রিয়াল মাদ্রিদ-ক্রোয়েশিয়ার ডিএনএ একই
লাতিনের এক বাধা টপকে গেছে ক্রোয়েশিয়া। ফেবারিট ব্রাজিলকে টাইব্রেকারে হারিয়ে উঠেছে সেমিফাইনালে। শেষ চারে তাদের সামনে লাতিনের আরেক শক্তিধর দল।
ফাইনালে উঠতে আগামীকাল পরাস্ত করতে হবে আর্জেন্টিনাকে। টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচটাও খেলতে চায় ক্রোয়াটরা। দলের এমন উচ্চকাক্সক্ষা ব্যক্ত করতে গিয়ে অধিনায়ক লুকা মদ্রিচ বললেন, রিয়াল মাদ্রিদ-ক্রোয়েশিয়ার ডিএনএ একই।
এক দশক ধরে রিয়ালের ফুটবলার মদ্রিচ। স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে তার অর্জনের থলি বেশ ভারী। সবার জানা, ইউরোপে ট্রফি জয়ের নেশায় কতটা বুদ হয়ে থাকে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর খেলোয়াড়রা। সেই গুণ, ধৈর্যশক্তি এবং সক্ষমতা, সব দিক থেকে কমপ্লিট প্যাকেজ মদ্রিচ। যার নেতৃত্বে টানা দুইবার বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলার অপেক্ষায় ক্রোয়েশিয়া।
যদি কাল লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে জ øাটকো দালিচের শিষ্যরা, তবে ব্যাক-টু-ব্যাক ফাইনাল খেলবে ক্রোয়েশিয়া। এটা কী সম্ভব হবে? এ নিয়েই স্প্যানিশ এক টিভি শোতে খোলামেলা কথা বলেন মদ্রিচ। রিয়াল মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘আপনি বলতে পারেন আমাদের ( ক্রোয়েশিয়া) আর রিয়াল মাদ্রিদের ডিএনএ একই, কারণ আমরা সবসময় শেষ পর্যন্ত এগিয়ে যেতে চাই এবং কখনো হাল ছাড়ি না।’
ফুটবলে লিওনেল মেসি আর মদ্রিচের শত্রুতা বেশ পুরনো। সেটা আন্তর্জাতিক অঙ্গন নয়, ক্লাব ফুটবলে। যদিও মেসি বার্সা ছাড়ার পর সেই শত্রুতা এখন বিলীন হয়ে গেছে, তবে আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়া সেমিফাইনাল এটাকে আরও একবার সামনে নিয়ে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই শেষ চারে আর্জেন্টাইন খুদেরাজকে সামলাতে কষ্ট হবে ক্রোয়াটদের- এমনটা অকপটেই স্বীকার করেছেন মদ্রিচ।
৩৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডারের ভাষ্য ছিল ঠিক এমন, ‘বড় দলের বিপক্ষে আরেকটি সেমিফাইনাল। আমরা এমনটাই চেয়েছিলাম, শুধু একজন খেলোয়াড়ের বিপক্ষে নয়। অবশ্য লিও অনেক বড় তারকা, সে তাদের সেরা খেলোয়াড় এবং তাকে থামাতে আমাদের অনেক অসুবিধা হবে, কিন্তু আমরা প্রস্তুত এবং আমরা আমাদের সবকিছু দিতে যাচ্ছি। আমি আশা করি এটা ফাইনালে উঠার জন্য যথেষ্ট হবে।’
এমএমএ/