ফ্রান্সের ঘুম কেড়ে নিয়েছে মরক্কোর ভক্তরা
ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মরক্কো। জাতীয় ফুটবল দলের অবিশ্বাস্য সাফল্যে দেশটির জনসাধারণের ধ্যান-জ্ঞান এখন ফুটবল। সেমিতে আশরাফ হাকিমিদের সমর্থন জানাতে যে যেভাবে পারছে ধরছে কাতারের বিমান। সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট বিমান কর্তৃপক্ষ। মরক্কোনদের এমন তোড়জোড় কেড়ে নিয়েছে ফ্রান্সের ঘুম।
আগামীকাল (১৪ ডিসেম্বর) বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ফ্রান্স ও মরক্কো। ভেন্যু আল বায়েত স্টেডিয়াম। কাতারের রাজধানী দোহা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ভেন্যু। ম্যাচটিকে সামনে রেখে যেভাবে প্রস্তুত হয়ে কাতারমুখী হচ্ছেন মরক্কোনরা তাতে বলা হচ্ছে ম্যাচ ডেতে দোহাকেই নিজেদের রাজধানী বানিয়ে ফেলবে দেশটির ফুটবলপ্রেমীরা।
দোহায় এমনিতেই বাস করছেন প্রায় ১৩ হাজার মরক্কোন। তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় আরও ১০ হাজার স্বদেশি। প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে মরক্কো সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার পরই মরক্কোর রয়্যাল এয়ার মারোক বিশেষ ৩০টি ফ্লাইটযোগে ভক্তদের কাতারে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। প্রতিটি ফ্লাইটে রওনা হচ্ছেন গড়ে ৩১০ জন যাত্রী।
বিমানে চড়েই একটি ব্যাকপ্যাক উপহার পেয়েছে মরক্কোনরা। ওই থলিতে আছে দেশের জাতীয় পতাকা এবং পতাকার আগলে তৈরি করা বিশেষ টি-শার্ট। অর্থাৎ ভক্তদের প্রস্তুত করেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশে পাঠাচ্ছে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। প্রতিপক্ষের এমন প্রস্তুতি ভাবিয়ে তুলছে ফ্রান্সকে, যা মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে অকপটে স্বীকার করেছেন কোচ দিদিয়ের দেশম এবং গোলরক্ষক হুগো লরিস।
দেশম বলেন, ‘মরক্কো সেমিফাইনালে আছে। আমি পরিবেশের জন্য প্রতিকূল শব্দটি পছন্দ করি না কারণ এটি নেতিবাচক। কিন্তু তাদের দুর্দান্ত সমর্থন রয়েছে, যা তাদের জন্য খুব প্রয়োজনীয়। (মরক্কোন ভক্তরা) খুব শোরগোল করবে এবং আমার কর্মীরা এ বিষয়টি খেলোয়াড়দের অবগত করেছে। এত জোরালো সমর্থন পাওয়া দুর্দান্ত এবং এটি আমাদের গোল করতে দেবে না।’
ফরাসি কোচ যোগ করেন, ‘আপনি যখন একটি ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হন তখন আপনাকে পরিবেশের জন্য প্রস্তুত হতে হবে- আমরা খেলোয়াড়রা জানে কী করা উচিত।’
মরক্কোর ভক্তদের আগমনী বার্তাকে ‘উত্তেজক পরিবেশ’ অ্যাখ্যা দিয়ে লরিস বলেন, ‘প্রস্তুতিতে আপনাকে শান্ত থাকতে হবে এবং ফোকাস করতে হবে। আমাদের পারফর্ম করতে হবে।’
ফ্রান্সের তারকা গোলরক্ষক আরও বলেন, ‘ম্যাচের দিন গ্যালারিতে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ হতে চলেছে, মনোনিবেশ করা কঠিন। তবে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে এবং ম্যাচের আগে ও খেলার সময় আমাদের কৌশলগত আলোচনার ক্ষেত্রে খুব সুনির্দিষ্ট হতে হবে। আমরাও দেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের ভেঙে ফেলার চেষ্টা করতে হবে।’
এসজি