রেফারিকে পাগল বললেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পরও তা ধরে রাখতে পারেনি। দুটি গোলই পরিশোধ করে দেয় নেদারল্যান্ডস। পরে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ের পর টাইব্রেকারে। সেখানে আর্জেন্টিনা জয়ী হয় ৪-৩ গোলে। এখানে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তিনি ডাচদের প্রথম দুটি বলই ঠেকিয়ে দেন।
কিন্তু খেলা এভাবে অতিরিক্ত সময়ের পর টাইব্রেকারে গড়ানোর পেছনে অনেকেই স্প্যানিশ রেফারি মাতু লাহোজকেই দোষারোপ করছেন। কারণ ডাচরা দ্বিতীয় গোল করেছিল অতিরিক্ত সময়ের ১১ মিনিটে। প্রথমে সময় দেখানো হয়েছিল ১০ মিনিট। পরে সে সময় আরও বেড়ে যায় আর তখনই গোল করে নেদারল্যান্ডস।
খেলার একপর্যায়ে সাদা চোখে মনে হয়েছে স্পেনের রেফারি আর্জেন্টিনার বিপক্ষেই বাঁশি বাজাচ্ছেন বেশি। অনেকেই আর্জেন্টিনা ১২ জনের বিপক্ষে খেলছে বলেও মন্তব্য করেন।
খেলায় রেফারি আর্জেন্টিনার ৮ জন এবং নেজারল্যান্ডসের ৪ জন খেলোয়াড়কে হলুদ কার্ড দেখান। তার হলুদ কার্ড দেখানো থেকে বাদ যাননি মেসিও। মেসিকে কার্ড দেখানোয় অনেকেই অবাক হয়েছেন এবং এরপরই রেফারিকে নিয়ে তাদের নেগেটিভ ধারণা শুরু হয়। কার্ড দেখানো থেকে বাদ যাননি আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনিও। আর্জেন্টিনার কোচিং স্টাফ ওয়াল্টি সামুয়েলও হলুদ কার্ড দেখেছেন।
খেলায় দুই দলের খেলোয়াড়দের শারীরিক বল প্রয়োগ করতে দেখা গেছে বেশি। এমনকি সংঘর্ষেও লিপ্ত হয়েছেন। যেখানে শরিক হন নেদারল্যান্ডসের সাইড বেঞ্চের খেলোয়াড়রাও। লোসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে রেফারির বাঁশি বাজানো নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক গোলরক্ষক এমি মাটিনের্জ। তিনি তাকে পাগল বলে উল্লেখ করেন।
এমি মাটিনেজ বলেন, রেফারি পাগল। তাকে আপনি কিছু জিজ্ঞাসা করতে গেলেই সে চিৎকার শুরু করবে। ১০ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে। এই সময় নেদারল্যান্ডস তিনটা ফ্রি কিক পায় যার একটি থেকে তারা গোল করে। স্পেন বাদ পড়ায় তিনি আমাদেরকেও বাদ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি।
মেসির শেষ বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ের মিশনে দলকে সেমিফাইনালে নিয়ে আসার পথে এমি মার্টিনেজ রেখেছেন অনন্য ভূমিকা। তিনি টাইব্রেকারে নেদারল্যান্ডসের প্রথম দুটি পেনাল্টি শটই আটকে দেন। দলের এমন জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পেরে উচ্ছ্বসিত মাটিনেজ।
তিনি বলেন, দলের জয়ে ভূমিকা রাখতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। অন্যদের মতো আমরাও উচ্ছ্বসিত। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালো নয়। আমরা ৪৫ মিলিয়ন মানুষের জন্য খেলি। তাদের মুখে হাসি ফোটানোর আনন্দে আমরা তৃপ্ত।
এমপি/এসজি