সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মেসি ‘আর্জেন্টাইন ঈশ্বর’

প্রতিভাবানদের একজন লিওনেল মেসি। পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে দ্বৈরথ কখনো থামাননি তিনি। তবে ২০০৯ সালে রোমে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে রোনালদোর দল রিয়াল মাদ্রিদক উড়িয়ে দিতে বার্সেলোনাকে সাহায্য করেন মেসি। কীভাবে ফুটবল বিশ্বের সেরাদের কাতারে নাম লেখালেন মেসি?

২০০৫-০৬ সালে মেসির পারফরম্যান্সগুলোর মাধ্যমে তাকে নিয়ে উৎসাহের সূচনা ঘটে। যা তাকে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে দেয়। একজন ফরোয়ার্ড অথবা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে মেসির অসাধারণ বল নিয়ন্ত্রণ দক্ষতা, বল নিয়ে দ্রুত দৌড়ানো এবং ফুটবলে অবিশ্বাস্য সম্ভাবনা তৈরির ক্ষমতা তাকে করে তুলেছে ফুটবল বিশ্বের নিখুঁত খেলোয়াড়দের একজন।

একেবারে ছোট্ট একজন খেলোয়াড় থেকে বিশ্বের অন্যতম ক্লাব বার্সেলোনা মেসিকে পূর্ণতা দিয়েছে ধীরে ধীরে। বিশ্বের সবচেয়ে সেরা আসরে তাকে যোগ্যতম করে তুলেছেন তারা। নিজের অসাধারণ দক্ষতায় তার দেশ আর্জেন্টিনায়ও তিনি অর্জন করেছেন ‘দ্য নিউ ম্যারাডোনা’ নামের খ্যাতি। এই অর্জনটি বহন করা খুব কঠিন। কেননা তিনি বিশ্বমঞ্চে দেশকে ভালোভাবে এখনো প্রতিনিধিত্ব করতে পারেননি।

হ্যাঁ, মেসির গল্পটিও অনেক সেরা খেলোয়াড়ের মতো অঙ্কুরেই বিনাশ ঘটত যদি না বার্সা তাকে তাদের দলে নিয়ে না নিত। মেসির জন্ম ১৯৮৭ সালের ২৪ জুন আর্জেন্টিনার সান্তা ফে নামের একটি প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর রোসারিওতে। তার পুরো নাম লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। অনেকে আদর করে ডাকেন ‘লিও মেসি’।

মেসির বাবা হোসে মেসি একটি স্টিলের কারখানার ম্যানেজার। তার ৪ সন্তানের তৃতীয় লিও। তার মা ফেলিয়া কুচিতিন একটি চুম্বক বানানোর কারখানায় কাজ করতেন। তারা বাবার দিক থেকে ইতালি ও স্পেন থেকে অভিবাসী। তাদের পরিবারটি ফুটবল অত্যন্ত ভালোবাসে। একেবারে ছোট থেকে ফুটবলের প্রতি অত্যন্ত আগ্রহী শিশু হিসেবে বেড়ে উঠেছেন মেসি। তিনি পড়ালেখার বয়স থেকেই ফুটবল খেলেন। তার বাবা একটি স্থানীয় ক্লাব গ্রান্দোলির কোচ ছিলেন। ছোট্ট মেসি সেই দলে খেলোয়াড় হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। বাবার অবিশ্বাস্য ফুটবল বোঝার ক্ষমতা এভাবেই বহন করেন মেসি।

পাঁচ বছর বয়সে সেখানে খেলা শুরু করেন মেসি। এরপর চলে যান তার দেশের “নিউওয়েল’স ওল্ড বয়েজে’। তখন থেকেই একজন প্রতিভাবান ফুটবলারের সব দক্ষতা, নৈপুণ্য ও যোগ্যতা প্রদর্শন করেন তিনি। যখন তার সামনে অবিশ্বাস্য ক্যারিয়ার পড়ে আছে ঠিক সেসময় ১১ বছর বয়সে তার জীবন আটকে যায় মুত্যুর করাল থাবায়। বেড়ে উঠার হরমোনের একটি জটিল রোগে আক্রান্ত হন মেসি। ফলে জীবন বাঁচাতে সুদীর্ঘ ও খুব ভালো চিকিৎসার প্রয়োজন তার। মেসির চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য ছিল না তার গরিব বাবা-মায়ের। তবে তার ফুটবল যোগ্যতার মধ্যে কিছু অসাধারণ সম্ভাবনা দেখতে পেলেন, তার মেধায় নজর কাড়ল বার্সেলোনার। তাই তাকে নিয়ে তার মা-বাবা পাড়ি জমান বার্সেলোনায়।

বার্সা তার খেলা দেখে এতটাই সন্তুষ্ট হলো এবং অবিশ্বাস্য একটি শিশু ফুটবলারের দেখা পেল যে, তারা এই ছেলেটিকে বাঁচাতে রাজি হলেন। তারা মেসির সব চিকিৎসার খরচ বহন করবেন বলে জানিয়ে দিলেন। তবে এর প্রতিদানও পেতে শুরু করে বার্সা। ১৭ বছর বয়স থেকে বার্সেলোনার প্রথম দলে খেলা শুরু করেন মেসি। ১৮ বছর বয়স থেকে তিনি আর্জেন্টিনার অন্যতম প্রাণভোমরা। এমনকি বার্সেলোনা অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষার মাধ্যমে ব্রাজিলের সুপারস্টার রোনালদিনহো এবং ক্যামেরুনের স্যামুয়েল ইতোকে আনার পরও নিজের প্রতিভা, যোগ্যতা ও দক্ষতা প্রমাণিত করে যান বার্সার এই ঘরের ছেলে।

রোনালদিনহো ও ইতোকে দলে ভেড়ানোর পরও বার্সেলোনা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে তাদের সমাপ্তি টানতে বাধ্য হয়। কারণ উরুর ইনজুরি কারণে অকালে সেশনটি থামিয়ে দিতে হয় মেসিকে। হাড় ভেঙে যাওয়ায় পরের সেশনেরও প্রথম তিন মাস মাঠে নামতে পারেননি মেসি। তবে সেই ২০০৫-০৬ সেশনের পরের অংশে বার্সেলোনার প্রচারণা, ইউএফএ’র বিজয় রথ ও ফুটবলের প্রশস্তি চলতে লাগল তুঙ্গ বেগে। যখন মেসি ফিরেন পুরো ফর্মে। বার্সার ইতিহাসের সবচেয়ে কম বয়সের খেলোয়াড় হিসেবে তিনি তাদের প্রচণ্ড ও হিংস্র প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন এল ক্লাসিকোতে। সেই সেশনের ফর্মের সেরা স্বাক্ষর রেখে মেসি শেষ ১৩ ম্যাচে করেন ১১ গোল।

২০০৭ সালে দুর্বল ডিফেন্স নিয়ে শিরোপা ধরে রাখতে মাঠে নামে বার্সা। আরও থমকে যায় রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে। ফলে ২০০৭-০৮ সেশনটি তাদের জন্য আরও কঠিন হয়ে যায়। তবে বার্সাকে সবকিছু থেকে উতরে দিলেন মেসি। সবই করলেন তিনি। কাটান ইনজুরিমুক্ত আরেকটি মৌসুম। বনে গেলেন তারকাদের তারকা। তার ফর্মের কারণে কাতালান ক্লাবটি নিশ্চিত করে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল।

২০০৭-০৮ সেশন বার্সা ও মেসির জন্য হলো ‘এত কাছে তবুও এত দূরে’। ফাইনালে রিয়াদ মাদ্রিদের কাছে হেরে লা লিগার শিরোপা বঞ্চিত হয় তারা। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে তারা হেরে যায় আরেক চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে। এরপর বার্সা শিবিরে যোগ দেন কোচ পেপ গার্দিওলা। তার অধীনে অনন্য হয়ে উঠেন মেসি। উঠে আসেন সেরা উচ্চতায়। ওই সেশনে গোল করেন ৩৮টি। বার্সা ত্রিমুকুটই জয় করে- দি স্প্যানিশ ক্লাব, লা লিগা এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। তারা তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে তাদেরই ঘরের মাঠ বার্নাব্যুতে এল ক্লাসিকোতে হারায় ৬ গোল দিয়ে। তবে হজম করতে হয় একটি। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ম্যানচেস্টার হারিয়ে নেয় প্রতিশোধ। দুই ম্যাচেই বার্সেলোনার তুরুপের তাস লিওনেল মেসি করেন গোল।

বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসিকে দেওয়া হয় স্পেনের নাগরিকত্ব। তবে তিনি জাতীয় দল হিসেবে বেছে নেন তার মায়ের দেশ আর্জেন্টিনাকে। তবে ইনজুরির কারণে ২০০৬ বিশ্বকাপ রাঙাতে না পারলেও এর প্রতিদান দেন পরের বছর দলকে কোপা আমেরিকার ফাইনালে তুলে।

মেসির জীবনের প্রেমের জন্মও আর্জেন্টিনার মেয়েতে। ১৪ বছর বয়সে মারাফেনা লেমোসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান মেসি। কিশোরী লেমোস তখন উঠতি মডেল। ইনজুরি থেকে আরোগ্য লাভের সময় তাদের দু'জনের দেখা ও সম্পর্কের শুরু।

মেসি খুব নিয়মতান্ত্রিক। ফলে জীবননাশ করা কোনো ক্ষতির মধ্যে পড়েননি বিশ্বসেরা এই খেলোয়াড়। তবে তিনি ২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগে ইংলিশ ক্লাব চেলসির বিপক্ষে ম্যাচে ভেঙে ফেলেন তার পা। মার্চে তিনি সেল্টিকের বিপক্ষে উরুতে চোট পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে ছাড়েন মাঠ। এরপর ৬ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাকে।

আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর দিয়াগো ম্যারাডোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির তুলনা সব সময়ের। শুরুটা হয় ২০০৭ সালের এপ্রিলে কোপা দেল রে’র একটি ম্যাচে ফেতাফে এফসি’র বিপক্ষে ম্যারাডোনাময় একটি গোল করার পরই। ক্লাসিক ম্যারাডোনার মতো একের পর এক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে মেসি একাই প্রায় অর্ধেক মাঠ বল নিয়ন্ত্রণে রাখেন। ৬ খেলোয়াড়কে কাটিয়ে দারুণ নৈপুণ্যে করেন গোল। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যারাডোনার করা গোলটি স্মরণ করিয়ে দেন মেসি। এরপর থেকে মেসি যেভাবে দক্ষতা ও নৈপুণ্য দেখিয়ে গোল করতে থাকেন তাতে আর্জেন্টাইনদের বিশ্বাস, মেসি এখন ‘আর্জেন্টাইন ঈশ্বর’।

ওএফএস/এসজি

Header Ad
Header Ad

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম কলেজ প্রাঙ্গণে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেরেবাংলা হলের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রদলের অন্তত চারজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রশিবির এ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন ওমর ফারুক সাগর, রেদোয়ান ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ কাইফ ও মোরশেদুল ইসলাম। তারা বর্তমানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ওমর ফারুক সাগর বলেন, “চট্টগ্রাম কলেজে আজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল। আমন্ত্রণ পেয়ে আমরা সেখানে যাই। কিন্তু শেরেবাংলা হলের সামনে পৌঁছানোর পর ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা আচমকা আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘ছাত্রদল নেতা ফারুক চট্টগ্রাম কলেজে থাকতে পারবে না।’ এরপর আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।”

তিনি আরও বলেন, "হামলাকারীরা শিবির নেতা শামীম আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন কর্মী নিয়ে হামলায় অংশ নেয়। তারা আমাদের মারধর করে এবং কলেজে ছাত্রদলের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করার হুমকি দেয়। বিষয়টি আমরা চকবাজার থানার ওসি ও বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছি। তারা যে নির্দেশনা দেবেন, আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি তানভীর হোসেন জুয়েল। তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তাই আমরা কোনো গ্যাদারিং করিনি এবং কলেজের বাইরে সংগঠনের কার্যক্রম চালাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা দেখেছি, ছাত্রদল বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে ফরম বিতরণ করছিল। তাদের কোনো কলেজ ড্রেস বা আইডি কার্ড ছিল না। তখন কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের বাধা দেয় এবং জানায় যে এখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তখনই উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কিন্তু এটি রাজনৈতিক হামলা নয়। যদি ছাত্রশিবির হামলা করত, তাহলে তাদের নাম ও পদ-পদবি প্রকাশ করা হোক।”

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, "ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমার কাছে বিচার দিয়েছে যে, তারা লিফলেট বিতরণ করার সময় কিছু ছেলে এসে তাদের টানাহেঁচড়া করেছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, আমি তাদের ডেকে জিজ্ঞাসা করেছি। তারা জানিয়েছে, বার্ষিক ক্রীড়ার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এসে জটলা করছিল এবং তারা বহিরাগত। এরপর আমি উভয়পক্ষকে কিছুক্ষণ কাউন্সেলিং করেছি।”

এই ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, যাতে পরবর্তী কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।

Header Ad
Header Ad

সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার

বিরাট কোহলি। ছবি: সংগৃহীত

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করে জয় পেয়েছে ভারত। বিরাট কোহলির দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ২৪২ রানের লক্ষ্য সহজেই পার করেছে রোহিত শর্মার দল।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। ভারতীয় বোলারদের দাপটে ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি বাবর আজমের দল। সৌদ শাকিলের ৬২, মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৪২ এবং খুশদিল শাহের ৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান ২৪১ রান সংগ্রহ করে। ভারতের পক্ষে কুলদীপ যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া ও মোহাম্মদ শামির বোলিং ছিল প্রশংসনীয়।

২৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল ভালো শুরু করেন। উদ্বোধনী জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৩১ রান যোগ করেন তারা। তবে পঞ্চম ওভারে শাহিন আফ্রিদির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরে যান রোহিত শর্মা। এরপর ক্রিজে আসেন বিরাট কোহলি এবং শুবমান গিলের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। ৫২ বলে ৪৬ রান করে গিল আউট হলে কোহলির সঙ্গী হন শ্রেয়াস আইয়ার।

কোহলি ও আইয়ারের ১১৪ রানের জুটি ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন আইয়ার। তবে ৫৬ রানে খুশদিল শাহের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান তিনি। অন্যদিকে কোহলি ছিলেন অবিচল। ৪২.৩ ওভারে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান। তিনি ১১১ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে পাকিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসে বাবর আজম ও ইমাম-উল-হক ধীরে শুরু করলেও বড় ইনিংস গড়তে পারেননি। বাবর ২৬ বলে ২৩ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। অন্যদিকে রান আউট হয়ে ২৬ বলে মাত্র ১০ রান করে ফেরেন ইমাম। এরপর রিজওয়ান ও শাকিল ১০৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে শক্ত অবস্থানে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হয়ে ৭৭ বলে ৪৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান।

রিজওয়ান ফিরে গেলে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে। ৬২ রান করে শাকিলও বিদায় নেন। এরপর শেষ দিকে খুশদিল শাহ ৩৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহ ২৪১ রানে নিয়ে যান। ভারতের বোলারদের মধ্যে কুলদীপ, শামি ও হার্দিক পান্ডিয়া গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন।

বিরাট কোহলির অসাধারণ ব্যাটিং ও দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল ভারত।

Header Ad
Header Ad

নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি এখনও পদত্যাগ করেননি। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, সন্ধ্যায় তার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, "আমি পদত্যাগ করিনি। যে খবর ছড়িয়েছে, সেটা গুজব।"

এর আগে, গত মঙ্গলবার নাহিদ ইসলাম জানিয়েছিলেন, উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ এবং নতুন রাজনৈতিক দলে যোগদানের বিষয়ে তিনি সপ্তাহের শেষ দিকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা
সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার
নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল
দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২