে। এ সময় দলের দুই জন খেলোয়াড় দুই দিক দিয়ে জায়গা করে নেন। আর আলভারেজকে আটকানোর জন‌্য ক্রোয়েশিয়ার দুই জন খেলোয়াড় ছুটতে থাকেন। কিন্তু তাকে আটকে রাখা সম্ভব হয়নি। এই দুই জনকে পরাস্ত করে পরে গোলরক্ষকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন। ৪১ মনিটে আর্জেন্টিনার তৃতীয় গোল না হওয়া ছিল দুভার্গ‌্য জনক। মেসির কর্ণার থেকে নিকোলাস টাগলিয়াফিকোর হেড গোলে প্রবেশের মুহুর্তে গোলরক্ষক লিভাকোভিচ বাম দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন।

খেলায় ফিরে আসার জন‌্য দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ক্রোয়েশিয়া দুই জন খেলোয়াড়কে পরিবর্তন করে খেলতে নামে। সসার পরিবর্তে ওরসিক এবং পাসারিকের পরিবর্তে ভ্লাসিককে নামানো হয়। শুরুতেই তারা একটি ফ্রি কিক আদায় করে ফিরে আসার ইংগিতই দিয়েছিল। এ সময় তারা বেশ চাপও সৃষ্টি করে। আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা নিজেদের সীমানায় ঘুরপাক খেতে থাকেন। কিন্তু এই শেষ।

ক্রোয়েশিয়ার চাপ সামলে আর্জেন্টিনা আক্রমণে গিয়েই সুযোগ সৃষ্টি করে নিয়েছিল। ৫৭ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে মেসির বাম পায়ের শট গোলরক্ষক লিভাকোভিচ ফিরিয়ে দেন। ৬৪ মিনিটে লভারনের বিপজ্জনক ফ্রি কিক আর্জেন্টিনার ওটামান্ডি ও গোলরক্ষক ইমিমার্টিনেজ বিপদ হতে দেননি। ৭০ মিনিটে আর্জেন্টিনার তৃতীয় গোল ছিল মেসির নান্দনিকতায় ভরপুর। গোল করেছেন আলভারেজ। কিন্তু সম্পূর্ণ কৃতিত্ব ছিল মেসির। যেন তিনি আলভারেজকে মুখে তুলে খাবার খাওয়ানোর মতো গোলের উৎস তৈরি করে দেন। মাঝমাঠের কাছাকাছি থেকে বল ধরে পায়ে চুম্বকের মতো যেন আটকে ফেলেন। কিছুতেই তার পা থেকে বল কেড়ে নেয়া সম্ভব হয়নি ক্রোয়েটদের। সেই বল নিয়ে মেসি নিজের পায়ের ক‌্যারিশমা দেখিয়ে গোল লাইন বারাবর থেকে বল বাড়িয়ে দেন একেবারে গোলপোষ্ট বরাবর ফাঁকায় থাকা প্রথম গোল করা আলভারেজকে। তিনি শুধু নিজের ডান পাকে ঘুরিয়ে বলের সঙ্গে সংযোগ ঘুটিয়ে দেন। এরপর আর্জেন্টিনার ফাইনালে উঠা নিয়ে আর কোনও শঙ্কা থাকেনি। খেলার বাকি সময় হয়ে উঠে শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।

এমপি/এএস

Header Ad

ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার

ছবি: সংগৃহীত

ক্রমশ উত্তেজনা বাড়াচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। টানা আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। মাঝে এই যুদ্ধে কিছুটা ধীরগতি দেখা গেলেও সম্প্রতি হামলা বেশ জোরদার করেছে রাশিয়া।

মূলত ইউক্রেনে এখন আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে রুশ সৈন্যরা। এমনকি গত এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান আয়তনের এলাকা ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করে নিয়েছে রাশিয়া।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ান বাহিনী ২০২২ সালের আক্রমণের প্রথম দিনগুলোর চেয়ে ইউক্রেনে বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে অগ্রসর হচ্ছে বলে বিশ্লেষক এবং যুদ্ধ ব্লগাররা মঙ্গলবার জানিয়েছেন।

গত মাসে রুশ সৈন্যরা লন্ডনের আয়তনের সমান অর্ধেক এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার সেনাবাহিনী এর আগে কখনেও এতো দ্রুত ইউক্রেনের অঞ্চলগুলোতে অগ্রসর হয়নি।

মূলত টানা আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিকে সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের একাধিক দেশ।

বিশেষ করে অস্ত্র দেওয়ার পাশাপাশি দেশটিকে ব্যাপকভাবে সামরিক তহবিলও জুগিয়ে এসেছে ওয়াশিংটন। তবে এরপরও যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। আর এমন অবস্থায় সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানার জন্য ইউক্রেনকে মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম বলছে, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করে সেই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করার অনুমতি দেওয়ার পর চলমান এই যুদ্ধটি সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।

রাশিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউজ গ্রুপ এজেন্টস্টভো এক প্রতিবেদনে বলেছে, “ইউক্রেন-অধিকৃত অঞ্চলের মধ্যে আয়তনের দিক থেকে নতুনভাবে সাপ্তাহিক ও মাসিক রেকর্ড স্থাপন করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রায় ২৩৫ বর্গ কিলোমিটার (৯১ বর্গ মাইল) দখল করেছে, যা ২০২৪ সালের জন্য একটি সাপ্তাহিক রেকর্ড।”

এর আগে চলতি বছর জুলাই মাসে রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনে দ্রুত অগ্রসর হতে শুরু করে। ওপেন সোর্স মানচিত্র অনুসারে, এরপর থেকেই রাশিয়ার অগ্রগতি ত্বরান্বিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে প্রায় ১২ হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আড়াই বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া— চারটি প্রদেশের আংশিক দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।

এই চার প্রদেশের রাশিয়ার দখলে যাওয়া অংশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের এক-পঞ্চমাংশ। অবশ্য যুদ্ধরত এই দুই দেশের কেউই তাদের নিজস্ব ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রকাশ না করলেও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হতাহতের সংখ্যা কয়েক লাখ বলে অনুমান করছে।

Header Ad

লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২

ছবি: সংগৃহীত

লেবাননজুড়ে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও বহুসংখ্যক। মঙ্গলবার যে দিন লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাল ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার, সেই দিনই এ হামলা চালাল ইসরায়েলের বিমান বাহিনী।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মঙ্গলবারের বিমান হামলায় লেবাননের রাজধানী বৈরুত, পূর্ব লেবাননের বালবেক, দক্ষিণ লেবানের বেন্ত জেবেইল, চাকরা, মধ্যাঞ্চলের আল বাস্তা ও বারবোর থেকে নিহত ও আহতের সংবাদ পাওয়া গেছে।

এদিকে, মঙ্গলবার ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর লেবানন অভিযানের মধ্যেই যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার বিশেষ সেশন আহ্বান করেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেই সেশনে লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে অনুমোদন দেওয়া হয়।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ অবশ্য সোমবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে যুদ্ধবিরতির ‘আগ মুহূর্ত পর্যন্ত’ লেবাননে অভিযান জারি রাখবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

মঙ্গলবার দুই মাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ। এ যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইসরায়েল লেবানন থেকে নিজেদের সব সেনা প্রত্যাহার করে নিয়ে যাবে ইসরায়েল। অন্যদিকে হিজবুল্লাহ সীমান্ত এলাকা থেকে সরে গিয়ে লিটানি নদীর অপরপ্রান্তে চলে যাবে। এছাড়া হিজবুল্লাহ সীমান্তে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ ও নিজেদের পুনরায় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত করতে পারবে না।

প্রসঙ্গত, ইরানের সমর্থন ও মদতপুষ্ট হিজবুল্লাহ বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী। লেবাননভিত্তিক এই গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই এই গোষ্ঠীটি ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ধ্বংসের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের অপর পাশেই লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল। এ অঞ্চলটি হিজবুল্লাহর প্রধান ঘাঁটি এবং গোষ্ঠীটির অধিকাংশ সামরিক স্থাপনার অবস্থান এখানে। গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ। পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করে ইসরায়েলও। গত এক বছরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে লেবাননে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। এই নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ৫ শতাধিক। তবে আইডিএফের দাবি, এই নিহতদের মধ্যে অন্তত ৯৪০ জন হিজবুল্লাহ কমান্ডার ও যোদ্ধা রয়েছে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। প্রায় ১০ দিনের সেই অভিযানে নিহত হয়েছেন হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা ও সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহসহ বেশ কয়েক জন শীর্ষ কমান্ডার। এতে গোষ্ঠীটির চেইন অব কমান্ডের সর্বোচ্চ স্তর প্রায় ভেঙে পড়েছে।

বিমান অভিযান পর্বের পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে দক্ষিণ লেবাননে অভিযান শুরু করেছে আইডিএফের স্থল বাহিনী। এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে আইডিএফ বলেছিল, ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোতে সীমিত ও স্থানীয় পর্যায়ে অভিযান চালানো হবে।

ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ইতোমধ্যে লেবাননে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

Header Ad

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিনভর সিলেটে বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালা শেষে বিকালে সমাপনী বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, দেশের মানুষ বিএনপির সঙ্গে রয়েছেন। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব বিএনপি নেতাকর্মীদের।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। দল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে বাংলাদেশকে কোনো হুমকি থেকে রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হবে।

সিলেট শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল থেকে শুরু হওয়া রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নেন সিলেট বিভাগের পাঁচ ইউনিটের নেতারা।

কর্মশালায় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউসের সভাপতিত্বে ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদানকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতার ৩১ দফা কর্মসূচির ওপর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রশিক্ষণে প্যানেল আলোচক ছিলেন- ডা. মওদুদ আলমগীর, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক ডা. মহিউদ্দিন আলমগীর পাবেল, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা হাবিবা, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আলি, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান তালুকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাহসিনা রুশদির লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-সম্পাদক শাম্মী আক্তার ও আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবান ফজলুল হক ময়ুন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই ঢাকায় গত দুই দিনের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই। আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তি, দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।

নেতাকর্মীদের প্রতি তারেক রহমান বলেন, মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। মানুষের আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার।

তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা সব দলের পক্ষ থেকে ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। এটির মধ্যে রাষ্ট্রকাঠামোর অধিকাংশই আছে। আরও যত প্রস্তাব আসবে তা যুক্তিসংগত হলে যুক্ত করা হবে। আজকে বিভাগ পর্যায়ে ৩১ দফা নিয়ে আলোচনার পর জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। বইয়ে অনেক কিছু সুন্দরভাবে লিখা থাকে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে হয় মানুষকে। তাই ভালো নিয়ত নিয়ে ভালো নিয়ত থাকলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলার পথে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত ১৬ বছরে বহু মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। জুলাই-আগস্টে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ শহিদ হয়েছেন। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে এ প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সম্ভব। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখলে জবাবদিহিতা তৈরি হবে। এজন্য যেকোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখব।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২
স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ